নিজেকে দূঃখী করে রাখার প্রবনতা থাকে কিছু মানুষের ৷ সব সময় খারাপ বিষয়টা তার ভাবনা জুড়ে থাকে ৷ কি নেই, সেটাই ভাবে শুধু ৷ যা আছে, সেটা নিয়ে খুশী হতে পারে না ৷ ব্যাংকে জমানো টাকা খরচ হতে থাকলে আতংকিত হয়।
ভবিষ্যতে কি ভাবে চলবে, সেটা ভেবে ভেবে অস্থির হয়ে পড়ে ৷
ভবিষ্যত কি মানুষের হাতে থাকে ?
না, কখোনই থাকে না ৷ ওটা নির্ধারিত হয়েই আছে ৷ মানুষ,যতই দুঃশ্চিন্তায় ডুবে থাকুক, তাতে ভবিষ্যত বদলায় না ৷ যা হবার, তা হবেই ৷ তবুও সে মানবে না ৷ কাজের মাধ্যমে কিছু অর্জন করতে পারে ৷ অর্থনৈতিক নিঃশ্চয়তা তৈরী হয় ৷ সেটা কঠিন বিষয় ৷ বর্তমান অবস্থায় তা সহজও নয় ৷ কখোনই তা সহজ ছিলো না ৷ গভীর মনোনিবেশে সে প্রতিবন্ধকতা পেরুতে হয় ৷
অনেকে হতাশ হয়ে পড়ে জীবনের ব্যর্থতায় ৷ হতাশার ভেতরে থেকে কিছুই অর্জন করা যায় না ৷
নেতিবাচক ভাবনা, মানুষকে কিছুই দেয় না ৷ ইতিবাচক ভাবনা দিয়ে জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে হয় ৷
"আমি পারবো", এমন ভাবনাই মানুষের মনের জোর বাড়িয়ে দেয় ৷ সে সফল হতে পারে ৷ নিজেকে গোছানোটা খুবই জরুরী ৷
যা আছে, তাতে নিজেকে মানিয়ে নেয়া ৷ তা দিয়ে জীবন সাজানো উচিত ৷
তাতে মানসিক সুস্থতা বাড়ে ৷ মনোবল শক্ত হয় ৷ কাজে ফোকাস করতে পারা যায় ৷ সাফল্যও চলে আসে ৷
আমরা কেবলি, কি নেই, তা নিয়ে ভাবি ৷ কি আছে, কি পেয়েছি, তা নিয়ে খুশী হতে পারি না ৷ অন্য অনেক মানুষ আমার চেয়ে কষ্টে আছে, তাদের দিকে তাকাই না ৷ তাদের মতো কষ্টকর জীবনতো, আমারও হতে পারতো ৷
মধ্যবিত্ত মানুষের ভাবনা প্রসারিত হয়, উপরের দিকে তাকিয়ে ৷ তার চেয়ে বেশী আর্থিক সুবিধায় আছে, বেশী সুখে আছে, এমন মানুষকে ঘিরে ৷ সেজন্য সুখী হতে পারে না সে ৷ তাই মধ্যবিত্তের মাঝে এই মনের অসুখটা বেশী ৷
গরীবরা না পাওয়ার মাঝেও যা পায়, তাতে মানিয়ে নিতে চেষ্টা করে ৷
জীবন চলে নির্ধারিত ভাগ্য নিয়ে ৷ মানিয়ে চলতে পারলে, সেটা সুখের হয় ৷ বেশীর ভাগ মানুষ তা পারে না ৷
আর তাতে মনের অসুখ বাড়ে ৷ মানুষ বোঝে না,
"জীবনতো এক খন্ড সময় মাত্র, কোন না কোনভাবে কেটে যাবেই ৷ সেটা সুখে হোক বা দুঃখে ৷
আসুন, আমরা মানিয়ে নিতে চেষ্টা করি ৷ এতে মনের অসুখটা কমবে ৷
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:১৬