ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বরতার কারণে মাত্র ১২ বছরের এক ফিলিস্তিনি কন্যাকে পালন করতে হচ্ছে মা-বাবার ঘর-সংসার দেখাশুনার কঠিন দায়িত্ব।
ছোট ছয় ভাই-বোন ও অসুস্থ বাবার দেখাশুনা করতে গিয়ে আমিরা হাজিম আবু কুমাইল নামের এই ফিলিস্তিনি কন্যা শিশু বহু মাস ধরে শৈশবের আনন্দ ও খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত। কারণ গত অক্টোবর (২০১৫) মাস থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা বন্দী করে রেখেছে তার মাকে।
ক্যান্সার রোগী আমিরার মাকে ইসরাইল বন্দী করে পশ্চিম তীরের বাইত হানুন তথা ইরেজ ক্রসিং পয়েন্টে। আমিরার মা নাসরিন হাসান (৪১) ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য পশ্চিম তীরে যেতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু ইসরাইলি সেনারা তাকে আটক করে এই অজুহাত দেখিয়ে তিনি সংগ্রামী ফিলিস্তিনি দলগুলোকে সহায়তা দিচ্ছেন।
নাসরিনকে আটক করার খবর শুনে তার পরিবার যেন বজ্রপাতের আঘাত পায়। কিন্তু বড় বোন আমিরার কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকারের সুবাদে মায়ের উষ্ণ আদরের অভাব ও মমতাময়ী মায়ের অনুপস্থিতির অনুভূতি খুব কমই অনুভব করেছে ফার্স, ফারাস, মুহাম্মাদ, নাদিম এবং দালিয়া ও আহমাদ নামের ছোট ভাইবোনগুলো।
আমিরার বাবাও অসুস্থ ও অচল অবস্থায় ঘরে পড়ে আছেন। তাই আমিরার দায়িত্ব খুব বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে। তবুও সে আশা করছে শিগগিরই তার মা ঘরে ফিরে আসবেন। সে প্রতি সপ্তা’য় গাজায় রেডক্রস অফিসে গিয়ে ধর্না দিচ্ছে এবং ইসরাইলের বন্দীশালা থেকে মাকে মুক্ত কারার দাবি জানাচ্ছে।
আমিরার বয়সী আরও অনেক ফিলিস্তিনি বালিকা ও বালককে এভাবেই পালন করতে হচ্ছে সংসার পরিচালনার কঠিন দায়িত্ব। যদি ইসরাইল বা পাশ্চাত্যপন্থী সরকার-শাসিত কোনও দেশে ঘটত এমনসব ঘটনা তাহলে পশ্চিমা মিডিয়াগুলো তা খুব দরদ দিয়ে প্রচার করত। কিন্তু অবরুদ্ধ গাজার অসহায় মানুষ ও শিশুদের খবর প্রচার করছে না পশ্চিমা এবং পাশ্চাত্যের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৫