শিশুদের জন্য যে সব আইন হচ্ছে তার বাস্তবায়ন আমরা খুব বেশি দেখি না। আইন তৈরী হওয়ার পর প্রয়োগ করতে হবে! আর প্রয়োগ না হলে আইন দিয়ে কি হয়! আমরা চাই আইনের প্রয়োগ! দেশে গৃহ কর্মী শিশুর অভাব নেই। যারা আইন করেন, যারা প্রয়োগ করতে বলেন, যারা সমাজের প্রথম শ্রেনীর লোক তারাও অনেকে গৃহ কর্মী হিসাবে শিশুদের নিয়োগ দেন!
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জাতীয় শিশু শ্রম জরিপ ২০০৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, গৃহকর্মে নিয়োজিত শুধু শিশু শ্রমিকের সংখ্যা হচ্ছে এক লাখ ২৫ হাজার। যার মধ্যে ৮০ ভাগই মেয়ে শিশু। (সুত্র: সমকাল: ২২ জুলাই ২০১৫)
২০০৩ সালে এই অবস্থা ছিল! বর্তমানে শিশু গৃহ কর্মীর মোট সংখা কত? কোনকালে কম ছিল না! দিনে দিনে বাড়ছে!
গৃহ কর্মে নিয়োজিত শিশুরা পারিবারিক অভাব অনটন, নির্যাতন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে শহরগুলোতে গৃহ কর্মী হিসাবে কাজের জন্য আসে। এখানেও তাদের সইতে হয়, অবহেলা, নির্যাতন ও শোষণ।
সরকারী-বেসরকারী অধিকার বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো আইন নিয়ে মাথা ঘামান ঠিক! অথচ আইনের প্রয়োগ নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাতে দেখা যায় না। আইন প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট সকলকে বলতে হবে, তদারকি করতে হবে! তবেই আইনের প্রয়োগ দেখা যাবে!
শিশুর কর্ম ঘন্টা, পড়া-লেখা, বিনোদন, সুরক্ষা, মতপ্রকাশ, নিরাপত্তার বিষয়ে শিশু সনদ ও জাতীয় শিশু নীতিতে যে ভাবে বলা আছে ঠিক সেভাবে বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্বও বর্তায় সরকার ও বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গুলোর উপর।
গৃহ কর্মে যুক্ত শিশুদের সুষ্ঠ বিকাশ হবে তখনি যখন যখন শিশু অধিকার সমন্ধে গণজোয়ার সৃষ্টি হবে!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪২