somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রেম, বিরহ ও বিচ্ছেদ পরবর্তী পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং আমার ধারাবাহিক স্বপ্ন

১৮ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


(ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত এবং দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ব্যবহৃত)

(১)
ঘুম থেকে উঠেই কিছুক্ষণ ঝিম মেরে বসে ছিলাম। রাতে ভয়ংকর নয় অথচ মন খারাপ করা— স্বপ্ন দেখেছি। কাউকে বলাও যাচ্ছে না! স্বপ্ন দেখার বেলায় বরাবরই আমার 'রাশি খারাপ'। সরকার বিরোধী আচরণ তথা ষড়যন্ত্রের জন্য একবার আমার ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। রাষ্ট্রপতির বিশেষ বিবেচনায় দন্ডাদেশ স্থগিত ও পরবর্তীতে মওকুফ হলেও কিছুকাল পর রাশিয়ার বিমানবন্দরে গাঁজার সাথে ধরা আমার খেয়ে ৭ দিনের হাজতবাস হয়। এবারও সেই দুঃস্বপ্ন ঘুচল না। তবে সামন্য উন্নতি যে হয়েছে সে কথা ঠিক।

(২)
সেহেরির আগে প্রথম স্বপ্নটা দেখলাম। আমি সকাল বেলা প্রস্তুতি নিচ্ছি ভার্সিটিতে যাওয়ার। তখন শুনলাম আজকে ভার্সিটি-মুখী বাসের সংখ্যা খুবই কম। সুতরাং যেতে হলে রাস্তায় গিয়ে একটু আগেভাগে দাঁড়াতে হবে। রেডি হয়ে গেলাম বাস স্টপেজে। কিছুক্ষণ পর একটা বাস আসল এবং আমি স্বাভাবিকভাবেই বাসে উঠলাম। বাসে সৌভাগ্যবশত একটা সিট ফাঁকা ছিল। আমি সেখানেই বসলাম। বাস কিছুক্ষণ যাওয়ার পর একটা পাহাড়ি জায়গায় এসে আটকে গেলো। ড্রাইভার সাহেব কিছুটা চেষ্টা করাতে গাড়িটা আরো বেকায়দা পজিশনে চলে গেছে। বাস থেকে সবাই নেমে পাহাড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে আছে। এমতাবস্থায় আমার তিনজন বন্ধু আমাকে ডেকে বললো বাসের যাত্রী (শিক্ষার্থী) যারা আছে তারা সবাই ভার্সিটির স্টুডেন্ট। সুতরাং এদের ভালোমন্দ নিয়ে তোর ভাবতে হবে না। তুই বরং এদিকে আয়, তোর সাথে কথা আছে। আমি বন্ধুদের সাথে একটু সাইডে গেলাম। তখন বন্ধুরা আমাকে আমার ফেসবুকের ওয়ালে দেয়া একটা স্ট্যাটাস দেখালো এবং বললো “দেখ, তোর স্ট্যাটাস নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। আমরা তোকে জানিয়ে দিলাম। তুই তোর অ্যাকাউন্ট থেকে চেক করে ব্যবস্থা নে একটা।” তারপর আমি অনেক অনুনয় করলেও বন্ধুরা আমাকে তাদের ফোন দিয়ে সহায়তা করে নি। আমি দুর্ভাগ্যবশত ফোনটা রুমে রেখে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে বের হয়ে গিয়েছিলাম। সেই পাহাড়ে আটকে থাকা গাড়ির কাছ থেকে সোজা রুমে এসে ফেসবুক চেক করে দেখি আমার পোস্টের নিচে আমার বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা চলছে। এর মধ্যে তীব্রতর সমালোচনা করছে আমার এক্স-গার্লফ্রেন্ড, অর্থাৎ সাবেক প্রেমিকা। আমি ঘুমের মধ্যেই ডিপ্রেশনে চলে গেলাম। ভাবতে থাকলাম “তোমাকে এত এত ফুচকা খাওয়ালাম, তুমি তার কি প্রতিদান দিলে রোকেয়া!” তারপর ঠুস করে ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো। আমি বাংলা সিনেমার নায়কের মতো অতিদ্রুত বেগে শরীরের উপরের অর্ধাংশ সোজা করে বসলাম। অবশ্য পানি খাই নি।
(এই স্বপ্ন যখন দেখেছি এবং এই লেখা যখন লিখছি, তখন ফেসবুকের নীল জগতে আমার কোন অ্যাকাউন্ট বর্তমান নাই।)

(৩)
সেহেরি খেয়ে ইবাদত বন্দেগি করে আবার ঘুম দিলাম। কিছুক্ষণ যাওয়ার পর আবার এমন একটা স্বপ্ন দেখলাম যে এবার ঘুমের মধ্যেই ছ্যাবরা খেয়ে গেলাম। সবচে' মজার বিষয় হচ্ছে এই স্বপ্নটা হচ্ছে আগের স্বপ্নের সিকুয়েল, অর্থাৎ দ্বিতীয় পর্ব। আমি তো অবাক! ঘুমের মধ্যেই বুঝতে পারলাম এটা আসলে "ধারাবাহিক স্বপ্ন"। স্বপ্নে কী দেখলাম সেটা বলি। আমি একটা বিছানায় শুয়ে আছি। হঠাৎ দেখি আমার প্রাক্তন বিছানার অপর প্রান্তে শুয়ে থেকে আমার দিকে নজর করে তাকিয়ে আছে। আপন ভাইবোনেরা যেমন করে এক বিছানায় বসে শুয়ে জটলা বেধে আড্ডা দেয় গল্প করে সেরকম পরিবেশে। বিছানার প্রায় দুই প্রান্তে দুইজন শুয়ে আছি, সামাজিক দূরুত্ব বজায় রেখে। এবার প্রাক্তন আমার কাছে তার ফ্যামিলি ক্রাইসিস, বিশেষ করে তার ইমিডিয়েট ছোট ভাইটা মানুষ হয়নি টাইপ কথাবার্তা, বলছে আর কান্না করছে। আমি তাকে সান্তনা দিচ্ছি। একবার দূরুত্ব একটু কমিয়ে দুই-আড়াই ফোঁটা চোখের জল মুছে দিলাম। সে কিছুটা লজ্জা অনুভব করলো। তারপর একপর্যায়ে বললো “তোমার সাথে ছাড়াছাড়ি (ব্রেকআপ) করাটা ঠিক হয় নি। আমি কিন্তু তোমাকে এখনো ভালোবাসি।” আমি বললাম “তোমার কথায় যথেষ্ঠ মদ আছে।” প্রাক্তন বললো “না, সত্যিই ভালোবাসি। কারণ তোমার পরে যে কয়জনের সাথে প্রেম করছি এরা সবাই ধান্ধাবাজ।” তখন আমি বললাম “তাহলে সমস্যা কি, তুমি আবার আমার সাথে প্রেম করো।” এবার প্রাক্তন বললো “উহু, সম্ভব না! শুনছি তুমি নতুন করে আবার প্রেম করো। এটা শুনে আমার ভালো লাগে নি। আমি চলে গেছি তাতে কি হয়েছে? কয়েকটা প্রেম করে কি আমি ফিরে আসতাম না? তুমি আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে পারলে না?” আমি আর এই বিষয়ে বিশেষ কিছুই বলি নাই। প্রসঙ্গ পাল্টিয়ে বললাম “তুমি আমার ফেসবুক পোস্টে বাজে কমেন্ট করো কেন?” প্রাক্তন বললো “তোমার সাথে ব্রেকআপ হওয়া মানে তুমি আমার বন্ধু নও। সুতরাং তোমার ভালো কিছু দেখলে, এমনকি এটা যদি তোমার ফেসবুকের পোস্টও হয় তবুও, আমার গা জ্বালা করে। তোমার ভালো সংবাদ শুনলে আমি ছ্যাবরা খাই। তাই এসব করি।” তারপর অন্যান্য আলাপ আলোচনা করে তবে সে বিদায় নিয়েছে। যাওয়ার সময় সে আমার এক বন্ধুর নাম বলে গেছে, তার সাথে আমি নাকি প্রেম করি। আমি একটু অবাকই হলাম। মানুষ এতো বিচারবুদ্ধিহীন হয় কিভাবে? সে ছলছল চোখে বিদায় নিচ্ছিলো তখন আমার খুব খারাপ লাগতেছিল। আমি ঘুমের মধ্যেই কেমন একটা শূন্যতা অনুভব করতে লাগলাম। তখন হঠাৎ করে তাহেরীর কথা মনে পড়লো। আমি সাথে সাথে জিকির করতে শুরু করলাম 'শাহ আলী বাবা, কেল্লা বাবা, গোলাপ শাহ বাবা, লেংটা বাবা, মারহাবা মরহাবা কেল্লা বাবা মারহাবা.........'

(৪)
ঝিম ধরে বসে থেকে তো দিনপাত করা যায় না। সিদ্ধান্ত নিলাম কিছু একটা বের করতে হবে যেন ব্রেকআপ সমস্যার সমাধান করা যায়। যা হওয়ার তা তো হয়ে গেছেই। এখন আগামীর দিনগুলোর জন্য কিছু একটা পরিকল্পনা সাজাতে হবে যাতে পরবর্তী প্রজন্মের কেউ ব্রেকআপ সমস্যায় না পড়ে। হুমায়ূন আহমেদের 'বহুব্রীহি' নাটকে দেখেছিলাম জনাব আবুল হায়াত সাহেব এবং আলী যাকের সাহেব মাছ সমস্যার সমাধান নিয়ে খুব ব্যস্ত। আবুল হায়াত সাহেব মাছের প্রজাতির উপর গবেষণা করে শেষে মৎস অধিদপ্তর বা সমজাতীয় কোন একটা সরকারি অফিসের কর্তাকে প্রস্তাব করেছিলেন- আগামী একবছর মানুষ যেন মাছ না খায়, সে ব্যবস্থা সরকার যেন গ্রহণ করে। আর আলী যাকের মাছের উপর একটা সিনেমার কাজ শুরু করেছিলেন। সিনেমার নাম "হে মাছ"। যাহোক, আমি ভেবে সিদ্ধান্ত নিলাম একটা রূপরেখা দাঁড় করাবো যাতে ব্রেকআপ সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধান হয়। ভাবতে বসলাম। প্রথমে মনে পড়লো দ্রব্যের মান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাংলাদেশে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করে। নাম বিএসটিআই। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন। প্রেমের মান নিয়ন্ত্রণ ও ভেজাল প্রেম দেশ থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য যদি এরকম একটা প্রতিষ্ঠান থাকতো এবং যাবতীয় দুই নম্বর তিন নম্বর বা নম্বর ছাড়া প্রেমগুলোকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিলুপ্ত করার ব্যবস্থা থাকতো তবে আমাদেরকে প্রেমে ব্রেকআপ দেখতে হতো না। সুতরাং প্রেমিক সংঘ বা প্রেমিকা সংস্থার প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় "বিএসআরএ" বা "বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস রিলেশন অথরিটি" নামের একটি প্রতিষ্ঠান চালু করা যেতে পারে। এর উদ্যোক্তা হবে স্বয়ং সরকার। এক্ষেত্রে যদি কেউ নকল বা ভেজাল প্রেম বিনিময় করে তবে বিদ্যমান আইনের আওতায় এনে অপরাধীকে শাস্তি প্রদান করা হবে। শাস্তি প্রদান প্রক্রিয়াটি দুটি ধাপে সম্পন্ন করা হবে। প্রথম ধাপে মানহীন, ভেজাল ও নকল প্রেমকে চিহ্নিত করে "ছ্যাঁচড়ামি" হিশেবে কালো তালিকাভূক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে জনসম্মুখে এই তালিকা প্রকাশ করতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে "ছ্যাদক" নামের একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। যার পূর্ণনাম হবে "ছ্যাঁচড়ামি দমন কমিশন" (ছ্যাদক)। এই প্রতিষ্ঠান মামলা দায়ের করার পর রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের মাধ্যমে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের ন্যায় একটি "আন্তর্জাতিক প্রেমাপরাধ ট্রাইবুনাল" নামের বিচারালয়ের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট থাকতে পারে, জঙ্গি দমন ইউনিটের সাথে মিল রেখে নাম হবে "ছ্যাঁচড়ামি দমন ইউনিট"। সেনাবাহিনীর একটি ইউনিট কাজ করবে, নাম হবে "বেঙ্গল রেজিমেন্ট অব অ্যান্টি-ছ্যাঁচড়ামি"। এভাবে বিমান ও নৌ বাহিনীর একটি করে ইউনিটের সাথে বিশেষ প্রয়োজনে র্যাবের একটি ইউনিটও কাজ করতে পারে। ১৪ ই ফেব্রুয়ারির সাথে মিল রেখে এর নাম হতে পারে র্যাব-১৪ বা সমজাতীয় কিছু। এভাবে সকল অপরাধীকে শনাক্ত করে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের বিচার সম্পন্ন করতে হবে এবং খাঁটি, মান ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রেমগুলোকে সার্থক করার দায়িত্ব সরকারকে তথা সরকারের কোন একটি দপ্তরকেই নিতে হবে।

(৫)
সরকারিভাবে এসব পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি নকল ও ভেজাল প্রেম শনাক্তকরণ এবং সত্য, সঠিক ও মহান প্রেমগুলোকে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর একটি করে অঙ্গসংগঠন থাকতে পারে। শ্রমিক লিগের সাথে মিল রেখে আওয়ামি লিগের অঙ্গসংগঠনের নাম হতে পারে "আওয়ামি প্রেমিক লিগ", একইভাবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের সাথে মিল রেখে বিএনপি'র অঙ্গসংগঠনের নাম হতে পারে "জাতীয়তাবাদী প্রেমিক দল", জাতীয় পার্টির অঙ্গসংগঠনটির নাম হতে পারে "জাতীয় প্রেমিক পার্টি"। এভাবে আওয়ামি লিগের নেতৃত্বাধীন জোটের ১৪ দলের মধ্যে সবগুলো দলেরই, এবং বিএনপি'র নেতৃত্বাধীন জোটের ২০ দলের মধ্যেও সবগুলো দলের একইরকম অঙ্গসংগঠন থাকতে পারে। প্রয়োজনে এইরূপ অঙ্গসংগঠন থাকা বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের শর্ত হিশেবে প্রেম সংক্রান্ত একটি অঙ্গসংগঠনের বাধ্যবাধকতার বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে। পরবর্তীতে রাজনৈতিক দলগুলো যদি ভেঙ্গে যায় তখনও প্রেম সংক্রান্ত অঙ্গসংগঠনটি চালু রাখার ব্যাপারেও জোর দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে দলের নাম হবে এরকম- "জাতীয়তাবাদী প্রেমিক দলের একাংশ" "জাতীয় প্রেমিকা পার্টি (মঞ্জু গ্রুপ)" ইত্যাদি। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের এই অঙ্গসংগঠনটির কেন্দ্রীয়, বিভাগীয়, মহানগর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড এবং স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কমিটি থাকতে হবে এবং প্রতিটি কমিটি হবে অন্তত ৫১ সদস্য বিশিষ্ট- এমন অধ্যাদেশ জারি করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে দ্রষ্টব্য দিয়ে কমিটির সদস্যদের যোগ্যতা হিশেবে এক থেকে একাধিক প্রেমের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। সভাপতি পদের জন্য কমপক্ষে ৫ টি প্রেম এবং সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থীর জন্য কমপক্ষে ২ টি প্রেমের অভিজ্ঞতা আবশ্যক বলে আইন পাশ হতে পারে। জেলা, মহানগর বা বিভাগীয় কমিটির সদস্যদের প্রেমের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করা হবে কি না সেটা প্রতিটি দলীয় কাউন্সিলে নির্ধারণ করা যেতে পারে। রাজনৈতিক মোর্চার বাইরে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কতগুলো সাংস্কৃতিক প্লাটফর্ম কাজ করতে পারে। গণসংহতি আন্দোলনের মতো কিছু অরাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে উঠতে পারে। যে সব প্রেমিক-প্রেমিকা অধিক শ্রম দিয়ে তাদের প্রেমকে টিকিয়ে রেখেছেন তাদের সম্মানে মে মাসের ১ তারিখ অনুষ্ঠান আয়োজন করা যেতে পারে। যেসব ছেলেমেয়েরা প্রেম করতে গিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে তারা গঠন করতে পারে "বিপ্লবী প্রেমিক সংঘ" বা "বিপ্লবী প্রেমিকা সংস্থা"। বেকার প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য সরকার "প্রেম ভাতা" চালু করতে পারে, যা প্রতিটি বেকার প্রেমিক-প্রেমিকাকে তার প্রেমে সাহায্য করবে।

(৬)
পুরো বিষয়টির আন্তর্জাতিকতা নিয়ে যেন কোন প্রশ্ন না উঠে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। এজন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিটি পর্যায়ে কাজ করতে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আন্তর্জাতিক তদন্ত দল দেশে যেন সবসময়ই আসতে পারে সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রেম সংক্রান্ত পুরো বিষয়টি ছহিহ্ হলে বিংশ্বব্যাংক এই পারপাসে অর্থায়ন করবে একথা নিশ্চিত। জাতিসংঘ প্রেম বিষয়ক একটি অঙ্গসংস্থা চালু করবে ইউনিসেফ বা ইউনেস্কো'র মতো। নতুন এই অঙ্গসংস্থার নায়েবে আমীর করা হবে অন্তত গোটা পঞ্চাশেক প্রেমের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোন মুরুব্বীকে। তবে জনদাবীর মুখে সেফাতুল্লাহকে নায়েবে আমীর করা হলেও কারো আপত্তি থাকার কথা না। তার যথার্থ মুরুব্বিয়ানায় এগিয়ে যাবে আমাদের প্রেমিক সমাজ। বিংশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘ ছাড়াও পুরো প্রকল্পের সাথে জড়িত থাকবে এডিবি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকার ফেডারেল ব্যাংক ইত্যাদি সংস্থা। বছরের সেরা ২০ জোড়া প্রেমিক প্রেমিকাকে ভারত-নেপাল-ভুটান যাওয়ার সুযোগ করে দিবে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সংস্থা "সার্ক"-এর টুরিজম ইউনিট। ভ্রমনের বিষয়টি সঠিকভাবে তত্ত্বাবধায়ন করার জন্য গঠন করা হবে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

(৭)
তিন বছর পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে বিষয়টি আরো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। এ পর্যায়ে এসে সরকার একটি নতুন মন্ত্রণালয় চালু করবে। মন্ত্রণালয়ের নাম হবে "প্রেম, বিরহ ও বিচ্ছেদ পরবর্তী পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয়"।
এই মন্ত্রণালয়ের টাইটেল থাকবে "Love is power, Love is speech, Love is happiness, Love is life, Love never dies.

[লেখাটি ১১ই মে ২০২০ ইং তারিখে লিখিত। আজকের এই দিনে লেখাটির কোন আবেদন আছে কি-না জানি না, তবুও পাঠকদের সমীপে নিবদেন করলাম]
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২১
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×