
বাংলাদেশে, প্রধানত বাংলাদেশের রাজনীতিতে দেশের জনগণ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। ধরে নিলাম প্রধান ১০টি ভাগে বিভক্ত। গণতন্ত্রের সাধারণ নিয়ম মতে এটা খুবই যৌক্তিক এবং সুন্দর একটি বিভাজন হিসেবে মানি। এই ১০ ভাগের মধ্যে ধরুন, ডান-মধ্য-বাম, আরো খুচরো করে বললে ডান-হালকা ডান বেশি বেশি মধ্য, হালকা মধ্য বেশি বেশি ডান, ১৫ ডিগ্রি ডান-বাম সমেত মূলত মধ্য, ডানের সমপর্যায়ের বাম বিভক্তি বিদ্যমান। আবার বিদেশ সমর্থন নীতির আলোকে বললে বলা চলে, এখানে ভারতপন্থী, পাকিস্তানপন্থী, রাশিয়াপন্থী, চীনপন্থী, আমেরিকাপন্থী, আরব বা ইসলামী রাষ্ট্রপন্থী ব্লক বা বিভাজন আছে। জাতিসত্তার ন্যায় এখানে আদর্শের বৈচিত্র্য অনন্য। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো, মত ও আদর্শের এত ফরাক থাকা সত্ত্বেও কিভাবে একটি সরল বা জটিল মতামত বা বক্তব্যের ওপর দলীয় অনুসারীগণ একমত হয়ে যায়? একটি দলের আদর্শে বিশ্বাসী লোকজনের কারোরই কি দ্বিমত থাকবে না? তাহলে গণতন্ত্রের মূল তত্ত্ব কী? মূল তত্ত্ব কি এরকম যে, প্রধান কয়টি ব্লকে ভাগ হয়ে যাও অতঃপর দলের মতামত অন্ধের মতো সহমত পোষণ করো? কাউকে তো দেখি না নিজের দলের ভাবনা বা সিদ্ধান্ত কে দুর্বল বা ভুল বলতে বা সমালোচনা করতে। কেন?
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




