প্রথেমই জেনে নেই আদিবাসীর সংজ্ঞাটা।
অর্থাৎ কাদেরকে আদিবাসী বলে ?
আদিবাসী শব্দটাকে বিভাজন করলে দু'টি শব্দ পাওয়া যায়।
প্রথমটি 'আদি' যার অর্থ হল পুরানো আর দ্বিতীয়টি 'বাসী' যার অর্থ হল বসবাসকারী।
সে অর্থে আদিবাসী বলতে পুরানো বসবাসকারীদেরকেই বুঝানো হয়ে থাকে অর্থাৎ যারা আদিকাল হতে বসবাস করে আসছে তাদেরকে আদিবাসী বলা হয়ে থাকে।
সে অর্থে বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নেই বা আদিকাল হতে বসবাস করে আসছে এমন কোন জাতী নেই। আর পাহাড়ী উপজাতীয়রা বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কুকর্মের জন্য চীনের তিব্বত হতে বিতাড়িত হয়ে প্রথমে মায়ানমারের জঙ্গলে পরে ক্রমেই বাংলাদেশের জঙ্গলও আস্তে আস্তে দখল করতে থাকে। আর ক্রমেই এরা আবার সেই পুরানো কুকর্ম শুরু করে দেশের পাহাড়ী এলাকায় শক্ত আস্তানা তৈরী করে নেয়। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে বিভন্ন সরকার এদেরকে বিতাড়িত করার চেষ্ঠা চালালে এরা মায়ানমারের অংশে পালিয়ে যেত পরে আবার ফিরে আসত। আর মায়ানমার তাড়া করলে বাংলাদেশের অংশে লুকিয়ে থাকত। দু'দেশ কখনো একত্রে তাড়া করেনি আবার পাহাড়ী জঙ্গল হওয়ায় এদের তাড়ানো ছিল খুবই কষ্টকর। তাই সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাহাড়ী এলাকার নিয়ন্ত্রন নেয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে দেশের স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে পাহাড়ে বসতি গড়ে দেন। মূলত এরা সেখানে পরে বসতি গড়লেও এরাই বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা ও প্রকৃত নাগরিক। আর এদের কারনেই উপজাতীয়দের অনেক অপকর্ম দ্রুত বা সরাসরি নজরে আসছে। তাই নিজেদের কুকর্মকে জিইয়ে রাখার তাগিদেই উপজাতীয়রা বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার চালায় ঐসব বাসিন্দাদের উপর। আগে পাহাড়ে বসতি স্থাপনকারী এদেশের প্রকৃত নাগরিকরা চুপ থাকলেও এখন মাঝে মধ্যে প্রতিরোধ করে। কিন্তু আজ সন্ত্রাসী উপজাতীয়রাই বাঙ্গালীদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে তাদের চেষ্টা সফল হতে চলেছে। এটা আমাদের জন্য অবশ্যই বর্থ্যতার আর পরাজয়ের বিষয়। আমাদেরকে এটা নিয়ে আর সময় ক্ষেপণ করলে চলবে না। এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




