১৯৭১ সালে যারা দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলী দিয়ে বিদেশীদের স্বার্থে কাজ করতে গিয়ে দেশের জনগনের উপর অমানবিক অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে তাদেরকেই যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদিও তৎকালীন কয়েকটা গ্রুপ কয়েকটা দেশের স্বার্থে কাজ করতে গিয়ে দেশের জনগনের উপর অমানবিক অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে। তবুও আজ অনেকটা নির্লজ্জভাবে একটা দেশের স্বার্থে কাজ করা গ্রুপকেই যুদ্ধাপরাধী হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্ঠা করা হচ্ছে।
কিন্তু আমরা আরো লজ্জা পাই, যখন দেখি এদের মধ্যেও বিভাজন করা হচ্ছে। ব্যাপারটা পরিষ্কার, আমরা যারা নিয়মিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সংক্রান্ত বিভিন্ন মিডিয়ার প্রচার প্রচারণা দেখি। তখন তো মনে হয় এ বিচার দেশকে কলংকমুক্ত করতে নয়, বিশেষ দলকে নিঃশেষ করতে। তারাই আবার বিচার চাইতে এসে মনের ভুলেই বলে ফেলছে এ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে। তখন মাঝে মধ্যে হাসতেও ইচ্ছা করে।
না, আমরা যুদ্ধপরাধ বিচার নিয়ে হাসতে চাই না। আমরা চাইনা দেশের মানুষের আবেগ আর প্রত্যাশা নিয়ে কোন রাজনীতি হোক। দলমত নির্বিশেষে কিংবা আত্মীয়তার বাঁধন ভেঙ্গে সবাইকে যেন বিচারের আওতায় আনা হয় এবং ন্যায্য বিচার করা হয়।
কোন দলের নেতা বা কারো আত্মীয় হবার করণে যেন কেউ এ বিচার হতে মুক্ত না থাকেন বা কম সাজা পান, দেশের জনগন তা মোটেও চায় না।
এটাই হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা।
আর মিডিয়ার ভুমিকাও এমন হওয়া উচিত, যেন কোন অপরাধী বিচার বহির্ভূত না থাকেন তা নিশ্চিত করার প্রচার প্রচারণা করা। মোটেও কাউকে মুক্ত করার প্রচার প্রচারণা মিডিয়ার কাছে দেশের সচেতন জনগন প্রত্যাশা করে না।
আমরা চাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং বিডিআর হত্যার বিচার কোন রাজনৈতিক প্লাটফর্মে থেকে না হয়ে জাতীয় প্লাটফর্ম থেকেই হয়।
সবাইকে ধন্যবাদ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




