একজন বিরোধী দলীয় আইনজীবিকে বিড়ালের মত বস্তা বন্ধি করে পৌর চেয়ারম্যানের বাড়ির নিচের টর্চার চেল এ নিয়ে জ্যান্ত অবস্থায় হাত পায়ের কবজি কাটা হয়। পর্যায়ক্রমে কাটা টুকরোর সংখ্যা বাড়তে থাকে। হয়ত অসহ্য যন্ত্রনার একপর্যায়ে মারা যান সেই আইনজীবি। পরে শরীরের সবগুলো অংশ কয়েকটা ব্যাগে পুরে মজু চৌধুরীর হাট নামক স্থানে নিয়ে মেঘনা নদিতে চিটানো হয়।
এভাবে একটা প্রাণকে হত্যা করা হলে সে সময়ের প্রিন্ট মিডিয়া এ হত্যার প্রতিবাধে সোচ্চার হয়ে উঠে। প্রতিদিনই নতুন নতুন বিবতস সংবাদ প্রত্রিকায় আসতে থাকে। এক সময় খুনীদের অনেকেই বিভিন্ন হাস্যকরভাবেই পুলিশের হাতে ধরা পড়তে থাকে। দীর্ঘ সময়ের বিচারে যাকে আদালত ফাঁসির আদেশ দেন, আমাদের মাননীয় রাষ্ট্রপতি মাত্র দু'মাসের বিবেচনায় ফাঁসির আদেশ বাতিল করে দেন।
আমি ব্যক্তিগতভাবে ভৈরব গেলে মাননীয় রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের বাড়ি দেখে আসি। ঐতিয্যবাহী এক পরিবারের সন্তান তিনি। রাজনীতিক অঙ্গনেও বেশ প্রবীন তিনি। অনেক ইতিহাসের চাক্ষুস স্বাক্ষী তিনি। তিনি কি বলতে পারবেন, ইতিহাসে এরকম আরেকটি জগন্য অসভ্য হত্যাকান্ড আছে।
যদি থাকে তাহলে সে হত্যাকান্ডের জন্য কি শাস্তি ছিল ?
আমার বেশ জানতে ইচ্ছে করে, কোন ধরনের বিবেচনায় মাননীয় রাষ্ট্রপতি ফাঁসির আদেশ বাতিল করে দেন ?
বর্তমান মাননীয় রাষ্ট্রপতির ফাঁসির আদেশ বাতিল করে দেওয়া নতুন ঘটনা নয়, তবে এ হত্যাকান্ড সারা দেশের মানুষের মনে ক্ষত তৈরী করে।
আমি বুঝতে পারছি না এটা কিসের আলামত। আমরা সভ্য জাতির পরিচয় তুলে ধরছি নাকি আমরা অসভ্য জাতি হয়ে যাচ্ছি ?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




