somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আমি রানা
বাস্তব এবং সাধারন মানুষ আমার লিখার জীবন। এখানে রানা নামের একজন অতি সাধারন ব্যক্তির দৈনিক জীবন এবং তার দৃষ্টিতে সমাজের বর্তমান অবস্থা এবং এর প্রভাব তার নিজের ভাষায় প্রকাশ করা হবে।

মানুষ তার চিন্তার মতই বড়

৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষ তার চিন্তার মত বড়। কথাটি কি সত্যি? যদি সত্যি হয়ে থাকে তার প্রমান কি???
এমন বিষয় গুলকে প্রমান করা আসলেই কষ্ট সাধ্য বেপার, কিন্তু একটু গভিরে গিয়ে চিন্তা করলে এর সঠিক উত্তর পাওয়া যায়। একটি শিশু যখন জন্মনেয় তখন কেউই বলতে পারেনা সে আসলে বড় হয়ে কি হবে বা কি করবে? আবার বড় হবার পর ও বলা যায়না সে সফল হবে নাকি মোটামুটি জীবন চালিয়ে নিবে নাকি অর্ধ-পৃথিবীর মানুষের মত হতাস হবে।
আসল কথায় আসি, মানুষ তার চিন্তার মতই বড়, কিভাবে? একটু সূক্ষভাবে চিন্তা করলে বুঝতে পারবেন গোটা পৃথিবীটা একটা নিয়মে চলে সাধারন একটা সফটওয়্যারের মত, যার পরিচালনায় রয়েছেন ঈশ্বর।
সবকিছুই নিয়ম মেনে চলছে তা পরিবেশ কিংবা মানুষ। আমরা মানুষেরা পরিবেশের নিয়ম মানছিনা, যারফলে দিনরাত তাকে নোংরা করছি তার উপর জোর করে চাপ প্রয়োগ করছি, সবকিছু যখন সীমার বাহিরে চলেযাচ্ছে , সেও বিগড়ে গিয়েছে । যার ফল আমরা এখন পাচ্ছি।
মানুষের জীবনও একটা নিয়মে চলে এবং এই নিয়মটি প্রভাবিত হয় তার চিন্তা দ্বারা। ভিন্ন মানুষ ভিন্ন চিন্তা বাস্তবতা হল একটা মানুষ তার জীবনে যা করতে চায় বা হতে চায় সে তাই হয়। কিভাবে?? কারন চিন্তার ক্ষমতা আসলেই আনেক বেশি। এবার প্রশ্ন উঠতে পারে প্রতিদিনই আমরা হাজার ধরনের চিন্তা করি তাহলে তা হয়না কেন ?! তা হয়না প্রধানত দুইটি কারনে প্রথমত আমাদের চিন্তার প্রখরতা বা গভিরতা কম থাকে। এবং দ্বিতীয়ত আমাদের চিন্তাগুলো পরিবেশের সাথে সমন্বয় করতে পারেনা। (আগেই বলেছি পৃথিবী তার নিজের নিয়মে চলে।)
যেহেতু আমরা পরিবেশের আংশ, তাই পরিবেশের সাথে আমাদের সমন্বয় করে চলতে হয়, এবং আমাদের চিন্তা পরিবেশের সাথে সমন্বয় ঘটলেই আমাদের কার্য সম্পাদন হয়, তাছাড়া হয় না।
পৃথিবী একটা অদৃশ্য কাঁচের দেয়ালে বন্দি। যার কারনে আমাদের ইচ্ছা বা চিন্তা গুলো কোথাও গিয়ে জমা হয়ে পড়ে এবং তা কার্য রূপান্তরের অপেক্ষা করে। অবশেষে পরিবেশের সাথে সমন্বয়ের অপেক্ষায় থাকে, যখন সমন্বয় হয় ঠিক তখনই তা সফলতায় রূপনেয়। আর এই সফলতার জন্য কেউ দিনের পর দিন অপেক্ষা করে আবার কেউ অপেক্ষা করে বছরের পর বছর আনেকের এই অপেক্ষার পালা শেষই হয়না ।
এরার আসা যাক চিন্তার প্রখরতার দিকে। এটা আসলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্র্ণ বিষয়। আমরা সারাদিনে নানাবিধ চিন্তা করে থাকি, তা সচেতন এবং অবচেতন মনে। গবেষনায় বলছে একটা মানুষ দিনে গড়ে ষাট হাজার চিন্তা করে থাকেন। ভাবা যায় ?? আপনি দিনে ষাট হাজার রকমের চিন্তা করছেন। মজার বেপার হলো এর মাঝে আশি ভাগ চিন্তাই নষ্ট যার কোন অস্তিত্ব নেই বা যা আমরা মনে রাখিনা। বাকি বিশভাগ চিন্তার মাঝে প্রধান হলো দু-একটা চিন্তা বাকিগুলো এই দু-একটাকেই ঘিরে হয়ে থাকে। এই দু-একটা চিন্তার মাঝে ষাট ভাগই থাকে দুঃচিন্তা অথাৎ ভবিষ্যতে কিছু একটা হবে, তা কেমন হবে? ভাল হবে ? নাকি খারাপ? ইত্যাদি ইত্যাদি। বাকি চল্লিশ ভাগের মাঝে একটি কিংবা দুটি চিন্তা থাকে যা আমরা মনে প্রানে চাই তা বাস্তবে রূপ লাভ করোক । এই চাওয়াটাই একটা সময় আমাদের কামনা হয়ে দাড়াঁয় এবং আমাদের চাওয়ার মাত্রা এতটাই বেড়ে যায়যে তা পৃথিবীর চাওয়া হয়ে যায়, এবং এই পৃথিবী তা সযত্নে মজুত করে রাখে পূরন করার সংকল্পে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো আমরা মনে প্রানে অনেক কিছুই চাই,তা হয়না কেন?????
তা হয়না কারন আমাদের চিন্তার কিছু ভূল থাকে; যেমন: আমরা চাই কিছু একটা হোক কিন্তু পরিবেশ তা চায়না, সুতরাং তা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। আবার মনে-প্রানে ঠিকেই চাইছি কিন্তু তাতে আছে সন্দেহ কিংবা ভয়(একাগ্রতা নেই) তাহলেও তা বাধাঁগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়াও উদ্ভট অবাস্তব এবং অবানচিত চিন্তাও বাতিল হয়ে যায়। আবার বাতিল হওয়া চিন্তা অনেক সময় পর প্রকৃতি আমাদের ফিরিয়ে দেয় বাস্তব রূপে।
একটু ভেবে দেখেন আমরা মনে প্রানে যা চায় তার শতকরা আশিভাগই কোননা কোন ভাবে বাস্তবে রূপনেয়। তা আমরা অনেকটাই বুঝতে পারি আবার অনেক সময় পারিনা।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫৮
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×