গতকাল তরিগড়ি কাজগুলো ছেড়ে; হাতের অতিব্যস্ত বইকে স্বঃসম্মানে রেখে অনলাইন টিভির সামনে প্রোজেক্টর সেট করে বসে পড়ি বাংলাদেশে অনুষ্টিত "বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১" -এর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানটি দেখবে বলো । আমার সাথে বসে যায় বেশ কয়েকজন বাংলাদেশেরই বন্ধু আবার কিছু ভিনদেশী ছাত্র । সবার মন উদাস ছিল অনুষ্ঠানটি কেমন হয়; বাংলাদেশের সম্মান রক্ষা হয় কিনা । "সোনার বাংলার" সংগীতে আমরা সবাই দাঁড়িয়ে আমাদের জন্মভুমিকে সম্মান দেখায়, আমাদের সাথে ভিনদেশীরা ও যোগ দেই । প্রতিটি সুরে আর গানে আমরা মন আবেগপ্লুত হয়ে চেঁচিয়ে উঠি; বিদেশে থেকে দেশের প্রতি যে আবেগ টানে তাতো আর বলে বুঝানো যাবে না । আরো বেশি আনন্দ পাই যখন বাংলাদেশ আই.সি.সি ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান বলে "সাড়ে তিনশত ৫০ কোটি টাকার বরাদ্ধ" আর প্রধানমন্ত্রীর বলা "ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০০১ " আমাদেরকে ভীষনভাবে আনন্দ দেই আর আলোচনা-সমালোচনা করি এবং হাসি । অনুষ্ঠানটি আমাদেরকে ভীষন আনন্দ দিয়েছে এবং ভিনদেশীরা অত্যন্ত আনন্দ উপভোগ করেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই ।
কিন্তু, সবাই চলে যাওয়ার পরে ফেইসবুকে চোখ বুলাতেই চোখে পড়ে "পার্বত্য চট্রগ্রামে পাহাড়ীদের ৩০ টির মতো ঘর-বাড়ি পুড়ে দেয়ার কথা" তা দেখে শুধু খারাপ লেগেছে তা নয় বরং ভীষনভাবে আঘাত দিয়েছিল । একদিকে ভালো লাগার আবেগ আবার অন্যদিকে দূঃখের আবেগ । এসব ঘটনা ভিনদেশীদের বলি কিভাবে ? যে দেশের জন্য গর্ব করি, যে জন্মস্থানকে প্রাণের চেয়ে ও বেশি ভালোবাসি সেখানে নির্যাতন করা হয় নিরীহ লোকদের যারা দেশের জন্য গর্ব করেন । যেসব লোকেরা বিশ্বের সম্মানের চূড়াঁয় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে দেই । তাদেরকে নিপীড়ন-নির্যাতন করার পরও সঠিক বিচার দেয়া হয় না । এই দেশকে নিয়ে কিভাবে আবার গর্ব করি ??? ভীনদেশীদের কাছে এই করুণ কথা বলি কিভাবে ? কে বা কারা এই জন্য দায়ী ? কেউই নই, আমরা দ্বায়ভার এড়িয়ে যাই । এভাবে কি দেশের উন্নতি হবে ?? বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করি কিভাবে বা কিজন্য ??
দ্যা ডিইলি স্টার
প্রথম আলো
বিডিনিউজ২৪.কম