somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্ম

১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রায় বছর সাতেক আগের ঘটনা......
এক উচ্চ-শিক্ষিত প্রায় পঁয়তাল্লিশ ঊর্ধ্ব একজন মানুষের একটি ব্যাংক হিসাব খোলার ফর্ম পুড়ন করে দিচ্ছিলাম গল্প করতে করতে। অসাধারন এই মানুষটি তার কথার মন্ত্র জালে আমাকে প্রায় বেধে ফেলেছিলেন। খুব ভালো লাগছিল কথা বলতে। তার নাম, তার বাবা/মা এর নাম পুরন করলাম। সবগুলি নামই বলে দেয় তিনি এই দেশের সংখ্যা গুরু ৭৫% জনগোষ্ঠীর একজন। কিন্তু তবুও কেন জানি তাকে জিজ্ঞাসা করে ফেললাম- আপনার ধর্ম? বিপত্তিটা অখানেই করে ফেললাম। তিনি তীব্র চিৎকার করে আমাকে তিরস্কার করে বললেন, আপনার এতো বড় সাহস হল কি করে- আমার ধর্ম কোনটা জিজ্ঞাসা করেন। এটা আমার নিতান্তই নিজস্ব ব্যাপার। ওনার সেই তীব্র চিৎকার আমার কৃষ্ণ বর্ণের গাল দুটি থাপ্পরে থাপ্পরে যেন কয়লা কালোতে রুপান্তর হচ্ছিলো। পরে পরিস্থিতি একটু ঠাণ্ডা হলে তার সাথে অনেকক্ষণ কথা হওয়ার পর আমার গাল দুটি আগের রুপে ফিরে পেল কিন্তু দগ্ধ হল বিবেক কিম্বা অন্তর আত্মা। বারবার শুধু মনে হল আমার করা প্রশ্নটা মনে হয় আসলেই অশ্লীল ছিল- তাই রিয়াকশনটাও ঠিক ছিল। ( এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, এই জীবনে যতজন অসাধারন মানুষ এর সাথে আমার পরিচয় হয়েছে উনি তাদের একজন এবং উনি নাস্তিক নন।)
এই ঘটনা আমার চাকুরীর বাজারে নামার সময়ের ঘটনা-
সিভিতে রেফারেঞ্চ একটি গুরুত্বপুণ্য বিষয়। তখন ধারনা ছিল এই সিভিতে সরকারি কোন বড় কোন কর্মকর্তার রেফারেঞ্চ থাকলে চাকুরী পেতে সুবিধা হবে, তাই লতায় পাতায় পেঁচানো এক আত্মীয়র নাম সিভিতে দিয়েছিলাম, যেহেতু তার নাম ব্যবহার করছি তাই একদিন তিনি আমাকে দেখা করতে বললেন এবং আমার সিভির একটি কপি দিয়ে আসতে বললেন। একদিন বিকালে তার অফিসে গেলাম। অফিসে গিয়ে গিয়ে পাবো কিনা সন্দেহ। গিয়ে শুনলাম তার অফিস শুরু হয় সন্ধার পর। যা হোক অই অফিসের একজনের কাছে গিয়ে বললাম আমি অমুকের সাথে দেখা করতে চাই, আমাকে প্রশ্ন করলো, কি হয়? আমি বললাম- ভাই। আমাকে সেই মাপের খাতির যত্ন করে তার রুমে নিয়ে গেলেন। ( ওনার সাথে আজই আমার প্রথম এবং শেষ দেখা)। ওনার রুমে ঢুকে আমি সত্যিই চমকে গেলাম। কয়েকজন ছিল তারা বের হয়ে গেলো। সরকারী একজন কর্মকর্তার রুম এমন হতে পারে তার কোন ধারনা ছিল না। তার টেবিলে একগাদা ফলমূল। পাশে জায়নামাজ রাখা সাথে কোরআন শরীফও আছে। উনি যে কত বেশি মেধাবী ছিলেন সেই গল্প অনেক আগেই জানতাম, কথা বলে আরও ক্লিয়ার হলাম। যা হোক, কথার মাঝে মাগরিবের আজান দিলো, উনি বললেন, তুমি আঙ্গুর খাও, আমি নামাজ আর কোরআন পড়ে আসি। আমি বললাম, ভাইয়া, আমি একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি। আমি বের হলাম, এক কাপ চা খেয়ে একটা সিগারেট ধরালাম। কেমন জানি একটু অস্বস্তি লাগছিল। তার রুম কেন্দ্র করে ভীর বাড়ছিল। আমি সবার কাছে অপরিচিত ছিলাম, আমি কে ? এই প্রশ্ন বারবার শুনতে হচ্ছিলো। আমার পরিচয় বলার খাতির যেন বেঁড়ে যাচ্ছিলো। যা হোক আমার অনুসহিশ্নু মন তখন বুঝে ফেলেছিল সন্ধার পরের অফিসের কাহিনী। যা হোক তিনি খুব ধর্ম ভীরু মানুষ, তার নিজের গ্রামে প্রচুর প্রচুর কাজ করেছেন, প্রতিবার একজন গরিব মানুষকে হজে পাঠান। যা হোক তার কাছ বিদায় নিয়ে ফিরে এলাম। এরপর ১/১১ এর পর আর্মি যখন সব সরকারি অফিশকে দৌরের উপর রাখছে, তখনকার সময়ের একদিন সকাল বেলায় পেপার খুলে দেখি অই ভদ্র লোকের অফিসের সেরা ১০ জন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করেছে। এবং তিনি প্রথম ২জনের একজন। পরে জানলাম প্রতিমাশে ওনার আয় ছিল কয়েক কোটি টাকা............ যাই হোক উনি দেশের বাইরে পগারপার হয়েছেন। যাই হোক ওনাকে দেখে বুঝেছিলাম ধর্মকে এই ভাবে অশ্লীল ভাবে ব্যবহার করা যায়।
( যা হোক ধর্ম অবশ্যই একটি গোপন বিশ্বাস, যদি কেউ প্রশ্ন তুমি যে সত্যি অই ধর্মের তার প্রমান কি? প্রমান করতে অবশ্যই একটা উপায় হল জিপারে হাত দেয়া এবং সভ্য সমাজে সবার সম্মুখে জিপারে হাত দিয়ে খোলার চেষ্টা চরম অশ্লীলতার সামিল, নাকি তা নয়???
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:৩৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×