মাঝে সেন্টারফ্রেশ (চুইংগাম) খেতে অনেক ভাল লাগছিল। এমন অবস্থা হয়েছিল যে সকালে নাস্তার পর চুইংগাম, ক্লাসে বসে চুইংগাম, দুপুরে খেয়ে চুইংগাম, বিকেলে ঘুম থেকে উঠে চুইংগাম, রাতে খেয়ে ব্রাশ করার পরিবর্তে চুইংগাম ছাড়া ভালই লাগত না।
আশপাশের মানুষজনকেও চুইংগাম চিবাতে দিতাম। ক্লাসের দুইজনকে দেখলাম চুইংগামে আসক্ত হয়ে গেল। আরেকটা গ্রুপকে দেখতাম আমাদের দেখে চুইংগাম খাওয়া শিখেছে। ক্যান্টিনে অথবা কোন দোকানে সেন্টারফ্রেশ না পেলে আমি অল্প রাগ করতাম। একদিন চিন্তা করে দেখলাম, আমরা তো এখন অনেকেই চুইংগাম খাই। আমি কেন অযথা খুচরা ১০/২০টা করে কিনি?? আমি তো একটা ডিব্বা কিনে রেখে দিতে পারি!! পরে যখন মন চাইলো খাবো
একদিন এক চুইংগামখোর বান্ধবীর সাথে চুইংগাম কতটা উপকারী এ বিষয়ক আলোচনা করে ছোটবেলায় মা'য়েরা কেন চুইংগাম খারাপ বলে খেতে নিরূৎসাহিত করত এটা নিয়ে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করলাম।
আরেকদিন পরীক্ষা উপলক্ষ্যে অনেক রাত জেগে মাত্র ২ ঘন্টা ঘুমিয়ে খুব সকালে উঠে পড়ায় শরীরটা বেশ খারাপ ছিল। তার উপর খালি পেটে কফি খেয়ে শরীর গরম হয়ে গেছিল। পরীক্ষার ঠিক আগ মুহূর্তে বমি হল এবং সেই বমিতে নীল রঙের রাবার ভাসছিল!! কারণ রাত জেগে আমি পড়েছিলাম আর চুইংগাম খেয়েছিলাম
এই ঘটনার পর ৩টা ব্যাপার বোধোদয় হল।
১. আমরা যতই চুইংগাম চিবিয়ে ফেলে দেইনা কেন, কিছু রাবার পেটের মধ্যে যাবেই,
২. সিগারেটের প্রতি ধুমপায়ীদের যেমন নেশা হয়ে যায়, চুইংগামের প্রতি আমাদের সেরকম নেশা চেপেছিল, এবং
৩. মা'য়েরা সব সময় ঠিক!!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৭