somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

» পথে প্রান্তরে......গাঁও গেরামের জীবন্ত ছবি (মোবাইলগ্রাফী-২৯)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পূর্বাশায় সুর্য জাগার আগেই উঠো ঘুম থেকে, তাতো শুনলেই না। দেখো সোনালী আভায় মুখরিত প্রান্তর । ধূলো মাটি আর কুয়াশার আড়ালে সূর্য উঁকি দেয়। পাতায় পাতায় লেগেছে ফাগুন, মনে কেনো তোমার লাগে না প্রেমের আগুন। হাত ধরে এ পথ চলো হাঁটি, শিশির ভেজা মাটি ছুঁয়ে আসি পায়ের পাতা দিয়ে। শিহরিত হই সুখে, কী যাবে? নাকি শুয়েই কাটাবে মনোহারী দিন হুহ।
==============================================================
মোবাইলে ধারণ করা ছবি। ছবি তুলেছি স্যামসাং এস নাইন প্লাস দিয়ে। ধান ক্ষেতের ছবিগুলো ট্রেন থেকে তুলেছি। গ্রামের ছবি শ্বশুর বাড়ি তন তুলছি। আপনাদের ভালো লাগলেই কষ্ট সফল। আমার যা ভালো লাগে তাই ক্লিকে ক্লিকে তুলি। তাই অন্যদের দেখাতে চাই মুগ্ধ হওয়ার জন্য। যারা প্রকৃতি ভালোবাসেন তাদের জন্য ছবিগুলো। আশা করছি ভালো লাগবে।

২। পা ঝুলিয়ে বসি চলো, গোধূলী নামলো বলে, শিরশির শীত হাওয়া যদি ঝাপটে ধরে তোমায়, জড়িয়ে নেবো আঁচল দিয়ে। নাড়া ক্ষেতজুড়ে সুখের হাওয়া। আহা মুগ্ধতার অপর নাম একেকটি গোধূলী ক্ষণ। অথচ তুমি মুখ গুমরো করে চুপ বসে আছো। আচ্ছা বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা যদি না আসে আর যদি না আসে রাত তবে আরেকটি নতুন দিন পাবো কী করে বলো। এই তো নিয়ম দিন রাত আসা যাওয়ার খেলা। আর তুমি বিকেল পেলেই বিষণ্ণতা আঁকড়ে ধরো।



৩। তুমি নাইবা থাকলে পাশে আমার। আমার একাকি ক্ষণ বড় ভালো লাগে। তুমি যদি থাকো পাশে, হড়বড় করে বলেই যাবে আর আমি মুগ্ধ হতে পারি না । পাখি আমি একলা পাখি, মরা নদীর কূল ঘেঁষে বসে থাকি নিশ্চুপ। হাঁসদের ডুব সাঁতার আর সবুজ ধানের চারায় হাওয়ার দোলা, কেমন যেনো হয়ে যাই আনমনা। নি:শ্বাস টানি শান্তির। শুধু দেখে যাই আমার ভালোলাগা প্রকৃতির মুখ।



৪। আকাশ থাকুক সে তার মত ফিকে রঙ বুকে নিয়ে, আমার তাতে কী হুহ। আমি হবো না আজ উর্ধ্বমূখী। আমি কেবল মর্ত্যে রাখবো দৃষ্টি আহা কী যে ভালোর আবেশে চোখ আসে বুজে। কাকে বলি এমন মুগ্ধতার কথা। কাকে শুনাই দেশের গান কাকে বুঝাই....... মায়ায় ভরা প্রকৃতির মাঝে সঁপে দিয়ে প্রাণ কেবল ভালোবেসে যাই আমার মাতৃভূমিকে।



৫। ধরো, ধূঁধু মাঠ প্রান্তরে তোমার আমার ছোট কুঁড়েঘর, জনমানবহীন। তুমি আর আমি দিনের আলোয় হাওয়া খেয়ে বেঁচে থাকি। গায়ে মাখি মুগ্ধতার রঙ, চোখে রাখি কিছু স্বস্তি তুলে আর বুকে রাখি এক সমুদ্দুর শান্তি। কিন্তু রাতের বেলা ঘুরঘুট্টি অন্ধকার, কেবল তুমি আমি কেমন লাগবে তোমার-তুমি কী খুব ভয় পেয়ে আমায় জড়িয়ে ধরে রাখবে রাত্রিভর-চোখ খুলেই আবার দেখতে পাবো আলোর ভোর আহা.......কল্প ডানায় ভেসে বেড়াই তোমার মন প্রান্তরে।



৬। গরু চড়া মাঠ, নাড়া ক্ষেত, মানুষের কর্মব্যস্ততা যে যার মত থেকে যায় এখানে। আমি কেবল তাদের দেখি, কষ্টগুলো দেহে ভরে এরা কি করে খেটে যায় দিন কী রাত। তুলে আনে ঘরে সোনার ফসল। ওদের ঠোঁটে থাকে সুখের হাসি। আমি কখনো ওদের দু:খ মুখ দেখিনি।



৭। বেলা পড়ে এলেও হাঁসেরা ফিরতে চায় না বাড়ি ঠিক আমার মতন। ওরাও থেকে যেতে যায় জলে ভেসে ডুবে অথবা প্রকৃতির বুকে শুয়ে বসে। এমন যদি হতো আমিও থেকে যেতাম এখানে একটি দিন আর একটি রাত্রি, সুখ অথবা ভয় অনুধাবন করে কিছু অনুভূতি জমা করে নিতাম বুকের ঝুলিতে।



৮। সোজা চোখে দেখে নিয়ো, আমি না হয় বাঁকা চোখে দেখেই মুগ্ধ হই। চোখ শাটারে ক্লিক করতে গিয়ে মুগ্ধতায় হেলে যাই আর ছবিগুলো এমন করেই বাঁকা হয়ে যায়। কিন্তু এখানে মুগ্ধতা আছে। আছে শান্তি স্বস্তি আর শুদ্ধ অক্সিজেন। পারলে টেনে নিয়ো নাকে।



৯। কোদালের কোপে কোপে ঝরে পড়ে ঘাম, ক্ষেতের আলে আলে নালা.........ঠিক এ পথেই আসবে ক্ষেত উর্বর করার মূল উপকরণ........জলের ছোঁয়ায় ধানী জমি হবে স্যাঁতস্যাঁতে। আর কৃষকরা বুনবে তাদের স্বপ্নগুলো একে একে। ঘর আলো করে একদিন উঠে আসে রিযিকের দানা, কস্ট তখনই হয় সফল।



১০। ঐ যে নীল সামিয়ানা ঘিরে আছে ধানী জমি........আর ওখানেই আমার আত্মজ খেলছে ছাগল নিয়ে, আহা ছেলেবেলা কত কিছুই মনে লেগে থাকে। এই যে মাঠ এই যে সুখের হাওয়া। এসব গায়ে মেখে কে না থেকে যেতে চায় এখানে, সুখ ছুঁতে।



১১। পা মাড়িয়ে এদিকে চলে যেয়ো না প্লিজ, থাকুক এ পথ আজ আমার হয়ে । আমি দূর্বাঘাসে বসে দৃষ্টি তাক করে রেখেছি আর মনে বারবার ঘুরে ফিরে আসে ফাগুন, পাতা ঝরার দিনগুলো বড্ড সুখের লাগে। তুমি হাঁটলেই পাতা হয়ে যাবে নুপূর । এবেলা আমি শুনতে চাই না রিনিঝিনি সুর। আমি আজ সুর শুনবো হাওয়ার।



১২। জলের আয়নায় হাঁসরা দেখে নেয় তাদের ডুব সাতার খেলা। এই এসো তুমিও দেখবে আকাশ ছবি অথবা তোমার আমার মুখদ্বয়......আমি জল ছুঁলেই তুমি হয়ে যাবে এলোমেলো হাাহাহা.......সুখ কুঁড়াতে যদি চাও তবে এসে এখানে।



১৩। লাউয়ের মাচায় লাউ ধরেছে
পুইয়ের ক্ষেতে পুই
ওরে বন্ধু তুই যে আমার
বেলী বকুল জুঁই।
ইচ্ছে লাগে এবেলাতে
তোর বুকেতে শুই।



১৪। তোমার আমার কুঁড়েঘর, চারিদিকে সবুজের আস্ফালন। কী যে ভালো লাগার সংসার বাগান। তুমি উঠোনের কোণে লাগিয়ে দিয়ো বকুল আর কদম আর আমি রুয়ে রাখবো মুগ্ধতা কিছু।



১৫। চলো বসি পা দুলিয়ে, দেখি বিকেলের ছবি। কেমন করে পাখিরা নীড়ে ফিরে আর কেমন করে কৃষানীরা বিকেলের কাজগুলো একদমে শেষ করে ফেলে। তুমি মুগ্ধ হবে আর মনে আঁকবে জীবন ছবি।



১৬। জলের আয়নায় আকাশ নুয়ে পড়ে
বৃক্ষ তরুরাও দেখে নেয় একনজর তাদের রূপ মাধূর্য্য
আর আমি ওদের দেখে মুগ্ধ হই,
সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবাসি-তিনি আমাকে দিয়েছেন দেখার মত চোখ।



১৭। উঠোন জুড়ে ধূলোর উড়োউড়ি, কৃষানী হাঁসের ঘরে খিল খুলে দিলেই ওরা ঘুড়ি হয়ে যায়। কখনো পাখি,,,,,, উড়াল দিতে দিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নদীর জলে........ওদের পিছুনে যেতে যেতে হাঁপিয়ে উঠে বলি-এই তোরা আমায় দুটো ডানা দিবি। আমিও এবেলা হাঁস হতে চাই।



১৮। সমস্ত ক্ষেতজুড়ে ধানের ছাড়া ...... আর ধান শালিকেরা উড়ে বেড়ায় স্বাধীনতায়। এমন করে আমিও উড়তে চাই স্বাধীনতায় অথচ আমি হয়ে আছি নাটাইয়ে বাঁধা ঘুড়ি।



১৯। বিবর্ণ রঙ আকাশের নিচে সোনালী নাড়াগুলো পা মাড়িয়ে মানুষ রাস্তা তৈরী করে নেয়। স্মৃতিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। একদা এমন পথ ধরে হেঁটে যেতাম বিদ্যালয়ে।



২০। হাঁসেরা নীড়ে ফিরে গেছে। আমি এখন একলা পাখি, বসে আছি নদীর ধারে, এ নদীর স্রোত নেই, কী নিস্তব্ধ প্রহর এখানে। যে যার মত কাজে ব্যস্ত অথচ আমি একখন্ড অবসরের বুকে বসে মুগ্ধতা কুঁড়াই। আলহামদুলিল্লাহ।



২১। নাড়া ক্ষেতে আর ঘাস কোথায়। তবুও গরুরা শুকে শুকে খুঁজে নেয় অল্প খাবার, এই মৌসুমে ওরা শুকিয়ে কাঠহয়ে যায় অথচ কৃষ্টকরা নজর দেয় না।



২২। আহা কীমুগ্ধতার পথ গো দেখে যাও, মেঠোপথের দু পাশে সুপারী গাছ সারি সারি........ এটা হলো তোমার আমার বাড়ি। চলো এখানেই থেকে যাই অনন্তকাল। ব্যস্ততাকে দিয়ে ছুটি।



২৩। জলসেচ পাম্প...... জলে কলকল ধানী জমি কিন্তু চাপকলে জল নেই, শুকিয়ে গেছে-লেগে গেছে খরা, তৃষ্ণায় কাঁপে বুক তবুও মানুষ ক্ষেতে দিয়ে দেয় সব তৃষ্ণা জলাঞ্জলি।



২৪। সবুজ বরন দেশটি আমার
সবুজ ধানের মাঠ
এখানটাতে বসে যেনো
মুগ্ধতারই হাঁ ট।



২৫। ধান ক্ষেত। ট্রেন থেকে তোলা



২৬। স্বচ্ছ জলের পুকুর।



২৭। smile



২৮। পুকুরের পাড়ে রুয়ে দিয়েছি, কুমড়োর চারা
কুমড়ো ফুলের বড়া খেয়ে তুমি সুখে হবে পাগলপাড়া।



২৯।



৩০। বরবটি ফুল।



ধন্যবাদ
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭
২৩টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×