somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

» ভেজা অনুভূতি লেপ্টে থাকুক জীবনজুড়ে (মোবাইলগ্রাফী-৩৪)

১০ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



স্যামসাং এস নাইন প্লাস দিয়ে তোলা ছবিগুলো । বিভিন্ন সময় তুলেছিলাম বৃষ্টির পর। আশাকরি ভালো লাগবে সবার।

১। ছবির গল্প,
এই ফুলটি কুঁড়িয়ে পাই বাসার গেইটে, প্রায়ই এখানে কাঠগোলাপ পড়ে থাকে। কারণ ছাদে একটা গাছ আছে। খুব অবহেলায় টিকে আছে আহা কত ফুল যে ধরে ছাদে গেলে অন্য বাসার ছাদে চোখ দেই তখন। আর ফুলগুলো প্রায়ই কুঁড়িয়ে আনি বাসায়। সেদিন বৃষ্টি হলো ফুলটাকে রেখেছিলাম রোজ ক্যাকটাস গাছে ঝুলিয়ে, বৃষ্টির পর ঝকঝকে মুগ্ধ ছবি। দেখলেই আরাম লাগে এমন ছবি।


২। বৃষ্টির পর- অফিস ছুটির সময় তোলা এই ছবিটি। অফিসে ছবি তোলা লজ্জাজনক লাগে। তাছাড়া বাগানের কাছে হুদাই কে আর যায় সবাই দূর থেকে দেখে। সেদিন গেলাম কাছাকাছি বৃষ্টিতে ভেজা ফুলগুলোর ছবি উঠাতে । কেউ তাকাইলে তাকাক বললে বলুক এসব তোয়াক্কায় ছবিগুলো মনের নাগালে আসে। দেখলেই ভালো লাগে।



৩। এটা ছেলেদের স্কুল থেকে উঠানো। ছেলেকে আনতে গিয়ে দেখি বৃষ্টি ভেজা এই শুভ্র ফুল। কেমন করে সবুজের বুকে মুখ লুকিয়ে ওরা বৃষ্টি স্নানে রত ছিলো। আমার চোখ হতে বাঁচতে পারেনি ওরা হাহাহা। টাচ ক্লিকে তুলে আনি এই কিছু মুগ্ধতা।



৪। এই ছবিটা আমাদের বাসার কাছে, কবি জসীম উদ্দিনের বাচ্চাদের বাড়ি আসমানীর বাগান থেকে তোলা। ছেলেকে কোচিং থেকে আনতে যাবো তখনই চোখে পড়ে ওদের। ফুল ছোট কিন্তু রঙ মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর। বৃষ্টিতে ওদের আরো আকর্ষনীয় লাগছিলো।



৫। এই দৃশ্য রোজই দেখি। কখনো ছবি তুলি কখনো ফুল সরিয়ে হেঁটে যাই, এটাও ব্যাংক কলোনী স্কুল থেকে তোলা। নিচে বসে ছবি তুলতেছি -মেডামরা বলে কী করছেন আপনি, আমি বললাম ছবি উঠাচ্ছি ম্যাম। উনারা হেসে চলে গেলেন। ফুলরাও হাসলো আমার মোবাইলে চুপ বসে ।



৬। স্কুলের বাগান থেকে উঠাইছি। বেলী ফুলের হাজার ছবি আছে মোবাইলে। এই বাগানটি দারোয়ান খুব যত্নসহকারে করেছে। কত রকম ফুল ফুটে থাকে প্রতিদিন। ছবি উঠাতে উঠাতে আমি ক্লান্ত। তবুও উঠাই ভালো লাগে খুব। এসব আমার মুগ্ধতা। সুখ।



৭। এই ছবিটি আমাদের ভোগ্যপণ্যের দুতলা থেকে তোলা। সেদিন ছেলেদের টিফিন কিনবো-আমাদের আবার ফাস্টফুডের দোকান এখানে। সিঁড়ি বেয়ে উঠতেই দেখি পাতা চুয়ে বৃষ্টির ফোঁটা । ভালো লাগার ভরপুর সময়। সজীব প্রহর আমার । টাচ ক্লিকে তুলে রাখি সুখ সময়।



৮। বৃষ্টির মুুহুর্তে ছেলের স্কুল শুরু, ছাতা দিয়ে পৌছে দিয়ে তারপর পুরো কলোনী একটা চক্কর মারি। হাঁটতে ভালো লাগে তাছাড়া বৃষ্টির খোঁজে নেমে পরি ভেজা রাস্তায়। শিউলী গাছের নিচে পড়ে থাকে ঝরা শিউলী, বৃষ্টিতে মাখামাখি তবুও বদ বেটির রূপের সীমা নাই। শুভ্রতা রূপ নেয় শুদ্ধতায় মনটা পবিত্রতার ছুঁয়ায় ভরে থাকে এবেলা।



৯। এই ছবিটিও ব্যাংকের ফাস্ট ফুডের দোকান থেকে তোলা। একটা তুললে মন ভরে না। তাই দুই তিনটা ক্লিক পড়বেই পড়বে।



১০। দেখে দেখেন ক্যামনে আমার দিকে চায়া আছে, ছবি না তুললে সে অভিমানি হবে তাই আর দেরী না করে ছবি তুলে রাখি। সেও খুশি আমিও খুশি। সেও মরবে না আমার মুগ্ধতারাও মরবে না । ঠিক কইছি নি?



১১। ইহা একটি হাসনাহেনার হাসি। বৃষ্টির পরও সে পাপড়ি মেলে হেসেছিলো। ইহাকে খুঁজিয়া পাই আমি স্কুলের বাগানে। কিন্তু দিনের বেলা ইহার কোনো গন্ধ খুঁজিয়া পাইলাম না যদিও উনি বেশ সুন্দরী তখনো।



১২। ইহা জসীম উদ্দিনের বাড়ির বাগান থেকে তোলা। ইহাকে আমি কাঠবেলী বলে বুলাই। বৃষ্টিতে ভিজে লজ্জাবতী লতার মত চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলো দেরী না করে তুলে রাখি উনাকে আমার ছবিঘরে।



১৩। ইহার নাম আমি আজও সন্ধান করিয়া পাইলাম না। যাক নাম দিয়া কি হপ্পে ফ্রান্স । উনি আর ফুটেন না। এতটুকুই উনার সাহস। ইহা আমি স্কুলের বাগান থেকে উঠাইছিলাম।



১৪। ইহার কাহিনীও এক অই যে বলেছিলাম না ইহাকে আমি অফিসের ফাস্টফুড দোকান থাইক্কা উঠাইছি। দেখেন কেমন ফোঁটা ঝুলে আছে পড়ি পড়ি করে পড়ে না কার না ভালো লাগবে বলেন হুহ ভালো না লাগলে দেখা ফেরত নিমু কইলাম।



১৫। এটি হলো এজিবি কলোনীর বাজারের ফাঁকে একটা নার্সারী থেকে তোলা। কী কারণে বাজারে গেছিলাম অহহো একটা ঝাড়ু কিনতাম, দেখি বৃষ্টিতে ওরা সুন্দরী সাজে দাঁড়িয়ে আছে। ভালো লাগায় ভরপুর সময় আমার। থাকুন বন্দি মন ক্যামেরায়।



১৬। ইহার নাম জানি না কিন্তু। বৃষ্টিতে ভিজে সুন্দরী সাদা জামা গায়ে শুদ্ধতার রঙ ছড়াচ্ছে। স্কুলের বাগান থেকে তোলা ছবি।



১৭। ইহা কলোনীর বাজারের নার্সারী থেকে তোলা। ১৫ নং কমেন্টে লিখা আছে। হলুদ রাণীর প্রেমে পড়ে গিয়ে ছবি উঠাইছি।



১৮। স্কুলের বাগান থাইকা তুলছি। নয়ন তারা বৃষ্টিতে ভিজে জামাকাপড় ভিজে গেছে ওদের তবুও ওরা সুন্দর।



১৯। ১৫ নং কমেন্টে লিখা আছে। সাদা জবা রাণী। গন্ধ না থাকলেও চোখে মুগ্ধতা এনে দেয় এই হারামী।



২০। ২ নং কমেন্টে লিখা আছে এই গোলাপী কন্যার কাহিনী।



২১। ইহা স্কুলের বাগান থাইকা তুলছি। আর কিছু কইতে হপে ফ্রান্স?



২২। স্কুলের বাগানের টগর ফুল। বৃষ্টিতে ভিজে শুদ্ধতা ছড়াচ্ছে খুবসে । ভালো লাগে আমার এমন প্রহর। বৃষ্টি ভেজা প্রহর। ভালোবাসি আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির সব সৌন্দর্য্যকে। ভালোবাসি আল্লাহকে।



২৩। স্কুলের বাগানের ফুল। আর কিছু কইতাম না হুহ



২৪। এই কাহিনীর সাথে এক নং কমেন্টের মিল আছে । হাহাহাহ আর কইতাম না



২৫। এই ছবিটি খুবই ভালো লাগে আমার। যেনো তুমি আর আমি ঝুলে আছি ডাল ধরে। প্রেমে প্রেমময়ী তুমি আমি সুখের জলে ভিজছি। মাথাতুলে দেখছি আবার বৃষ্টি ভেজা আকাশটাকে আহা। ভালো লাগার মুহুর্তগুলো আমার। তুলে ধরলাম আপনাদের মাঝে। শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী ভাই কইয়েন না আপনার সব পোস্ট একই রকম। কিতা করতাম কন এক জায়গাতেই থাকি খাই শুই। ছবি তোলার লোকেশন আর খুজেঁ না পেলে কিতা করতাম কন। আমি ছেলে হইলে সারা ঢাকা শহর চষে বেড়াতাম আর ফটো তুলতাম। না তুললে পোস্ট দিমু ক্যামনে আপনিই কন।



সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫
১৯টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×