somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

» ফুলের ছবি (মোবাইলগ্রাফী-৩৯)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
০১।



=ফ্রেমবন্দির গল্প=
বকুল ফুল ফুটার সময় যখন আসে তখন সেই পথে হেঁটে গেলে দেখি পথে কেবল ফুল বিছানো। ফুলে পা পড়বে ভেবে কত ফাঁকফোঁকরে হেঁটে যাই। মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে অনেক ফুল কুঁড়িয়ে মালা গাঁথি কিন্তু পিছনে তাকালেই দেখি মানুষ আসতাছে হাহাহা । তখন আর ফুল কুঁড়ানো হয় না। তবুও ফাঁক ফোঁকরে এই ফুলগুলো রাস্তা থেকে কুঁড়িয়ে জমা করে ছবি তুলেছি। কিছু ফুল হাতে নিয়ে হাঁটতে হাঁ টতে গিয়ে বৃষ্টি ভেজা কচুপাতাতে রেখেছি, তখন তুমুল বাতাস বইছিলো যার কারণে ছবিগুলোর ফোকাস ঠিকঠাক মত আসেনি। অবশ্য একটা ভিডিও করেছি। বাতাস এসে সব ফুল ফেলে দিয়েছে ঘাসে।

বকুল ফুল এমন এক জিনিস, হাতে নিলেই সুঘ্রাণের মাদকতা ছড়িয়ে পড়ে। হাতের মুঠোয় থাকতে থাকতে চুপসে গেলেও এর ঘ্রাণ থেকে যায়। কিছু বকুল ফুল বাসায় এনেছিলাম ছবি তুলবো বলে, সময় না পাওয়ায় ফুলগুলো একটা বক্সে ভরে রেখেছি দিয়েছি ডিপ ফ্রিজে। এখনো আছে। আজ খুলে দেখবো তারা বেঁচে আছি কিনা হাহাহা।

তবে বকুল ফুলের বিছানা দেখেছি রমনা পার্কে, কত বড় বড় গাছ আর গাছের নিচে বকুল ফুলে ভর্তি। এখান থেকে কুঁড়িয়েই মনে হয় ছোট বাচ্চারা মালা বিক্রি করে রাস্তায়। অবশ্য রমনা পার্কে গিয়ে বকুল ফুলের ছবি তোলা হয়নি। আরেকদিন সময় পেলে সেখানকার পরিবেশের ফটো তুলে আনবো ইনশাআল্লাহ।

আশাকরি ছবিগুলো আপনাদের মাঝে অলীক ঘ্রাণ ছড়াবে। দৃষ্টির শান্তি হবে। আর বকুল ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ পাওয়া দুস্কর। তো দেখতে থাকুন ছবি....... ফি আমানিল্লাহ।

১।
বকুল ফুলের মালা দেবে, আমার খোঁপায় পরিয়ে
চোখের পাতায় দাও না বন্ধু বকুল ফুল ছড়িয়ে
হাতের বালা বকুল ফুলে, দাও আজ গড়িয়ে,
ফুলের ঘ্রানে দেবে আমার, মনোপ্রাণ ভরিয়ে।
---------------------
২।
যদি কখনো বিষাদে ছেয়ে যায় তোমার অন্তর
আমার কাছে এসো, তোমাকে দেবো একটি বকুল বেলা,
ঝরে পড়া বকুল তুলে দেবো হাতে, সুখের যাদু মন্তর
তুমি ভাসিয়ো মন নদীতে স্বস্তির ভেলা।
------------------------অসমাপ্ত-----------------

০২।



আচ্ছা রোদের রঙ কী হলুদ? নাকী সোনালী, অথবা বাসন্তি? রোদ চশমা ছাড়া বাইরে তাকানো কষ্টকর। কপাল কুঁচকে রোদ দেখলে শেষে কপালে বলিরেখা পড়ে যাবে। সেই ভয়ে রোদ চশমা পড়ে দুপুর বেলা হাঁটি আর ভাবি রোদের রঙ হলুদ অথবা বাসন্তি। এই শ্রাবণের কোলে বসে আপনাদেরকে আজ দেবো হলুদ অথবা বাসন্তি রোদ উপহার।

=তুই বলেছিলিস...... কোন এক দুপুরে.....
তুই বলেছিলিস, এই তুই কী বাসন্তি সাজবি?
আমি তোকে এনে দেবো গাঁদা ফুলের পাপড়ি
সূতোয় গেঁথে গলায় পরে নিস;

তুই বলেছিলিস, এই তুই কী আমার ফাগুন হবি?
অলকানন্দা রঙের শাড়ী পরবি?
হাতে পড়বি গাঁদা রঙ চুড়ি,
চুরে পড়বি সূর্যমূখী রঙ চুলের কাঁটা।


০৩।



©কাজী ফাতেমা ছবি
বেলী ফুল কার না পছন্দ, কে না ভালোবাসে বেলীকে, সবুজ পাতার মাঝখানে সে সাদা ডানা মেলে ফুটে থাকে। এতই মাতাল করা ঘ্রাণ আলহামদুলিল্লাহ। এই বেলী গাছগুলো আমাদের ছাদের বাগানে। বাগান আমার না কিন্তু বেলী আর অন্যান্য ফুলের লোভে মাঝে মাঝে হাঁটতে ছাদে চলে যাই। প্রতিবারই দেখি অসংখ্য বেলী ফুটে আসে গাছে। কখনো ফুল ছিঁড়ি না কেমন যেন মায়া লাগে। ঘুরে ফিরে এই বেলীকেই অসংখ্যবার মুঠোফোনের ক্যামেরায় ধারণ করি।

বেলী পবিত্রতার প্রতীক, বেলী শুদ্ধতার প্রতীক, আমাদের মনটাও যেন বেলীর মত হয়, শুভ্র, সেখানে মোহ কিংবা লোভ হিংসার জায়গা না হোক পরম করুণাময়ের নিকট এটাই চাই সব সময়। ইচ্ছে আছে নিজের ছাদ বাগান হলে ছাদের সর্বত্র বেলী ফুল লাগিয়ে রাখবো তারপর চা ফ্লাক্সে করে নিয়ে সেখানে চা পান করবো আর ছবি তুলবো চায়ের সাথে ইনশাআল্লাহ। যাই হোক বেলী নিয়ে কবিতা বা ছড়া হয়ে যাক........ নাকী বলো ছোটো ভাই বোন বন্ধুরা?
....................
এই শোন, মন চাতালে এবার বুনে দিয়ো একশত দুই বেলীর চারা,
শুদ্ধতার ক্ষণ হোক আমার, পবিত্রতা রাখুক ঘিরে
অজস্র ফোঁটা বেলীর ঘ্রাণে হবো আমি সুখে আত্মহারা,
মুগ্ধতা এনে দিয়ো কোনো একদিন তুমি, মনের নীড়ে।

০৪।



ভ্রমর এসে ফুল ছুঁয়ে যায়, ছুঁও না চোখের পাতা
ছন্দ ছাড়া থাকে খালি, আমার কাব্যের খাতা;
কেমন তুমি ছুঁও না তো মন, দাও না আলোর প্রহর
পাথর ভরা মনের শহর, সেথা নেই প্রেম লহর।
তুমি যদি ফুল হও বন্ধু, আমি হবো ভ্রমর
মন ভরা কী তোমার বাপু, সাগর সম গুমর?

০৫। কোনো একদিন এজিবি কলোনীর বাজারে গেছিলাম সেখানে ছোট নার্সারী থেকে তুলছি ফুলটি। লেখা বড় করতাম না আর।



০৬।



সাদা হলো পবিত্র রঙ, সাদা ভালোবাসি
সাদায় সেজে ঠোঁটে রাখি, আলতো সুখের হাসি।
চোখের কোণায় সাদা রঙে, আল্পনা খুব আঁকি
সাদা রঙের ফুল হতে যে, মুগ্ধতার রঙ মাখি।

০৭।



তুই বলেছিলিস, এই তুই কী আমার বসন্ত হবি?
চোখের কাজল কালো না দিয়ে বাসন্তি রঙ কাজ পরবি
হাতের বালা দুটো যেনো হয়, সোনালো ফুলের পাপড়ি রঙ,
কপালে এঁকে দিস কৃষ্ণচূড়া রঙ টিপ,
ঠোঁট রাঙাস কিন্তু শিমুল রঙে।

০৮।



একদিন এসো উঠোনের কোণের সেই শিউলী তলায়
যেখানে ধূলোয় বিছানো শুভ্রতার চাদর
এসে ঠাঁয় দাঁড়িয়ো, আমি মালা গেঁথে পরিয়ে দেবো গলায়,
তুমি চোখের পাতায় বুলিয়ে দিয়ো আদর।
=====================
বিষণ্ণতার পথে হেঁটে হেঁটে বড্ড ক্লান্ত
কিছুটা ক্ষণ থেকো পাশে আমার, শুদ্ধতা নিয়ে,
একঘেঁয়েমীতে হলপল কেমন যেনো হই উদ্ভ্রান্ত,
এসে আজ মনটা ভালোবেসে নিয়ো ছিনিয়ে।
===================
কতটা সময় চলে গেলো পেরেশানী সব গায়ে মেখে,
ব্যস্ততা আর বিত্তের পিছু ছুটে,
কিছু সুখ স্মৃতি না হয় যেয়ো বুকের বামে রেখে,
এসো শিউলী তলায়, যেখানে শুদ্ধতায় সহস্র শিউলীরা ফুটে।

০৯।



হলুদ আলোর প্রহর দিলাম, বন্ধু নেবে তুমি?
দখল দেবে আমায় তুমি, তোমার বুকের ভুমি?
কসমস ফুলের রঙও দেবো, মুগ্ধ করবে আঁখি?
বুক পকেটে রাখবে তোমার, সুবাস নেবে মাখি?

১০।



এমন একটি প্রহর আমায় দেবে, যেখানে উড়ে গোলাপী আভা
বসবে পাশে আমার, মিষ্টি আবেশ মাখানো প্রহরে?
যেখানে নেই এডিস, অথবা বিষাক্ত কীট পতঙ্গের থাবা,
ঝড় উঠাবো উচ্ছ্বলতার? আমার মনের শহরে?
------------------------
নিয়ে যাবে আমায় এখানটা ছেড়ে অন্য কোথাও
যেখানে গোলাপী রঙ লিলিরা হাওয়ায় দোলনায় খায় দোল
হবে তুমি এই চেনা জনপদ ছেড়ে অন্য কোথাও উধাও?
আমি হারাতে চাই গোলাপী রঙ আভাতে হয়ে ভুলে বেভোল।

১১।


প্রেম দেখবে কী চোখের আয়নায়, একটুখানি নুয়ে।
সোনার আলোর প্রহর দিলাম, নাও না বুকে তুলে

১২।



নীল অপরাজিতার নাকি চা তৈরী করা যায় । এটা কখনো ট্রাই করিনি। অনেকেই ছবি দিয়েছেন নীল চায়ের এত্তগুলা সুন্দর লাগে। খেতে হয়তো টেস হবে না কিন্তু উপকারী হতে পারে। একদিন নীল অপরাজিতার চা তৈরী করে ফটো তুলবো আর আপুদের মাঝে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।

০১। = নীল ব্যথায় অন্তর করে দিয়ো না চুরমার=
মনটা আমার আর করো না, নীল অপরাজিতা,
কথায় তোমার জীবন আমার হলো তিতা তিতা,

০২।
আমি সবুজ পাতা আর তুমি যেন নীল অপরাজিতা,
কেমন করে বেদনার কাব্য হয়ে ঝুলে থাকো মনের শাখে শাখে,
ঝরে পড়ো না সহসা, সবুজ রঙ করে ফিকে তবেই যেন শান্তি,
অথচ আমি নীল আকাশটা ভালোবাসি,
চাই নীল আকাশের মত হও তুমি, প্রশস্ত হোক মন তোমার!

১৩।অফিসের গামলায় শাপলা। এ সেভেনে তোলা



১৪।



ফুলের পাপড়ি দাও না ছিঁড়ে, মনের জলের ঘাটে,
নিত্য বন্ধু থাকো ব্যস্ত, টাকা ইনকাম পাঠে,
আকাশের নীল দেখো নাতো, হও না রঙিন ঘুড়ি
বয়স তোমার আশি বুঝি, আমার বয়স কুড়ি।

১৫।



ফুলের মত ফুটতে পারো নি কখনো, মন বাগানে মনের শাখে
হও নি ফড়িং অথবা প্রজাপতি
বসো নি হুটহাট প্রেমের বার্তা নিয়ে আমার হৃদয় বাঁকে,
আমার মত তুমি, এমন ফুরফুরে মনের অধিকারী হলে
কী বা হতো এমন ক্ষতি? বলো?

লেখাগুলো অসমাপ্ত কারণ গদ্য পদ্য দুইটাই ছিলো, পরে একেক ফুলের একেটা পোস্ট দিয়ে পুরো গল্প লিখে দেবো ইনশাআল্লাহ।

এই পোস্ট জানা আপনার জন্মদিনে উৎসর্গ করলাম। আপাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আল্লাহ তাকে নেক হায়াত দান করুন।

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৬
২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×