©কাজী ফাতেমা ছবি
মেয়েবেলা,তরুণবেলা সুখের তরী বাইতাম
রঙিন ঝলমল এই ধরাটা আপন করে চাইতাম।
রঙের ঘুড়ি মন আকাশে, উড়তো নিরবধি
বুকের ভিতর কলকলানি প্রেমের অথৈ নদী।
চোখের ভিতর সুখের ঝর্না ঝরতো দিবারাতি
রাত আঁধারে জ্বলতো মোহ অদৃশ্য এক বাতি।
জোনাক জ্বলা প্রহরগুলো বাঁশঝাড়ের ঐ ফাঁকে
মেয়েবেলার কত স্মৃতি...বুকে জমা থাকে!
সাদা বোতল জোনাক পোকা জ্বলে নিভে বন্দি
উড়তো ঘুরতো ঢাকনার পাশে পালানোর কি ফন্দি!
আহা জোনাক আর জ্বলেনা, মনের মাঝে জরা
অবেলাতে লাগলো মনে জীর্ণতারই খরা।
ধানের ক্ষেতের ছোট আলের দূর্বাঘাসের প্রহর
শিশির বিন্দুর পায়ে ছোঁয়া, শিহরণের লহর।
ধোঁয়া উড়া ভাতের মজা, ছিলো মেয়েবেলা
যান্ত্রিক জীবন চলছে এখন ফরমালিনের খেলা।
পুকুর পাড়ের সবুজ ঘাসে আটকে আছে মায়া
উঁচু বিল্ডিং এই শহরে, দেয় না মাথায় ছায়া।
শিশির ভেজা দূর্বাঘাসের, প্রহর অতীত হলো
এই শহরের ইট সুড়কির পথ উড়ায় রোগের ধুলো।
চারিদিকে যন্ত্র দানব, ধুলি ওড়ায় হাওয়ায়
হেমন্তের এক শিশির বিন্দু বসল নাতো দাওয়ায়।
ঘাসফড়িংয়ের ঠ্যাং-য়ে বাঁধা মেয়েবেলার সুতা
টানে এসে নিত্য আমায়, প্রাণে জাগায় ব্যথা।
(০৮-১১-২০১৬)
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০১