somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেঘের কাছে রোদ্দুরের চিঠি -৮

২০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



#মেঘের_কাছে_রোদ্দুরের_চিঠি_৮
#তুমি_আমার_যা_ইচ্ছা_তাই
ওরে বাবা.... ব্যস্ততা আমাকে বেঁধে রেখেছে। লেখালেখির বারোটা বেজে গেলো যে, তুমি কি বুঝতে পারছো মেঘ। লিখতে না পারলে যেনো আমাকে অসম্পূর্ণ লাগে। অহহো চিঠির শুরু দেখি ক্যাচাল দিয়ে শুরু করলাম। আচ্ছা যাক মনে কিছু নিয়ো না। কেমন আছো! ভালো আছোতো! চিঠির উত্তর না দিলে জানবো ক্যামনে ভালো কি মন্দ আছো। ধুরু যা, এত কষ্ট করে এত্তগুলা চিঠি লিখতেছি অথচ তুমি ম্রিয়মান, ভাবলেশহীন এটা কিভাবে সম্ভব। আচ্ছা যাই হোক-সে তোমার ইচ্ছে। কারো ইচ্ছের উপর তো আর জোর খাটানো যায় না।

শরতের দিনগুলো কেমন যাচ্ছে তোমার। আচ্ছা তুমি কি আকাশ ভালোবাসো? সে কি জিজ্ঞাসিলাম? মনে নেই। বুড়ো হয়েছি তো মনে কিছু রাখতে পারি না। ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে বলে দিলাম কিন্তু। দিনকাল যাচ্ছে কেমন। নিশ্চয়ই ভাল! ভালো কাটুক সে কামনাই করছি। আমিও ব্যস্ততায় সময় কাটালে ভালোই লাগে। হতাশাগুলো ধরা দেয় না এসে মনে। ভালো থাকার একটা পথ হলো নিজেকে ব্যস্ত রাখা। অফিসের কাজে ব্যস্ত না থাকলে আমি লিখি। মনে যা আসে তাই লিখি..... আমার ইচ্ছে হয় কি জানো, আহা আমি যদি সারাদিন লিখতে পারতাম। কত ভালোই না হতো।

মেঘ আজ পিসিতে বসে লিখছি। ধুমাইয়া টাইপ করছি। কি লিখছি সে পিছু ফিরে দেখছি না। এত দেখার দরকার কি বাপু... এখানে সংশোধনের কিছু নাই। আর এত তোষামোদের বিষয়ও নাই । একমাত্র তুমিই আমার সেই- যাকে আমি যা ইচ্ছে বলতে ইচ্ছুক যদি তুমি রাজি থাকো বুঝছো! রাজী থাকলে বলো হ্যাঁ অথবা না থাকলে না বলো। এক কথায় উত্তর দাও কইলাম নইলে ভালো হবে না ।

যা ইচ্ছে তাই বলব তোমায়
তোষামোদ পারবো না
বান্দর বিলাই শিয়াল বলব
বাঘ বলতেও ছাড়বো না।

রাজী থাকলে হ্যাঁ কিংবা না
নির্দ্বিধায় আজ বলো
মতামত দাও নিজের মতো
আপন বলে জ্বলো।

মারবো তোমায় কাটবো তোমার
দিবো বকাঝকা
রেগে গেলেও উপায় নেইকো
পাবে না আর রক্ষা।

তুমি আমার যা ইচ্ছা তাই
বন্ধু কিংবা দুশমন
সব কিছুতে থাকলে পাশে
রবে আমার খুশ মন

মেঘ...কাল আমার অনেক খুশির দিন ছিল, ভাবতেই পারিনি কেউ এমনভাবে আমাকে চমকে দিবে। ছোট দুইটা ভাই, এখানেই পরিচয়, কথাও খুব একটা হয়নি ওদের সাথে। জানি না কোন মায়ার বন্ধনে তাদেরকে আবদ্ধ করেছিলাম। কাল হঠাৎ করেই আমার অফিসে এসে হানা দিল তাও আমার প্রিয় জিনিস উপহার নিয়ে। এত্ত খুশি কখনো হইনি আগে। কিন্তু খুশির ভাষাটা প্রকাশ হয়তো করতে পারিনি ।

হয়তো প্রকাশের ভাষাটাই আমি জানিনে! কিন্তু প্রকাশের ভাষাটা জানা উচিত ছিল আমার তাই না মেঘ। আমি তাদেরকে আপ্যায়ন করতে পারিনি। গোধূলিয়ার লাল আভায় ওরা এসেছিল আমার এক সমুদ্দুর ভালোবাসা নিয়ে। মনের মাঝে খেদ রয়েই গেল। যাক মনে এই বলে স্বান্ত্বনা দিলাম হয়তো ভবিষ্যতে আবার দেখা হবে তখন ইচ্ছে মতো চা কফিতে আড্ডা দিব খানিকক্ষণ।

তবে জানো তো আমার জীবনটাই একটা গন্ডির ভিতর আবদ্ধ। আমি মানুষকে ভালোবাসি তাই হয়তো মানুষ্ও আমাকে ভীষন ভালবাসে। কিন্তু ভালোবাসার মূল্য আমি দিতে পারি না আমার পারিপাশ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে। আমি যেমন মনখোলা মানুষ এবং আমার মনে অশুদ্ধতা অশালীনতার স্থানও নেই তবু কাছের মানুষগুলো মনে সারাক্ষণ সন্দেহের দানা বেঁধে থাকে। আমার সাফল্যে কখনো দেখি জেলাসী হতে তখন খুব কষ্ট পাই জানো! খুব কষ্ট পাই। কষ্টে অজিত সম্মান আমি নিজেই ধূলায় মিইয়ে দেই....চুপ থেকে। কেনো এমন জীবন হলো আমার ।

আমি মানুষের মাঝে মানুষের ভালবাসায় বাঁচতে চাই কিন্তু কাছের মানুষগুলো ঘরকুনো হয়ে একগুঁয়ে জীবনে অভ্যস্ত। সামাজিকতার ধার বা সৃজনশীল কাজে তাদের অনাগ্রহ আমাকে ভাবিয়ে তুলে। ভাল্লাগে না আামার এমন তরো সমাজ, যেখানে নিজের সৃজনশীলতার কোন মূল্যই পাই না অথচ দেখো মানুষ আমাকে কত ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে সম্মান করে। কতটা বিশ্বস্থতায় তারা আমাকে ভালোবাসায় আবদ্ধ করে রাখে কিন্তু আমি যে এসবের মূল্য দিতে পারবো না। আমার খুব ভয় হয় যখন আমাকে কেউ বেশী ভালোবাসে .. এমন ভালোবাসা আমি কখনো দিতে পারবো না। আমার পথ খুবই সংকীর্ণ। চলার পথ খুবই পিচ্ছিল। সারাক্ষণ বুকে ধুকপুকানি নিয়েই আমাকে পথ চলতে হয়।

অহহো ভুলেই গেছি আমার প্রিয় জিনিস কি নিয়ে এসেছিল আমার ছোট ভাইয়েরা আমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য। আইসক্রিম...... ললি, মাচো আর আইসক্রিম কেক...... তিন ধরণের আইসক্রিম, এত্তগুলা মজা। ভালোবাসায় ভরপুর ছিল । সেদিন মুক্তারা আপা প্রশ্ন করেছিল মানে একটা পোস্ট দিয়েছিল যে, আপনারা জীবনে কোন ধরণের বা কি উপহার পেয়ে সারপ্রাইজড হয়েছিলেন অবাক, বিষ্ময় যাই বলেন। আমি তখন খুঁজেই পাচ্ছিলাম না । জীবনে এমন সারপ্রাইজড ছিল না আমার।

আপার পোস্টের আগে যদি এই উপহার পেতাম তখন বিনা বাক্যব্যয়ে বলে দিতাম আপি ....... আমার দুটো ভাই আমাকে চমকে দিয়ে আমার জন্য আইসক্রিম নিয়ে এসেছিল। হাহাহাহা কি মজা না। মনটা আজ এত ভালো তোমাকে বুঝাতে পারবো না। আর এসব ফিলিংস কাউকে বুঝানোও যায় না । যদি তুমি বুঝো তাহলে আমি খুব খুশি হবো।

আচ্ছা তুমি আমাকে কি সারপ্রাইজড গিফট দিবা বলতো হাহাহা অহহো বলে দিলেতো আর সারপ্রাইজড হবে না....... আচ্ছা ১০২ টা নীল পদ্ম দিতে পারবে হাহাহাহ এ যে দুঃসাধ্য হাহাহা সরি। এসব কিন্তু এমনিতে বলছি খুশির চোটে।

ভালোবাসা দিয়ো তবে
সারপ্রাইজড হবো আমি
সব উপহারের সেরা সে,যে
ভালোবাসাই হবে দামী।

লাল নীল সবুজ শত পদ্ম
আমার তবে লাগবে নাকো
ভালোবাসা পেলেই আমি
খুশিতে মন আঁকুপাঁকু।

অনুভূতির সম্মান দিয়ো
রয়ো আমার অনুভবে
থেকো আমার সুখে দুঃখে
ভালোবাসা পাবে তবে।

টাকা পয়সা দালান বাড়ি
সুখ কি আনে মনের মাঝে
ভালোবাসা ছাড়া এসব
পানসে লাগে সকাল সাঁঝে।

গাছের তলায় থাকলেও সুখ
মনে থাকলে ভালোবাসা
দুঃখে কষ্টে সারাবেলা
আনুক আলো ঐ পূর্বাশা।

মনের কথাগুলো তোমাকেই বলতে পারি তাই না মেঘের বাচ্চা মেঘ। তুমি আবার বিরক্ত হও না তো । প্লিজ বিরক্ত হলে বলে দিয়ো আর এসব লিখবোনা। তুমি জানো তো লিখতে আমার খুব ভালো লাগে। আর তোমার কাছেই আমি যা ইচ্ছে তাই লিখতে চাই। অনুমতি দাও প্লিজ! কি দিবে না? না দিলে কি আর করা লিখবো না আর । আচ্ছা আজ তবে আসি। ভালো থেকো মেঘ। দেখা হবে কথা হবে ইনশাআল্লাহ..... যদি তুমি ধরায় নেমে আসো হাহাহা। আচ্ছা আসি - তোমার অলীক রোদ্দুর।

পুনশ্চঃ উত্তর দিয়ো কইলাম ..... বদের বদ পাজির পাজি মেঘ, তুমি একটা বান্দর, হাত পা ঝাড়া বদ। উত্তর না দিয়ে পার পাবে না কিন্তু হাহাহাহ। নাক ঘুষি দিয়ে ভেঙ্গে দিব। চোখ গুতো দিয়ে পানি নিয়ে আসব। ল্যাং মেরে ঠ্যাং ভেঙ্গে দিবো হাহাহাহ ;)
(১৯-০৯-১৬)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৫৯
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঢাকার মানুষের জীবন

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪


ঢাকাতে মানুষ বড় বিচিত্র ভাবে বেঁচে থাকে। নিয়মিত ঢাকার রাস্তার ঘুরে বেড়ানোর কারণে এই রকম অনেক কিছু আমার চোখে পড়ে। সেগুলো দেখে মনে হয় মানুষ কত ভাবেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বৃষ্টিপাতের কারণ কী?

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯

পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বৃষ্টিপাতের কারণ কী?



পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছরই বৃষ্টিপাত হয়। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকার কিছু দেশ এবং দক্ষিন আমেরিকার কিছু দেশ ও অঞ্চলে বছরের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ কখনো এমন করে বলতে পেরেছে কি?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


ভারতে গরু ও গোমাংস নিয়ে হত্যা বা সহিংসতার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা কঠিন কারণ এটি রাজ্য, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং 'গরু রক্ষা' বাহিনী ইত্যাদীর কারণে একেক যায়গাতে একেক রকম। ভারত গোমাংস... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ, পাকিস্তানের ধর্মীয় জংগীবাদ ভারতের মুসলমানদের সাহায্য করছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪০



এনসিপির জল্লাদরা, ফেইসবুক জেনারেলরা ও ৫/১০ জন ব্লগার মিলে ৭ সিষ্টার্সকে আলাদা করে দিবে বলে চীৎকার দিয়ে ভারতের মানুষজনকে অবজ্ঞা ও বিরক্ত করার ফলে ভারতের ২২ কোটী... ...বাকিটুকু পড়ুন

গৃহবধূ থেকে প্রধানমন্ত্রী; অভিভাবক শূন্য হলো বাংলাদেশ |

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১২


খালেদা জিয়া। ইস্পাতসম বজ্রকঠিন দেশপ্রেমের নাম খালেদা জিয়া। যিনি ভালো বেসেছেন দেশকে, নিজের জীবনের চেয়েও দেশকে ভালো বেসেছেন। দেশের বাহিরে যার নেই কোন লুকানো সম্পদ। নেই বাড়ি, গাড়ি অথবা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×