somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

» =একদিন হাতির ঝিলে গিয়েছিলাম=

৩০ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
০১।



২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে গিয়েছিলাম হাতিরঝিলে। ঠিক বিকেল না দুপুরের শেষ ভাগ। ধুর এ সময়ের প্রকৃতি খুবই ময়লা। এত্ত ধুলা কী কষ্টই না হয়েছিল সেদিন। আর কালো পানির গন্ধ উফ্। তারপরও বিকেল পর্যন্ত ছিলাম। ফাঁকে তামীমকে স্টিমারেও উঠাইছি। এমনিতেই এরা স্টিমারে নিয়ে ঘুরে না। এ পার থেকে ওপারে গিয়ে আবার ফেরত আসছি। এমন ভ্রমণ সুখকর নয়। গন্ধ এতই তীব্র মনে হয় পালাতে পারলেই বাঁচি।

আমি আলসে মানুষের মতই। ভ্রমনে যাই এক বছর আর ছবি পোস্ট করি দুই বছর পর। ইদানিং ছবি তোলার সুযোগ পাচ্ছি না। কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। তাছাড়া এই মৌসুমে ছবি সুন্দর আসে না। সব মরা মরা। প্রকৃতির বেহাল দশা। রাস্তার পাশে গাছপালা পাতার উপর ধুলো আর ধুলো। যাই হোক আজ ছবি পোস্ট করবো বলে মনস্থির করেছিলাম। এডিট করতে গিয়ে দেখি আম ঘুমাই গেছি.........যেই টেবিলে মাথা রাখছি এক স্যার এসে ফাতেমা কইয়া ডাক দিলেন হইলো কিছু। বোরিং টাইম। তাছাড়া আজ ভোটাভুটি চলছে অফিসে। ভোট দিয়ে এসে দেখি আমার আর ভাল্লাগে না।

০২। এটা ফ্লাইওভারের উপরের দৃশ্য।

ফুলের তলে দাঁড়াই বন্ধু ছবি তুলো আমার,
তাকাও না তো ফিরে তুমি মন কী তোমার তামার?
ফুল দিয়ো না লাগবে না আর, ফটো তুলো একখান;
এই রে বাবা! মন জমিনে বসিয়েছো বিষণ্ণতার দোকান?



০৩। গাছগাছালি আছে বন্ধু, তাতে ছায়া নাই
ছায়া হয়ে দাঁড়াও কাছে, মনে মায়া নাই?
বসবা নাকি রোদ দুপুরে, খাবা রোদের জ্বালা;
উফ বলো না কথা আহা মুখে লাগাও তালা।



০৪। হাতির ঝিলে ফুটেছে ফুল, সে ফুল কী ঘাসের;
বুনোফুল কি? নাকি বেলী বলো দিনি করো না তো দের।



০৫। তাকাও তাকাও দূরে তাকাও, ভাসছে জলে নৌকা,
মাঝি হবা বন্ধু তুমি, ভাসি দুজন, এইতো পেলাম মৌকা।



০৬। পাড়ে ভিড়ায় স্টিমারখানা, মানুষ বোঝাই হবে
কেমনে মানুষ দুগর্ন্ধ নিয়ে জলের মাঝে রবে।



০৭। পথখানি ঐ বড় লম্বা, হেঁটে যাবে সাথে?
ধরো দেখি লজ্জা থুয়ে এবার আমার হাতে



০৮। স্টিমার চলে জাহাজ চলে, ডিঙি নৌকা নাই ক্যান
এই কথাটি কানের কাছে বলে
করো নাতো প্যান প্যান.......
আমায় নিয়া ভাসবা?
একটুখানি হাসবা? চলো স্টিমারেই উঠি
একটুখানি হাসি খুশি প্রেমের মজা লুটি।



০৯। ব্রীজের উপর উঠতে গেলে মনে লাগে ডর
কেমনে জানি চলে গাড়ি, মন তো ব্যথার বালিচর



১০। উঁকুন বাঁচে বসে বসে কাজ নাই কী তোদের ঘরে
বন্ধু তুমিও তাকিয়ো না লজ্জায় যাবে মরে।



১১। কালো জলে ভাসে নৌকা, দেখতে লাগে মন্দ
জলগুলো ক্যান হয় না সাদা মনে বড় দ্বন্দ্ব।



১২। ঝিলের পাড়ে সবুজ ঘাসে বসনে নাকি আমায় নিয়ে
গল্প করো ভালোবাসার মনখানি আজ নাও ছিনিয়ে।



১৩। চলো যাই গা বাড়ী যাইগা, কালো পানির গন্ধ
এখানটাতে বসলে বাপু আসে না প্রেম ছন্দ।



১৪। আকাশটা নীল, মেঘের দেখা নাইতো
কেমন যেন ভাল্লাগে না বুক পুড়ে হয় ছাই তো।



১৫। ঘাটে নৌকা আছে ভিড়া, চলো গিয়ে উঠি,
না করলে আজ মনখানা তো যাবে ব্যথায় টুটি।



১৬। এপার হতে ওপারে যাবো, কেমন যাবো ? জলের উপর হেঁটে
নাকি উঠবা স্টিমার লঞ্চে, আসবা কালো পানি ঘেঁটে।



১৭। চলো দাঁড়াই ব্রীজের উপর, দেখি কোলাহল
করি গল্প দেখি দৃশ্য, বুকে বানাই এক প্রেম মহল।



১৮। জলের উপর একটা মসজিদ, আযান হবে সুরে
যাও বন্ধু যাওপড়ো নামাজ, মসজিদ সে নয় দূরে।



১৯। কত মানুষ পানির উপর, ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে,
যাবা নাকি, দাঁড়াবা গিয়ে তাদের কাছে
কী গল্প করে ওরা শুনবো কানটা পেতে,
তাদের নিয়ে কাব্যের খাতায় যাবো ছন্দ গেঁথে।



২০। কত সাহস মানুষগুলার, বন্ধু দেখো না তাকিয়ে
বসছে তারা রেলিং চেপে, ধপাস হয়ে জলে পড়বে গিয়ে।



২১। ঐ দেখা যায় প্রাসাদ বাড়ী, ঐ দেখা যায় গাড়ি
এত হট্টগোল বানাবো না এই শহরে বাড়ী।



২২। বৃষ্টি এলেই গাছগাছালি লতা পাতা সবুজ হয়ে উঠবে
সেদিন হতেই সজীবতার ঘুমখানি যে টুটবে।



২৩। ভালো লাগে হাতির ঝিলটা, কত সুন্দর সাজানো অই
বৃষ্টি আসুক জলে ভরুক ঝিল.... অপেক্ষায় উতলা রই।



২৪। সেলফি তুলে দেখো মানুষ, তুলবে সেলফি আমায় নিয়ে?
না তুলো নাই, ফোনটা তোমার দাও আমায় দিয়ে
আমি তুলি সেলফি
তুমি খাও কুলফি।



২৫। নীল আকাশ তারই নিচে কালো জলের পাহাড়
এমন জলে ছড়ায় না তো আকাশের রঙবাহার



২৬। বিষাদ কাব্য লিখি শেষে, লিখি কালো জলের গল্প
এই শহরের নদী মরলো ঝিলও মরলো........ মুগ্ধতা নেই আর অল্প



সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৩২
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×