আগের বাসার ছাদে কত রঙবেরঙের ফুল ফুটে থাকতো যেকোনো বিকেলে উঠলেই ছবি তুলে নিয়ে আসতাম। একদিন স্প্রে নিয়েছিলাম সঙ্গে। ফুলে ছিটিয়ে জল ছবি তুলেছিলাম। এগুলো কেবলই স্মৃতি। এই বাসায় এখনো গাছ লাগানো হচ্ছে না তেমন করে। একেবারে নতুন বিল্ডিং। আর আমার নিজেরও গাছ লাগানোর জায়গা নাই। ফুল ভালোবাসে না এমন কেউ এই জগতে আছে কিনা সন্দেহ। তবে ব্যতিক্রমও আছে হয়তো।
০২। শুভ্র রঙ প্রলেপে মোড়ানো হবে অনন্তকালের সেই সময়গুলো,
গোরের উপর গজাবে দূর্বাঘাস, বাজবে শুকনো পাতার নুপূর, উড়বে ধুলো,
আমি গোরের আঁধারে একাকি, যাবে না কেউ সঙ্গে,
পোকা মাকড় কীট পতঙ্গ বাঁধবে নীড় আমার অঙ্গে,
যাবার বেলায় আমি যদি শুভ্র ফুলের মতই হই পবিত্র,
গোরের আঁধারে পোকারাই হবে আমার সুখ মিত্র;
(সাদা রঙ্গন)
০৩। একবার অনুভব করো সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির সৌন্দর্য,
ভাবো, কী করে দিনরাতি ঘটায় ডুবে যাওয়া, উদিত হওয়া সূর্য;
কার হুকুমে এসব হয়, কে করেছেন ফুল ফল মানুষ সৃষ্টি,
কার দেয়া রহমতের আলোয় দেখি.......কে দিয়েছেন দৃষ্টি!
০৪। আমি তো ঝরা ফুল নই, তবুও হেলায় রেখে দাও,
অযথাই নিম কথা বলে আমাকে কাঁদাও।
চোখ হয়ে যায় রক্ত জবা, ভয়ে কুঁকরে যাই,
হৃদয় তারে হরদম বিষাদের বাজনাই বাজাই।
০৫। এ দেহ এ মনতো পবিত্র রূপেই আসে ধরায়, যেমন শুভ্র ফুল,
এত বড় জীবন অথচ ছোট, তবুও হয়ে রয়ে যায় ত্রুটি, কিছু ভুল,
জীবন তো আল্লাহ্ তা'আলার দান,
বলেছিলেন জীবন চলার পথে মানতে হবে শুধু তাঁরই বিধান;
আমরা তো ভুলে যাই সব, ধরার মোহ ঝাপটে ধরে,
শুভ্র ফুলের মতন মনটা হয় কাঠকয়লা, বিত্ত বৈভবে থাকার
কী আকাঙ্খা পুষি মন ঘরে।
০৬। নয়নের তারায় জমা অশ্রুবিন্দু সে দেখতে কী পাও?
নয়নের পাতায় ঝুলে থাকে কষ্ট বিন্দু নাও আঙ্গুলে তুলে নাও!
বুকের গভীরে ভীষন ব্যথা দিয়ে তুমি নিরব থেকে যাও,
প্রেম উজানে মন তরীতে ভিড়াতে চাই, তুমি উল্টা বৈঠা বাও!
০৭। বিন্দু বিন্দু স্নিগ্ধতা তুলে দিলাম পাপড়িতে
তুমি ছুঁয়ে দেখতে পারো, পেলেও পেতে পারো সুখানুভূতি;
আঙ্গুলের ডগায় তুলে নাও সুখ বিন্দু
অনুভবে আসলেও আসতে পারে কিঞ্চিত প্রকৃতি প্রেম।
শুয়ে বসে মুঠোফোনে চোখ রাখলেই কী দুনিয়া দেখা হয়ে যায়,
প্রকৃতির বুকে চোখ রাখোনি, মন তোমার পাথরপুরী যেন,
একবার শুভ্র ফুলের চোখ রেখে দেখতে পারো,
কতটা সুখ স্বাচ্ছন্দ্য মুগ্ধতা ফিরে আসে মন বাড়ীতে;
০৮। =মনের আঙ্গিনায় রোদ উঠেছে=
চোখের বাড়ীতে হলুদ আলোর লহর,
দৃষ্টিজুড়ে মুগ্ধতা, মন আঙ্গিনায় সোনা রোদ্দুর
ঘ্রাণ মাখানো প্রহর, হাওয়া বইছে বেগে,
ফুটেছে ফুল, ভিজিয়ে দেবে জ্যৈষ্ঠের মেঘে।
ছাদের কার্ণিজে জমে আছে জরাজীর্ণতা,
এই শহরে বৃষ্টি ঝরলেও পায় না মুগ্ধতার পূর্ণতা,
এখানে সিগারেটের প্যাকেট ঝুলে থাকে ডালে,
শাখে শাকে ছেঁড়া পলিথিন দুলে হাওয়ার তালে।
০৯।
১০। =বলিছিলি তুই এনে দিবি একশত দুই পদ্ম=
পায়ের কাছে রাখবি এনে একশত দুই পদ্ম, বলেছিলি তুই,
প্রেম আবেগে বলেছিলাম বন্ধু তুই আমার বকুল বেলী জুঁই;
অপেক্ষার প্রহরগুলো উড়ে যায় সময়ের ডানায়,
আর তুই হারালি কোন্ অজানায়?
১১। =আমি আল্লাহর নিয়ামত খুঁজে পাই=
এই যে সুন্দর ধরণী, এই সুন্দর ফল ফুল,
কী যে নিয়ামত ছড়ানো মুগ্ধতা অতুল;
এই সোনা ঝরা দিন, এই বৃষ্টি ভেজা প্রহর,
আহা চারিদিকে যায় বয়ে আল্লাহর রহমতের লহর
১২। মন তো চায় ইচ্ছে ডানা মেলে উড়ি,
মন তো চায় হতে নাটাই ছেঁড়া ঘুড়ি,
মন তো চায় রঙবাহারী স্বপ্ন চোখে নিয়ে,
যত মোহ সুখ, মন চায় আনতে সব ছিনিয়ে।
হতে চাই ফুলের মতন সুন্দর,
চাই তো পরিচ্ছন্ন রাখতে হৃদ বন্দর,
মন বাগানে কিছু আগাছা এসে সব সুখ করে লুটপাট,
যায় না খুলে আর সহসাই মুগ্ধতা বন্ধ মনের কপাট।
আগাছার ডালা পালার বিস্তারে মনে ফুটে না আর ফুল
ফুটে না ডানা মেলে চন্দ্রমল্লিকা, বেলী আমায় শুধু বুঝে ভুল।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৩৭