
©কাজী ফাতেমা ছবি
অতঃপর চোখে চোখ রাখতেই সবুজ চায়ের ধোঁয়ায় মুখরিত ক্ষণ;
আবছা আলোয় তুমি যেনো জরাজীর্ণতায় আচ্ছন্ন;
চোখে চোখ রাখা তো হলো.......... আনমনাতে
চলে যাই স্মৃতির পিছনে।
যে চোখে নিকষ আঁধারী কাজল ছোঁয়া, সে তোমার জন্য
সে কাজল গলে কপোল বেয়ে পড়ে সময়ের ঘামে,
আইশ্যাডোর আড়ালে লুকিয়ে আছে এখনো এক টুকরো বিরহ।
যে চোখে তোমার ছিলো না আমায় দেখার তৃষ্ণা
যে চোখে ছিলো না মন বুঝার অনুভূতি
আজ সেই চোখে দেখতে পাই করুণা.... আর
আমায় কাছে পাবার আকূতি শুধু।
অথচ একদিন মধ্যিখানে টেবিল দু'পাশে তুমি আমি
চোখে চোখ রাখতেই চোখ সরিয়ে নিয়ে অবহেলার
মালা পরিয়ে দিয়েছিলে গলায়.....
উঠি উঠি ক্ষণ তোমার, যেনো রাজ্যের কাজ মাথায়।
কত সহস্র ক্ষণ কত অযস্র প্রহর শেষে তুমি আমার সম্মুখ
তোমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য কতই না ছিলাম উন্মুখ;
প্লাস্টিকের টেবিল নেতিয়ে পড়ে ধূলোয় যেনো
তুমি হীন আমার বিরহের ভারে.......
এখনো প্রবল তৃষ্ণা
তোমাকে ছুঁয়ে দেবো বলে।
উল্টোদিকে তোমার মনে কী আছে এখনো দুনোমনা,
কীসের শোক কে জানে, চোখ যেনো গভীর সমুদ্দুর
ডুব দিলেই ফের আমি হারিয়ে যাবো,
ভালোবাসার জলে সাঁতার কাটতে না পারার আক্ষেপ
দৃষ্টি কেনো আজও তোমার আনমনা?
চোখে চোখ, দুজনার মন দুদিকে ভাবনার সমুদ্দুর দিচ্ছে পাড়ি
পাতাবাহারের রঙ ছড়ানো একটি প্রহর
চারিদিকে ঘিরে আছে দুপুর রোদ্দুর, অথচ তোমার নিঃশ্বাসে
পাইনি এখনো প্রেমের উষ্ণতা,
ইচ্ছে খুব বুকের বামে হাত রেখে দেখি
তোমার দেহজুড়ে যে আত্মার চলাচল সে কি অনুভূতির দেয়ালে
আমাকে নিয়েছে আজ বেঁধে?
(৩১/১০/২০১৯)
অট: এই লিখাটি কোন অনুভূতির ফাঁক দিয়া গিয়া লিখছিলাম মনেই নাই
কল্পনা যে কেডা ছিল, নিজেই একলা একলা হাসতাছি হাহাহাহা
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



