©কাজী ফাতেমা ছবি
মন জমিনে যখন খাঁখা বিরানভূমির ধুলো উড়ে,
চোখে নেমে আসে বিষাদ ক্লান্তি,
ব্যস্ততার বুক মন রেখে আমি শান্তি হতে যাই দূরে;
ঠিক পাপড়ির ডানা মেলে ফুটে থাকা ফুলে চোখ রাখি,
কেটে যায় নিমেষেই যত সরষে ফুল ভ্রান্তি।
এমন একটি প্রহর আমার হোক, অপেক্ষায় উন্মুখ থাকি।
প্রকৃতির মত বন্ধু কে আর আছে বলো, তুমিও ব্যস্ত হরপল,
ছুঁয়ে থাকা বা আবেগের স্পর্শ সে অতীতের ঘরে,
সবই একঘেঁয়েমীর রূঢ় বাস্তবতার ফলাফল,
কাল্পনিক হতে পারোনি, দেখোনি কখনো ঘুম ফেলে
আশ্বিনের পূর্নিমা কোজাগর,
উড়োনি বসন্ত ফুলে সুখে ডানা মেলে।
তোমার এমন ভাবলেশহীন জীবন আমাকে ফেলে দেয় ধাঁধায়
তবুও মুগ্ধ হওয়ার পথ খুঁজি,
তবুও বৃষ্টি এলে দু'দন্ড শান্তি পেতে হাঁটতে থাকি জলকাদায়,
তবুও স্নিগ্ধ শিশিরের জলে পা ভেজাই রোজই।
চোখের আয়নায় কেবল পেরেশানীর জলছাপ,
এ থেকে বেরোবো, হই মরিয়া
তোমাকে বেঘোর ঘুমে ফেলে হাতে নেই ধোয়া উড়া কফির কাপ
ঠোঁট ছুঁয়ে যে বিষাদ, পুড়াই গরম চায়ে
বন্ধ চোখে দেখি ফের জীবন যেন অকূল দরিয়া,
পা আড়ষ্ট, চলে না স্বাধীনতায়, তুমি শিকল পরিয়ে রাখো পায়ে।
প্রতিবাদী হতে হতে বিতৃষ্ণার সুর মনের তারে বেজে উঠে,
সব বাঁধা ঠেলে আমি ফিরে যাই রঙবাহারী বসন্ত ফুল বাগে,
যত বিষণ্ণতা, বিতৃষ্ণা, বিরক্তি মনের, যায় নিমেষেই টুটে,
আমি মুগ্ধতায় বাঁচি, মুগ্ধতা খুঁজি তাই
আমি প্রকৃতির সাথে থেকে যাই রাগে অনুরাগে,
প্রকৃতি ছাড়া আমার আর আপন কেউ নাই।
(০৪-০৩-২০২০)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫২