কয়েন প্লান্ট বা পয়সা পাতা গাছ। দেখতে আগের দশ পয়সার মত এর পাতা। গাছগুলো খুব ঝুপালো হয়। পাতা গাঢ় সবুজ রংয়ের। এই গাছের সাথে অনেকেই পরিচিত। যারা বাগান করতে পছন্দ করেন। তাদের পছন্দের তালিকায় এই গাছ না থেকে পারেই না। আমার খুব পছন্দের গাছ এটা।
কয়েন প্লান্ট কচুরিপানার মত কাদা মাটিতে ভালো হয়। গোল গোল পয়সা পাতাগুলো টবের মাঝে ঝোপালোভাবে বিস্তার লাভ করে । কী সুন্দর লাগে তাকে দেখতে। অনেক পাতা গজায় এগুলো। যদি বাসায় না থাকে তবে একটি কয়েন প্লান্ট বাগান পছন্দকারীরা লাগাতে পারেন নার্সারী থেকে এনে। এটা খুব দ্রুত বড় হয় এবং দ্রুত ঝোপালো হয়।
০২।
একবার গ্রীণ মডেল টাউন থেকে এনে লাগিয়েছিলাম। হয়েছিলও, কিন্তু এর যত্ন কীভাবে করতে হয় তখন জানতাম না। একদিন দেখি গাছগুলো মারা যাচ্ছে। কোনোভাবেই আর বাঁচাতে পারিনি। তারপর নার্সারী থেকে কিনে এনে লাগিয়েছি প্রায় দুই বছর হলো। ঝোপালো হলে একটা সমস্যা । এদের ছেটে দিতে হয়। আমার মন খারাপ হয়। ফুল দেয় ছোট ছোট ধনিয়ার মতন। কিন্তু ফুলসহ না কাটলে এই গাছ সুন্দর ঝোপালো হয় না। নার্সারীতে এই গাছ একশত দেড়শতোতে পাওয়া যেতে পারে।
০৩।
এই গাছের বেশী যত্ন নিতে হয় না। সার দিতে হয় না। এই গাছ আপনাকে লাগাতে হলে ছিদ্র ছাড়া টব নিতে হবে। অল্প মাটি দিয়ে লাগাতে হবে। এক টব ভরে পানি দিতে হবে। এরা কম পানি হলে নেতিয়ে পড়ে। আবার পানি দিলে সোজা হয়ে দাঁড়ায়। আলো যেখানে সেখানে ওরা ভালো থাকে। এটা ঘরে তেমন একটা হয় না। আলো বাতাস হালকা রোদে এরা সুন্দর বিস্তার লাভ করে। কয়েন প্লান্টে নিয়মিত পানি দিতে হয় এবং প্রতিদিনই এছাড়া এরা রাগ করে মাটিতে নুয়ে পড়ে।
০৪।
শুনেছি এর ঔষধি গুণ আছে। কাঁটা স্থানে এর পাতার রস লাগালে নাকি ভালো হয়। আমি এটা ট্রাই করিনি। ভালো থাকুন সবাই। কয়েন প্লান্ট লাগান......পয়সায় ভরে ফেলুন ঘর। অকে। আল্লাহ হাফিজ।
০৫।
এই শুনো না, দেখে যাও একবার আমার সাজানো বৃক্ষগুলো
কিছু মুগ্ধতা না হয় চোখে তুলো;
কী রে বাবা এমন নিরামিষ কেন বলো দেখি,
তুমি কী কয়েন প্লান্ট চিনো? ইশ! হাসিটা কী মেকি।
দেখো বাগান সবুজ আলোয় আলোকিত
পাতায় পাতায় যেন দশ পয়সা অঙ্কিত;
তোমার বিত্ত বৈভব বেড়ে যাবে, বেড়ে যাবে টাকা কড়ি
লাগিয়েছি পয়সা পাতা...আহা পাতা যে সুখের বড়ি।
তুমি কেন হলে না বৃক্ষ প্রেমী
আমি বৃক্ষ চাই, চাই না শাড়ি গয়না নামি দামি
তুমি প্রকৃতি প্রেমী হও, বৃক্ষ ভালোবাসো অল্প
তবেই না হবে আমাদের ভালোবাসার গল্প।
পয়সা পাতায় চোখ বুলাও, দেখ লুকানো কত সজীবতা তাতে
রোজ যদি বাড়ী ফিরতে গাছ নিয়ে হাতে!
তুমি এগুলো বলো জঙ্গল;
আর আমি বলি বন্ধু জঙ্গলেই মঙ্গল।
০৬।
পয়সা পাতার গাছে কত পয়সা ঝুলানো
তুলে নাও বুক পকেটে, এ শুধু মন ভুলানো
চোখের মুগ্ধতাগুলো আঁকড়ে ধরো বন্ধু
বৃক্ষ ভালোবাসো তুমি সাত নদী তেরো সিন্ধু।
পয়সা পাতা পয়সা পাতা, পয়সা দিবি আমায়
সজীবতা ছড়াবি কী? ঝরবি কাব্যনামায়,
পয়সা পাতা গোল হলি যে, পয়সার মত রূপ তোর
তোকে দেখলে চোখে আমার লাগে মুগ্ধতার ঘোর।
পয়সা পাতা পয়সা পাতা, যাবি নাতো মরে?
সজীবতা যায় ছড়িয়ে তুই থাকলে যে ঘরে;
মন ভালো না থাকলে আমার, তোকে ছুঁয়ে দেব
তোর থেকে আজ স্নিগ্ধতাকে চোখে তুলে নেব।
পয়সা পাতা রূপে গুনে, তুই সুন্দরী ভারি;
টবে তোকে রাখলে আহা...উজ্জ্বল লাগে বাড়ি;
পয়সা পাতা থাকবি তাজা, জল দেব আজ খেতে;
যাস না নুয়ে মাটির উপর, জল নিস বুক পেতে।
০৭।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪