
কত কাহিনীই তো ঝরে যায় নিরবে নিভৃতে.
আমার আকাশের মেঘেরা হতো উদাসীন;
জোৎস্নার নদীতে নৌকা ভাসিয়ে কখনো হতো ভোর
কুয়াশা ভোরে জেগে উঠতো মাতাল করা শিউলীরা
ঝুড়ি ভর্তি স্বপ্ন কুঁড়াতে নগ্ন পায়ে বিভোর ক্ষণ,
স্মৃতির স্নিগ্ধ মুহুর্তগুলো বকুলের মালা হয়ে গলায় আছে যেন এখনো জড়িয়ে
আকূল করা ঘ্রাণে আজো খুঁজি অব্যর্থ ক্ষণগুলি।
বেদনার হাত ছুঁইনি কখনো;
অজান্তেও ধরিনি প্রেমের হাত,
সুন্দর শ্বাসত সত্যের মাঝে ছিলো বিচরণ
অবেলায় ঝরে যাইনি কভু।
অদ্ভুত অবাক চোখ দিয়ে পড়েছি কত ঝরে যাওয়ার গল্প;
অতৃপ্ত নেশা চোখে এসে দিতো হানা
তবুও হেরে যাইনি, টলে যাইনি,ঢলেও পড়িনি!
জানো কেউ? কত স্মৃতি ঝরে গেলো নিঃশ্চুপ
মন ছিল সবুজ; সবুজে সবুজে হেঁটে ক্লান্ত হইনি
দিগন্ত জোড়া সবুজ মাঠের আল ধরে হেঁটে হেঁটে
সূর্যের কাছে গিয়ে বসেছিলাম একাকি,
সেকি আপ্যায়ন করেছিল সূর্য সেদিন
জ্বলে উঠার গান শুনিয়েছিল আমায়...
প্রভাতের রাঙ্গা আলোর সিঁড়ি বেয়ে
সূর্য গিয়েছিল পথের শেষ প্রান্তে আবার ফিরে আসবে বলে।
তার কাছে গল্প শুনতে শুনতে গোধূলীবেলায় ফিরে এসেছি
এক ঝাঁক আলোর বার্তা নিয়ে।
মেঘে মেঘে বেলা ফুরিয়েছে; কুঁড়িয়ে একাট্টা করেছি মেঘ নুড়ি
সফেদ বোতলে আজও মেঘ নুঁড়িগুলো নিয়ে যায় আমায় অতীতে।
কত শত আবেগ ঝরে গেলো শূণ্যতায় কেউ খবর রাখেনি;
অলীক পৃথিবী তৈরী করেছি একাকি,
পায়ে পায়ে শিশির ছিল সঙ্গী।
নির্জন দ্বীপে শিশিরদের নিয়ে কত গল্পই না ভাসিয়ে দিয়েছি
আঁচলে জমিয়ে শিশির মুক্তোর মালা কারো গলায় পড়িয়েছি অদৃশ্য।
বুকের অদুরে লালিত স্বপ্নগুলো ঘুনে ধরেছে ঠিকই কিন্তু
ঘুন পোকারা ব্যর্থ, কাটতে পারেনি, ঝরঝরে করে ধুলোও করতে পারেনি।
ঝরাপাতার মর্মর ধ্বনিতে মিশিয়ে দিয়েছি ব্যর্থ সময়গুলো।
কত স্মৃতি কত আবেগ ঝরে গেলো নিঃশব্দে কেউ কী জানে!
তবুও স্বপ্নগুলো কেন মরে যায়নি, ঝরে যায়নি, যায়নি মুছে,
একদিন স্বপ্নগুলো সর্বদা এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা হতো...
তা আজো আছে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আমার শিয়রে।
©কাজী ফাতেমা ছবি
০২/১২/২০১৪
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



