ঢাকার রাস্তায় শুধু ময়লা আর ময়লা। যেদিকে তাকাবেন শুধু ময়লা্। অশিক্ষিত মানুষ জনদের কথা না হয় বাদই দিলাম, এই আমরা যারা নিজেদেরকে একটু আধটু শিক্ষিত পরিচয় দিতে পছন্দ করি তাদের অবস্থা কি ????
চিপস একটা খেয়ে চিপসের প্যাকেট রাস্তায়, কোল্ড ড্রিংস খেয়ে বোতন/ক্যান রাস্তায়, চকলেট চুয়িংগাম যাই খাই না কেনো কোন চিন্তা ভাবনা না করেই রাস্তায় ফেলছি চোখ বন্ধ করে।
আদতে কি হওয়ার কথা ছিলো ??? আমাদের চাল চলন আমাদের সব কিছু্ দেখে অন্যরা শিখবে সেখানে আমরাই বড় মূর্খর মত আচরণ করছি সেখানে অন্যরা কি করবে ???
একটা ঘটনা বলি- একদিন আমি যশোর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে খুলনা আসছিলাম। জার্মানীর দুজন টুরিষ্ট উঠেছিলো আমার বগিতে। ওনারা নাকি সেই ইন্ডিয়া থেকে বেনাপোল বন্দর থেকে যশোর দেন খুলনা যাচ্ছেন। প্রাথমিক আলাপে খুবই ভালোই মনে হলো ভদ্র লোক দুজনকে। গল্প করতে করতে এক জার্মান ভদ্র লোক ব্যাগ থেকে কলা আর কমলা বের করলেন। আমাকে সাধলেন কিন্তু সেটা শোভনীয় মনে করলাম না।
যাই হোক তারা কমলা আর কলা খেয়ে বিপদে পড়লেন। কলা আর কমলার খোসা ফেলবেন কোথায় ?? আমাদের বঙ্গ দেশের ট্রেনের ভিতর তো আর ময়লা ফেলার কিছু নেই। যার যেমন ইচ্ছা খাচ্ছে ট্রেনের ভিতরেই অথবা জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছেন। সেখানে জার্মান দুই ভদ্র লোক উপায়ন্তু না পেয়ে আমার কাছে জিজ্ঞেস করলেন।
আমি বললাম হয় ছিটের নিচে ফেলো নয়তো জানালা দিয়ে বাইরে ফেলো। আমার কথা শুনে জার্মান ভদ্র লোক দুজন চোখ কপালে এমন ভাব করলেন যেনো আমি কি না কি বলে ফেলেছি। আমার পরামর্শ যেনো তাদের পছন্দই হলো না।
শেষ মেষ তারা তাদের দামী ব্যাগের (ব্যাগব্যাক) চেন খুলে কলা/কমলার খোসা রেখে দিলেন।
ট্রেনের দুয়েক জন যাত্রী তাদের এহেন কাজ কর্ম দেখে মুখ কুচকে বলেই ঊঠলো ভাব দেখে আর বাঁচি না । আরে এটা হিটলারের দেশ নয় এটা বঙ্গ দেশ।
গল্প শেষ
তবে আর কি ??/
আসুন না আমরা সবাই যে যার অবস্থান থেকে অন্তত একটু একটু করে দেশকে বদলে দেই। ও ভালো কথা আমাদের মহল্লার দুই দোকানীকে চাপ দিয়ে দোকানের সামনে দুইটি ময়লা ফেলার ঝুড়ির ব্যবস্থা করতে পেরেছি। আর বলেছি কোন খদ্দের যদি তোমাদের দোকানের মাল কিনে আর সেই মালের ময়লা ড্রেনে ফেলে তবে কপালে খারাবী আছে।