somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যারা নাটক দেখছেন তারা ছাগল।

১৩ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আয়োজিত বিভাগীয় নাট্য প্রদর্শনী চলছে, একটা আগ্রহ নিয়ে গেলাম। আগ্রহের কারণ হলো এ সময়ে নাটক করা অনেক বড় কাজ। আর্থ-সামাজিক এ প্রেক্ষাপটে নাটকে নিজেকে জড়িত করা চাট্টিখানি বিষয় নয় বলে মানি। অনেকটা নিভৃতেই চলছে অনুষ্ঠান – একথা অতি কথন নয়।

গায়ন নাট্য সম্প্রদায়ের নাটক অদ্ভুত অন্ধকার। ফ্রিৎজ করিন্থিও লেখা এবং সাইফুল আলম চেšধুরী অনুদিত। ২৫ এপ্রিল ২০১১, জেলা শিল্পকলায় মঞ্চস্থ।

একটি নাটক মঞ্চস্থ হওয়া মানে অনেকগুলো সময়কে ধারণ করা, ঘটনার উপস্থাপন করা, মানুষ-সমাজ-সময় ত্রৈয়’র মেল বন্ধ’র উপস্থাপন করা। নাটক যারা দেখেন মুলত তাদের জন্য রয়েছে বড় ভুমিকা পালনের কর্তব্য। দর্শক যদি আত্নগত ভাবে কর্তব্য পরায়ন না হন তাহলে নাটক মঞ্চস্থ হওয়া বা না হওয়ায় কোন পার্থক্য সৃষ্টি হয় না। কর্তব্য পরায়ন মানে এ নয় যে দর্শক নাটকের বিশাল সমঝদার হবেন বা তিনি নাটকের প্রত্যেকটি ধ্রুপদি শাখা বুঝবেন বা জানবেন। কর্তব্য পরায়ন মানে তিনি নূন্যতম কান্ডজ্ঞান নিয়ে নাটক দেখতে বসবেন। সেটা মানুষ হিসেবে, মঞ্চ নাটকের দর্শক হিসেবে নয়। যেমন তিনি কথিত কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা নাও মাড়াতে পারেন, পেশা হিশেবে যে কোন আপাতদৃষ্টে সাধারণ কাজ করতে পারেন হতে পারে জুতা সেলাই।
গণায়নের নাটকটিও আপনি সে ভাবে দেখা শুরু করতে পারেন। নাটকটির মূল প্রতিপাদ্য শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা, বিশেষ করে শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতা, বিদেশী নাটক হলেও আমাদের বর্তমান সময়ের সাথে এর চমৎকার মিল আছে। নাটকটি আগে পড়া থাকায় আরো উৎসাহ বড়ে গেল। গল্প/বিষয় জানা থাকলে অন্য বিষয়গুলোতে মনোযোগ দ্রুত দেয়া যায়।
নাটকে যারা কাজ করেন তাদের মুখের জড়তা থাকা মানে হচ্ছে বিলাস বহুল প্রসাদের মতো যাতে টয়লেট/ বাথরুম থাকে না। এটি যে কেউ বুঝতে পারেন, নাট্যকর্মীদের প্রথমদিকের বড় কাজ হয় মুখের জড়তা কাটানো এবং প্রমিত উচ্চারণে কথা বলা শেখা। এর কোননাই যদি ভালো ভাবে রপ্ত না হলে তার মঞ্চে উঠাই অনুচিত। আর কণ্ঠ’র অনুশিলনতো আরো জরুরী। এ অনুপস্থিতিতে সে নাটক যদি আপনি দেখেন কোন বড় অনুষ্ঠানে, সেটা খুব সুখকর হওয়ার কথা নয়।
নাটক দেখার দর্শকদের নাট্যকর্মীরা দু'ভাগে ভাগ করতে পারেন। এক. সাধারণ কান্ডজ্ঞান সম্পন্ন দর্শক, ২. নাটকের ধ্রুপদি অবস্থা বোঝেন এমন দর্শক। মজার বিষয় হচ্ছে দু'টোকেই কাজে লাগানো বা যোগ্য করার জন্য নাট্য কর্মীদের সহোযোগীতা জরুরী।
নাটকের ২য় ধারার দর্শকদের মতো ১ম ধারার দর্শকদের আপনি কোন ভবাবেই ফেলতে পারেন না। সাধারন মানুষ'র যে সহজ বোঝা পড়া তার সাথেও সংযোগ স্থাপন করা নাটকের জন্য জরূরী। অদ্ভুদ অন্ধকার নাটকটিতে ১ম ধারার দর্শক হিসেবে আমি ২ টি সমস্যায় পড়ি। এক হচ্ছে নিজে যদিও প্রমিত ভাষায় কথা বলতে পারি না কিন্তু নিজের কান এটা শুনতে অভ্যস্ত। অন্তত টিভির জন্য হলেও।
নাটকে কোনটি সাধারন ভাষা আর কোনটি অনভ্যাষজনিত চিৎকার তা ধরা যায়।
এখানের এর মারাত্নক অভাব দেখা গেছে। দ্বিতীয় হচ্ছে নাটক দেখার পর নাটকের শেষেই ( নাটকের অংশে) যদি বলতে চেষ্টা করা হয় এর মরাল বা উদ্দেশ্য কি, তা হলে যারা নাটক করছেন তারা ছাগল নয়তো যারা নাটক দেখছেন তারা ছাগল।
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×