বন্ধু দিবসের গিফট পেলাম সক্কাল বেলাতেই। এই গিফট সবার জন্য...
যে কোন একটা ফুলের নাম বল
দুঃখ ।
যে কোন একটা নদীর নাম বল
বেদনা ।
যে কোন একটা গাছের নাম বল
দীর্ঘশ্বাস ।
যে কোন একটা নক্ষত্রের নাম বল
অশ্র“ ।
এবার আমি তোমার ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারি
বল ।
খুব সুখী হবে জীবনে ।
শ্বেতপাথরে পা ।
সোনার পালঙ্কে গা ।
এগোতে সাতমহল
পিছোতে সাতমহল ।
ঝর্ণার জলে স্নান
ফোয়ারার জলে কুলকুচি ।
তুমি বলবে, সাজব ।
বাগানে মালিনীরা গাঁথবে মালা
ঘরে দাসীরা বাটবে চন্দন ।
তুমি বলবে, ঘুমব ।
অমনি গাছে গাছে পাখোয়াজ তানপুরা,
অমনি জ্যোৎস্নার ভিতর এক লক্ষ নর্তকী ।
সুখের নাগরদোলায় এইভাবে অনেকদিন ।
তারপর
বুকের ডান পাঁজরে গর্ত খুঁড়ে খুঁড়ে
রক্তের রাঙা মাটির পথে সুড়ঙ্গ কেটে কেটে
একটা সাপ
গায়ে বালুচরীর নকশা
নদীর বুকে ঝুঁকে-পড়া লাল গোধূলি তার চোখ
বিয়েবাড়ির ব্যাকুল নহবত তার হাসি
দাঁতে মুক্তার দানার মত বিষ,
পাকে পাকে জড়িয়ে ধরবে তোমাকে
যেন বটের শিকড়
মাটিকে ভেদ করে যার আলিঙ্গন ।
ধীরে ধীরে তোমার সমস্ত হাসির রঙ হলুদ
ধীরে ধীরে তোমার সমস্ত সোনার গয়নায় শ্যাওলা
ধীরে ধীরে তোমার মখমল বিছানা
ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিতে, ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিতে সাদা ।
সেই সাপটা বুঝি তুমি?
না ।
তবে ।
স্মৃতি ।
বাসরঘরে ঢোকার সময় যাকে ফেলে এসেছিলে
পোড়া ধূপের পাশে ।
-কথোপকথন
-পূর্ণেন্দু পত্রী