শব্দের নিমিত্তে আমি অভিমান লিখি যুগ যুগান্তর,
সাইক্লোন টর্পেডোদের দখলে যেমন মৌখিক নাগরিকত্বের দায় বিহীন শহর-
দাসত্বের ধ্বনিতত্ত্বও যেখানে নির্বাক হাহাকারের সূত্রহীন ব্রহ্মাণ্ড
আচমকা কবিতায় সাফল্য সৃষ্টির বিষদাঁতের কবি আমি
মধ্যাকর্ষহীন প্রতিটি কবিতার মুক্তপাত যখন আমার নখে
এ নখাগ্রেও আটকে দিয়েছি বহমান কবিদের বহু বিখ্যাত কবিতা
আমার জন্য এ শহর নিষিদ্ধ করে এক কারফিউ জারির তীব্র নারীর মধ্যরাতের ভারী নিঃশ্বাস,
আমার কবিতার এ নিষিদ্ধ কারফিউ কোথাও তুলে নিয়ে আর্তনাদ করে গরম শব্দের বৃষ্টিপাত ।
তুমিই সেই কবিতাদের গুরু-
যেমন শুক্ল তিথির পূর্ণচাঁদের নিরাশীর্বাদ অথবা তোমার সঞ্চিত বিষাদ।
কেনো বারবার খাঁচাকে ভাঙতে চেয়ে ভেঙে ফেলো নিজের কাঠামো?
------ইচ্ছে ছিলো কলহ চুকে টিকে থাকবো নিদ্রায়"
কিন্তু নির্ঘুম রাতের গড়িয়ে পড়া সুখ,
আর আমাকে সৃষ্টির উদ্দেশ্যহীন অসুখ, মেঘাচ্ছন্ন আকাশের সূর্যগ্রহণ সম্পর্কিত মরাচাঁদও মিলেমিশে আজীবন জন্ম না হওয়া তন্দ্রায় !
তবুও,
ছায়াসঙ্গ নিক্ষিপ্তের আলোবিহীন চিৎকার-সত্যের উপাসক হয়ে মাথা ঠুকে ভাসে জানালায়,
ভায়োলিনের বেদনাহত নির্মম বেদনায়
তোমার শরীরের এ তীব্রতম সূরের বেদনা বল; তীব্র জ্বরে ফুটাতে থাকে আমার নোনা জল।
চেতনা ধূসর নুজ্য হতাশ!!
মনে মনে করে ফেলি বিদ্রোহ;
আফসোস!
তবে আমার বিদ্রোহরা এতো স্হির হয় না কেনো?

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ ভোর ৬:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




