অল্প কিছু দিন আগেই এইচ এস সি পরীক্ষার ফল দিয়েছে।এই নিয়ে কত আলোচনা সমালোচনা। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এবার তুলনামুলক ভাল ফল হয়েছে। প্রতি বার গাদা গাদা ছাত্র ছাত্রি এপ্লাস পায়। যারা পাশ করার যোগ্যতাও রাখে না সে পায় এপ্লাস কিন্তু কেন দাওয়া হচ্ছে এই এপ্লাস ?? কে লাভবান হচ্ছে এসব থেকে??
চিন্তার বিষয় বটে। এত এপ্লাস দিলে যাদের লাভ হয় আমি আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক দিয়ে ভেবে দেখেছি। সে চিন্তা এখন আমি বলতে চাচ্ছি।
আগে বলতে চাই অছাত্ররা কি ভাবে এপ্লাস পায়। পরিচিত শিক্ষক থাকলে আপনি তাদের জিজ্ঞাসা করতে পারেন যে তাদের কে বোর্ড থেকে কি নির্দেশ দাওয়া হয়েছে। তাদের কে অলিখিত কিছু নির্দেশ দাওয়া হয়। কি বলা থাকে তাদের কাছে শুনলেই বুঝতে পারবেন।
সবার প্রথম লাভ সরকারের। শিক্ষার হার যে বেড়েছে তা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু আমরাও বুঝি যে এসব লোক দেখান। কিন্তু এখন সে অবস্থান থেকে ধিরে ধিরে সরে আসছে বলে এখন মনে হচ্ছে। সরে আসলেই দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক।
এর পর আসি আসল সুবিধা ভোগিদের কথায়।এই তালিকা অনেক বড়। সবার আগে যে নাম আসে তা হল স্বাস্থ মন্ত্রনালয়। প্রতি বছর লাখে লাখে ছাত্র-ছাত্রী এপ্লাস পায়। এর মধ্যে অনেকের প্রধান আগ্রহ থাকে মেডিকেল কলেজের প্রতি। স্বাস্থ মন্ত্রনালয় এজন্য নূন্যতম পয়েন্ট নির্ধারন করে দেয় ৪.০০। আবার ২য় বারের সুযোগ। এখানে আবার অনেকে শখের বসে পরীক্ষাও দেয়( যাদের মেডিকেল কলেজে আগ্রহ নায়)। তাইলে মোট কত জন পরীক্ষা দিচ্ছে একটু চিন্তা করলেই পাওয়া যায়। সেই হিসেবে সব চেয়ে বড় লাভবান হয় স্বাস্থ মন্ত্রনালয়। আর সেই সাথে যারা মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পায় তাদের পড়ার খরচটাও উঠিয়ে নাওয়া হল।
এবার আসি কোচিং সেন্টারের কথায়। এরা লাভের হিসেবে অনেক পিছিয়ে। কারন এদের ব্যাবসা স্বল্পমেয়াদি। যদিও এখন তারা কলেজের শুরু থেকেই তৎপর হয়ে উঠছে। যাদের উচ্চ শিক্ষার ইচ্ছা আছে তাদের সবাই ই এদের কাছে যায়। তবে এই জন্য কিছু ভার্সিটি ছাত্র ছাত্রীর আয় হয়। কিন্তু তারা অল্প কিছু মাত্র। বেশীরভাগ লাভ কোচিং ওয়ালাদের কাছে যায়। কিছু ক্ষেত্রে এরা নিজেদের সুনম মাড়ানর জন্য ভার্সিটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে।
এখন বলি প্রাইভেট পলিটেকনিক ও মেডিকেল এসিস্টেন্ট স্কুল (ম্যাটস) এর ব্যাপারে। এদের বেশিরভাগেরই শিক্ষার মান খুবই খারাপ।বেশীর ভাগের কোন ল্যাবই নাই। এরা বিভিন্ন চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করায়। এসএসসি তে এদের অনেকে বিজ্ঞান বিভাগে থাকে না। আবার এরা এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে নিজেদের ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দেয়। এদের শিক্ষা খরচও কম না।
আসল রাঘব বোয়ালের ঘটনা এখন বলি। হাতে গোনা অল্প কিছু প্রাইভেত ভার্সিটি ছাড়া কোনটার শিক্ষার মানই তেমন উন্নত না। নামে সার্টিফিকেট ব্যাবসা এখন চরম। এদের এখানে নামে মাত্র পাশ করে যে কেউ গ্র্যাজুয়েট হচ্ছে। এসবের মধ্যে অনেকেই আছে অল্প কিছু দিন ক্লাস নিয়ে হাওয়া হয়ে যায়, তবে এখন এই প্রবনতা কম। অনেকের নিজস্ব কোন ক্যাম্পাস নায়।আর প্রায় খবরে দেখে যায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এদের বিভিন্ন নোটিশ দেয়। এরা বলে এরা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান,এজন্য তাদের ভ্যাট ট্যাক্স কিছু নায় কিন্তু এদের ব্যাংক একাউন্টে হাজার কোটি টাকা থাকতে দেখা যায়।
তবুও দেখি তরুনেরা বিভিন্ন উদ্ভাবন নিয়ে সামনে আসেন। বিভিন্ন গবেষণা করে চমকে দেন সবাই কে। তাই নতুন দিনের আশাই থাকলাম।
বিঃদ্রঃ ভূল ত্রুটি মার্জনীয়।

সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



