এই সিরিজটা সম্পূর্ণ আমার জীবনের গল্পে লিখা। পুরটাই বাস্তব। আগের লিখাগুলো লিখতে যেয়ে খুবই আবেগি হয়ে গেছিলাম। পাঠকদের উদ্দেশ্যে লিখা নয়।
আম্মা মারা যাওয়ার পর আমরা বড় ২ ভাই বোন দিশে হারা হয়ে পড়েছিলাম। আমি তো মানষিক ভাবে খুবই ভেঙ্গে পড়ে ছিলাম। সত্যি বলতে প্রথম ২ মাস আমার তেমন কিছুই মনে ছিল না। খুবই বেশী ডিপ্রেশনে ছিলাম। এই সময় আমাকে অনেক সাহায্য করেছিল আমার মামাত ভাই।
আমার বোনের কথা বলি। সে তখন HSC পরীক্ষা দেয়। আমি আজও অবাক হই সে এই অবস্থাতে পরীক্ষা দিয়ে গোল্ডেন এ+ পায় এবং বোর্ড বৃত্তিও লাভ করে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস কোন ভাল ভার্সিটিতে ভর্তির সুজোগ পায়নি। আমি এর জন্য সরাসরি আমার আব্বা কে দ্বায়ী করি। কেন দ্বায়ী করি তা আজ বলছি।
আগে আমাদের বাড়ির বর্ননা দেই। আমার দাদা বাড়িটা রেখে যান তার বড় ছেলে মানে আমার আব্বার নামে। পরে আব্বা সেটা তার আরও ২ ভাই সহ ৩জনের নামে করে নেন। এতে তার ভাইএরা বিভিন্ন ঝামেলা করে। অব শেষে তার মেজ ভাইএর অংশ বাকি ২ভাই কিনে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন। তাই আমাদের বাড়িটা ভাগ হচ্ছিল। দালান আলাদা হয়ে গেছিল শুধু উঠান বাকি ছিল। এই সময় আমার আম্মা মারা যান। তাই আমাদের সদর দরজা এখনও একই আছে।
এখন মূল ঘটনা বলি। আম্মা মারা যাওয়ার পর আমাদের বাসাই অনেক লোক আসত আমাদের শান্তনা দাওয়ার জন্য আর আমার ছোট ভাইটাকে দেখার জন্য। যারা আসত তাদের কে আমাদের দিকেই বসান হত। আর আমাদের দিকেই নাস্তা করান হত। মেহমান আসাটা খুবই ভাল। এতে আল্লাহ্ এর রহমত থাকে। কিন্তু তাদের মেহমানদারি করানর জন্য কখনই আমার চাচী এগিয়ে আসতেন না। আর আমার চাচাও অনেক ঝামেলা করতেন। যেমন চা কেন গরম নাই? বিস্কুট কেন নরম? এরকম আরও অনেক ঝামেলা। এসব শুনে আমার আব্বাও বকা দিত আমার বোন কে। তাকে ঠিক মত পড়ার সুজোগই দিতেন না আমার আব্বা।
আমিও তখন অনেক ডিপ্রেশনে ছিলাম। আমার উচিৎ ছিল এসব নিয়ে তাকে সাহায্য করা। আমি সেটা পারেনি। আর পরে আমি বাড়ি ছাড়লাম কারণ আমার পরীক্ষা ক্লাস এসব অনেক দিন বাদ গেছিল। সেই ইয়ারে আমার উপস্থিতি খুবই কম ছিল। সে সব পূরণ করা দরকার ছিল।
চলবে......

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



