আহাম্মক শব্দটার সাথে মনে হয় কম বেশী সবার পরিচয় আছে। যারা আহাম্মকির কাজ কারে তাদের আহাম্মক বলা হয়। আহাম্মকি কাকে বলে? আহাম্মকি কাকে বলে এটা বোঝানো আমার মত ছোট মাথার মানুষের পক্ষে বোঝানো সম্ভব নয়। তাই এই এই দিকে আর পা থুক্কু হাত আরে ধ্যাত ইয়ে আর বাড়ালাম না।
আজ আমারা একটা আহাম্মক চরিত্রকে নির্বাচন করি। মনে করি চরিত্রটার নাম নন্দলাল; নন্দলাল এর পরিচয় মনে হয় আর দেবার দরকার নাই! দ্বিজেন্দ্রলাল রায় এর মহান দেশ প্রেমিক আহাম্মক। যাই হক এই নন্দলাল অন্য নন্দলাল। এই নন্দলাল হল দুধ ওয়ালা নন্দ।
তো প্রতিদিন কার মতই নন্দ এর বউ দুধ দুয়ে দিলো এবং প্রতিদিন কার মতই নন্দ হাটে গিয়ে দুধ বিক্রি করলো। কিন্তু হাট থেকে ফেরার পথে তার ন্যাংটা কালের বন্ধু নিমাই এর সাথে দেখা হল। নিমাই এই এলাকার শ্রেষ্ঠ মাতাল। তার এই মদ খাওয়ার জন্য মোটামুটি বিখ্যাত। শুধু সে নয় তার চৌদ্দ পুরুষ মদ খেয়ে বিখ্যাত হয়েছে শোনা যায় তার দাদা (বড় ভাই নয় বাপের বাপ) নাকি বালতিতে করে মদ খেত কারণ বোতল তার কাছে তুচ্ছ।
নন্দলাল তার এই পুরনো বন্ধুকে দেখে পাশ কাটানোর চেষ্টা চালাল কিন্তু সফল হল না। তাই নিমাই এর সাথে মদের ঠিলাই যেতেই হল। নন্দ অবশ্য এই সব সেই বিয়ের পরে পরেই ছেড়ে দিয়েছিল কিন্তু এই সময় মদ দেখে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারলো না। এক গ্লাস খাবে বলে প্রায় ৬ গ্লাস খেয়ে ফেললো। এর ফলে ব্যাপক হারে নেশা গ্রস্থ হল। নেশার চোটে ঠিক ভাবে দাঁড়াতে পারছিলো না। তাই টং-বং করতে করতে রাস্তায় চলতে লাগলো।
কিছু দূর যাবার পর নন্দলাল পায়ের নিচে নরম কি যেন অনুভব করতে লাগলো। যতদূর সম্ভব মল হতে পারে। নন্দ তাই এইটা পরীক্ষা করার আশু প্রয়োজন অনুভব করতে লাগলো। তাই সে তার ডান হাতের মধ্যমা দিয়ে উক্ত পদার্থ তুলিয়া নাকের কাছে লইলেন এবং গন্ধ শোকার জন্য আরও একটু কাছে বাড়িয়ে ধরলেন এবং তখনই বিপত্তি ঘটলো নাকে গেলে গেল।
নন্দলাল যে প্রচুর পরিমাণে মদ পান করেছে তা খবর ইতিমধ্যে তার বউ এর কাছে পৌঁছে গেছে। তার বউ হায় হায় করতে করতে উপস্থিত হল। নন্দ এর অবস্থা থেকে তিনি নির্বাক! বহু কষ্ট উচ্চারক করলেন, “হায়রে আমার পোড়া কপাল! মানুষ এর স্বামীও মদ খায় কিন্তু কুত্তার গু সারা শরীলে মাখে না”!
আমাদের বই এ দেখা যায়। অধ্যায় শেষ হলে লেখা থাকে এই অধ্যায়ে আমারা কি কি শিখলাম। তাই.......
নন্দলাল এর আহাম্মুকির কাজ:
১. দুধ বিক্রি করে মদ খাওয়া।
২. পা থেকে হাত থেকে নাকে নেওয়া(বুঝে নেন)।