somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম

২৪ শে মে, ২০১০ বিকাল ৩:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সব কবিকেই আমরা শ্রদ্ধা করি। তবে বিশ্বকবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি বলে তাঁকে আরও বেশি শ্রদ্ধা করি, ভালবাসি। এই ভালবাসা তার প্রাপ্য। ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে নজরুলের কবিতা এদেশের মানুষকে যেভাবে উজ্জীবিত করেছে, আর কোন কবি তা করতে পারেন নি। পরাধীন জাতির উদ্দেশ্যে নজরুল বলেন-

বল বীর
বল চীর উন্নত মম শির!
শির নেহারী আমারি
নত শির ঐ শিখর হিমাদ্রির

তিনি আরো বলেন-
সত্য-মুক্তি স্বাধীন জীবন
ল্য শুধু যাদের
খোদার রাহায় প্রাণ দিতে আজ
ডাক পড়েছে তাদের

ভগবানরূপী ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে কবি’র বিষেদগার-
আমি বিদ্রোহী ভৃগু
ভগবান বুকে এঁকে দেব পদচিহ্ন
আমি খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন।

ব্রিটিশের প্রতি হুঁশিয়ারী এবং সংগ্রামী জনতার জন্য আশ্বাসের বাণী শোনালেন তিনি এভাবে-
মহা বিদ্রোহী রণকান্ত
আমি সেই হব শান্ত
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না,
অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম, রণভূমে রণিবে না-
বিদ্রোহী রণক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত
কবি নজরুল সবদিক থেকে পিছিয়ে পড়া বাঙ্গালী মুসলমানের কথাও ভেবেছেন গভীরভাবে। নিজ স¤প্রদায়কে অর্ধমৃত অবস্থা থেকে খাড়া হয়ে দাঁড়াবার জন্য তাদের উদ্দেশ্যে জাগরণী গান গেয়েছেন তাঁর কবিতা, গান ও গদ্যে-
বাজিছে দামামা বাঁধরে আমামা
শির উচুঁ করি মুসলমান।
দাওয়াত এসেছে নয়া জামানার
ভাঙ্গা কেল্লায় ওড়ে নিশান।
তিনি আরো বলেন-
দিক দিকে পূনঃজ্বলিয়া উঠেছে, দ্বীন-ই-ইসলামী লাল মশাল,
ওরে বে-খবর তুই ও ওঠ জেগে তুই ও তোর প্রাণ প্রদীপ জ্বাল।

কবি নজরুল আমাদের জাগরণের অগ্রদূত, ইসলামী বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের রূপকার। শুষ্ক, নীরস, দগ্ধীভূত বাঙ্গালী মুসলমানের জীবনে নজরুল সরস বর্ষণ এনেছিলেন- তিনি বলেনঃ

মুখেতে কলেমা হাতে তলোয়ার
বুকে ইসলামী জোশ দূর্বার
হৃদয়ে লইয়া ইশ্ক আল্লাহর
চল আগে চল বাজে বিষাণ,
ওহে ভয় নাই তোর গলায় তাবিজ
বাঁধা মোর ঐ পাক কুরআন।

কাজী নজরুল ইসলাম অসা¤প্রদায়িক কবি ছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে হিন্দু-মুসলমান উভয় স¤প্রদায়ের ঐক্য ছিল খুব জরুরী। তাই তিনি উভয় স¤প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে বলেন-
অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানেনা সন্তরণ,
কান্ডারী! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তিপণ
“হিন্দু না ওরা মুসলিম?” ্ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কান্ডারী! বল ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মা’র।

কবি নজরুল ইসলাম ছিলেন মানুষের কবি। সবশ্রেণীর মানুষকে নিয়ে তিনি ভাবতেন। মানুষের দুঃখ দৈন্য অন্যায় অবিচারের কথা ঠাঁই পেয়েছে তাঁর কবিতায়-
বিপন্নদের অন্ন ঠাসিয়া
ফোলে মহাজন ভুঁড়ি,
নিরন্নদের ভিটে নাশ করে
জমিদার চড়ে জুড়ি।

অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য তিনি বলেন-
ওঠরে চাষী জগদ্বাসী
ধর কষে লাঙ্গল
আমরা মরতে আছি
ভাল করেই
মরব এবার চল।

তুমি শুয়ে র’বে তেতালার’ পরে, আমরা রহিব নীচে,
অথচ তোমারে দেবতা বলিব, সে ভরসা মিছে!
সিক্ত যাদের সারা দেহ-মন মাটির মমতা-রসে
এই ধরণীর তরণীর হাল রবে তাহাদেরি বশে!
তারি পদরজ অঞ্জলি করি’ মাথায় লইব তুলি’,
সকলের সাথে পথে চলি’ যার পায়ে লাগিয়াছে ধুলি!

ক্ষুধার্ত মানুষকে নিয়েও কবি চিন্তা করেছেন নিবীড়ভাবে-
জীবনে যাদের হররোজ রোজা
ক্ষুধায় আসেনি নীদ
আধ মরা সেই কুষকের ঘরে
এসেছে কি আজ ঈদ

সাম্যের গান গেয়েছেন কবি এভাবে-
গাহি সাম্যের গান-
যেখানে আসিয়া এক হ’য়ে গেছে সব বাধা-ব্যবধান,
যেখানে মিশেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-ক্রীশ্চান।
গাহি সাম্যের গান!
কে তুমি? -পার্সী? জৈন? ইহুদী? সাঁওতাল, ভীল, গারো?
কন্ফুসিয়াস? চার্বাক -চেলা? ব’লে যাও, বলো আরো!



গাহি সাম্যের গান
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান্।
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ- অভেদ ধর্মজাতি,
সব দেশে সব কালে ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।


মসজিদে কল র্শিনী আছিল, -অঢেল গোস্ত রুটি
বাঁচিয়া গিয়াছে, মোল্লা সাহের হেসে তাই কুটি কুটি,
এমন সময় এলো মুসাফির গায়ে আজারির চিন্
বলে, “বাবা, আমি ভুখা- ফাকা আছি আজ নিয়ে সাত দিন!”
তেরিয়া হইয়া হাঁকিল মোল্লা- ‘ভ্যালা হ’ল দেখি ব্যাটা?’
ভুখারী কহিল, ‘না বাবা !’ মোল্লা হাঁকিল – ‘তা হলে শালা
সোজা পথ দেখ!’ গোস্ত রুটি নিয়া মস্জিদে দিণ তালা!
ভুখারী ফিরিয়া চলে
চলিতে চলিতে বলে-
‘আশিটা বচর কেটে গেল, আমি ডাকিনি তোমায় কভূ,
আমার ুধার অন্ন তা বলে বন্ধ করনি প্রভূ।
তব মসজিদ মন্দিরে প্রভূ নাই মানুষের দাবী।
মোল্লা-পুরুত লাগায়েছে তার সকল দুয়ারে চাবী।’
কোথা চেঙ্গিস, গজনী-মামুদ, কোথায় কালাপাহাড়?
ভেঙ্গে ফেল ঐ ভোজনালয়ের যত তালা-দেওয়া-দ্বার
খোদার ঘরে কে কপাট লাগায়, কে দেয় সেখানে তালা?
সব দ্বার এর খোলা রবে, চালা হাতুড়ি শাবল চালা!

দেখো চোষা-রূপে লুকায়ে জনক বলরাম এলেঅ কি না!
যত নবী ছিল মেষের রাখাল, তারাও ধরিল হাল,
তারাই আনিল অমর বাণী- যা আছে র’বে চিরকাল।
দ্বারে গালি খেয়ে ফিরে যায় নিতি ভিখারী ও ভিখারিনী,
তারি মাঝে কবে এলো ভোলা নাথ গিরি জায়া, তা কি চিনি!
তোমার ভোগের হ্রাস হয় পাছে ভিক্ষা-মুষ্টি দিলে,
দ্বারী দিয়ে তাই মার দিয়ে তুমি দেবতারে খেদাইলে।

কবি লিখেছেন নারীদের নিয়েও সমানতালে
সাম্যের গান গাই-
আমার চে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই!
বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্র“বারি,
অর্ধেক তার করিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী।
নরককুন্ড বলিয়া কে তোমা’ করে নারী হেয় জ্ঞান?
তারে বলো, আদি-পাপ নারী নহে সে যে নর-শয়তান।
অথবা পাপ যে-শয়তান যে-নর নহে নারী নহে,
কীব সে, তাই সে নর ও নারীতে সমান মিশিয়া রহে।
এ-বিশ্ব যত ফুটিয়াছে ফুল, ফলিয়াছে যত ফল,
নারী দিল তাহে রূপ-রস-মধু-গন্ধ সুনির্মল।
তাজমহলের পাথর দেখেছ, দেখিয়াছ তার প্রাণ?
অন্তরে তার মোম্তাজ নারী, বাহিরেতে শা-জাহান।


সমাজের নিম্নশ্রেণীর মানুষের জন্য কবি বলেছেন-
দেখিনু সেদিন রেলে,
কুলি ব’লে এক বাবু সা’ব তারে ঠেলে দিলে নীচে ফেলে!
চোখ ফেটে এলো জল,
এমন ক’রে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দূর্বল?
যে দধীচিদের হাড় দিয়ে ঐ বাষ্প শকট চলে,
বাবু সা’ব এসে চড়িল তাহাতে, কুলিরা পড়িল তলে।

দারিদ্রের গান গেয়েছেন এভাবে-
হে দারিদ্র, তুমি মোরে ক’রেছ মহান।
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীষ্টের সম্মান
কন্টক-মুকুট শোভা- দিয়াছ, তাপস,
অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস;
উদ্ধত উলঙ্গ দৃষ্টি; বাণী ুরধার,
বীণা মোর শাপে হ’ল তরবার!


শিশুদের জন্য কবি অবুঝ শিশুর মত বলেছেন-
কাঠবেড়ালী! কাঠবেড়ালী! পেয়ারা তুমি খাও?
গুড় মুড়ি খাও? দুধ-ভাত খাও? বাতাবি নেবু? লাউ?
বেড়াল-বাচ্চা? কুকুর-ছানা? তাও?

ভোর হোলো, দোর খোলো
খুকুমনি ওঠ রে!
ঐ ডাকে, জুঁই শাখে
ফুল-খুকী ছোট রে!
খুকুমনি ওঠরে!
রবি মামা, দেয় হামা
গায়ে রাঙ্গা জামা ঐ,
দারোয়ার গায় গান
শোনো ঐ, ‘রামা হৈ’।


বাবুদের তাল পুকুরে
হাবুদের ডাল-কুকুরে
সে কি বাস্ করলে তাড়া
বলি থাম্ একটু দাঁড়া!
পুকুরের ঐ কাছে না
লিচুর এক গাছ আছে না,
হোতা না আস্তে গিয়ে
য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে
গাছে গো যেই চ’ড়েছি,
ছোট এক ডাল ধরেছি,
ও বাবা মড়াৎ ক’রে
প’ড়েছি সড়াৎ জোরে!
প’ড়বি পড়, মালীর ঘাড়েই,
সে ছিল গাছের আড়েই
ব্যাটা বাই বড় নচ্ছার,
ধুমাধুম গোট দুচ্চার
দিলে খুব কিল ও ঘুষি
একদম জোরসে ঠুসি’!



নদীর মাঝিদের নিয়ে লিখেছেন কবি ভাটিয়ালী গান-
আমার ‘সাম্পান’ যাত্রী না লয়
ভাঙ্গা আমার তরী।
আমি আপনারে ল’য়ে রে ভাই
এ-পার ও-পার করি।

কবিকে তাঁর বহুমাত্রিক প্রতিভার কারণে প্রাসঙ্গীকভাবে বলে থাকিঃ

১। তিনি বিদ্রোহী কবি
২। মানবতার কবি
৩। দুঃখী মানুষের কবি
৪। শিশুর কবি
৫। হিন্দু মুসলিম মিলনের কবি
৬। স্বাধীনতার সংগ্রামের কবি
৭। প্রেমের কবি
৮। নারী মুক্তির কবি
৯। নিসর্গের কবি
১০। মুসলিম জাগরণের কবি
১১। অসা¤প্রদায়িক কবি
১২। সংগীতজ্ঞ কবি
১৩। সকল প্রকার অন্যায়, অবিচার, অনাচার, শোষণ, কুশাসন এর প্রতিবাদী কবি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত নোবেল বিজয়ী হয়ে বিশ্বকবি হওয়ার যোগ্যতা তাঁর ছিলো। কিন্তু নোবেল প্রাইজের আয়োজকদের (পরাশক্তির) বিরুদ্ধে তিনি বললেন-
লাথি মার ভাংরে তালা
যত সব বন্দী শালায়
আগুন জ্বালা আগুন জ্বালা
ফেল ও পাড়ি।

আমি বিদ্রাহী ভৃগু
ভগবান বুকে এঁকে দেব পদচিহ্ন
আমি খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন।

যিনি মাতৃভূমির ও বিশ্ব মানবতার মুক্তির জন্য পরাশক্তি সমূহের বিরুদ্ধে লিখনীরূপ অস্ত্র ধরেছেন তিনি কোন রাষ্ট্রীয় বা আন্তর্জাতিক সুযোগ সুবিধা পান না। কারণ এরূপ সমস্ত সংস্থাই শোষক, ধনীক, বণিক গোষ্ঠির নিয়ন্ত্রণে। তাই নোবেল প্রাইজ থেকে বঞ্চিতই শুধু নন তিনি বহুবার কারাবন্দী হয়ে নিষ্পেষিত হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণে মস্তিস্কের দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে নির্বাক হয়েছেন। তবে পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষ এবং সংগ্রামী জাতি সমূহ তাঁকে যে সম্মান ও ভালবাসা দিয়েছেন তা নোবেল প্রাইজের চেয়ে অনেক বেশী মূল্যবান।
কবি ছিলেন সূর্য্যর প্রখর আলো সম। তাঁর পরাক্রম ব্যক্তিত্ব, সাহস, মানবতার প্রতি অকৃ্ত্রিম ভালবাসা, তেজস্বীতা, অনুপ্রেরণা, বৈপ্লবিক চিন্তা চেতনা, বাস্তব তৎপরতা ইত্যাদি তাঁকে করেছে মহীয়ান ও গরিয়ান।

১৯২৯ সালে কলকাতায় এরবার্ড হলে কবিকে জাতীয় সংবর্ধনা দেয়া হয়। এই সংবর্ধনা কমিটির প্রধান ছিলেণ ব্যরিস্টার এস. ওয়াজেদ আলী। উক্ত সভায় সভাপতি ছিলেন নিখিল ভারত কংগ্রেসের তদানিন্তন সভাপতি নেতাজী সুবাস চন্দ্র বসু এবং উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়সহ ভারতের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। সেই সভায় কবিকে ভারতের জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। সভার শুরুতে কবির বিখ্যাত সঙ্গীত “দূর্গম গিরী, কান্তার মরু, দুস্তর পারাবার ওহে” উদ্ভোধনী সঙ্গীত হিসাবে কোরাস কণ্ঠে গাওয়া হয়। সভপতির ভাষণে নেতাজী বলেন, “ আমি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করেছি। বহু আঞ্চলিক সঙ্গীত শুনেছি। কিন্তুু এই ‘দূর্গম গিরী, কান্তার মরু’ গানের মত আর আবেদনময়ী কবিতা/গান শুনি নাই।’ তিনি বলেন, ‘এই সঙ্গীতটি’ই হলো আমাদের ভারতের জাতীয় সঙ্গীত।’


এখানে অবশ্যই বলা প্রয়োজন মার্কস, এঞ্জেলেস, রুশ, ভলটিয়ার, গর্কি প্রভৃতি মহান ব্যক্তিগণ জাতীয় স্বাধীনতা ও সমাজ বিপ্লব ঘটানোর জন্য লিখনীর মাধ্যমে জাতিকে যে দিক নির্দেশনা, অনুপ্রেরণা, উদ্দীপনা ও সাহস যুগিয়েছেন কবি নজরুল ভারতীয় স্বাধীনতার জন্য তার তলোয়ার তথা কলম চালিয়েছেন। যার ফলশ্র“তিতে ভারতীয় স্বাধীনতা তরান্বিত হয়েছে। বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের জন্য তিনি প্রেরণা জুগিয়ে গেছেন।


বিশ্বের এই অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিকে আমরা যথোপযুক্ত মর্যাদা দিতে পারি নাই। সরকারীভাবে তাঁকে জাতীয় কবি হিসাবে ঘোষণা দেয়া হয় নাই। তাঁকে দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ পদক (স্বাধীনতা পদক) দেয়া হয় নাই। বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের বাংলা সিলেবাসে ১০০ মার্কের কোন পাঠ্যক্রম গ্রহণ করা হয় নাই। অনুরূপভাবে স্কুল ও কলেজের পাঠ্যক্রমেও নজরুলের গদ্য, পদ্য কোনটিই প্রয়োজনীয় পরিমানে রাখা হয় নাই। আমি দাবী পেশ করছি যে,
১। তাঁকে সংসদে আইনের মাধ্যমে জাতীয় কবি হিসাবে ঘোষণা দেয়া
হোক।
২। দেশের সর্বোচ্চ পদক- স্বাধীনতা পদক কবিকে প্রদান করা হোক।
৩। স্কুল হতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত তাঁর গদ্য, পদ্য পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভূক্ত
করা হোক।
৪। তাঁর গ্রন্থ সমূহ পূনঃমুদ্রণ করা হোক এবং সরকারী গ্রন্থাগারে পর্যন্ত
পরিমাণে সংরণ করা হোক।
৫। তাঁর জীবন ও কর্মের উপর প্রামানিক ফিল্ম নির্মান করে সর্বসাধারণকে
দেখানোর জন্য ব্যবস্থা নেয়া হোক।
৬। বাংলা একাডেমী কর্তৃক নজরুল রচনা সমগ্র প্রকাশিত হলেও তা
পর্যাপ্ত নহে বলে প্রতি বছর পূনঃমুদ্রণ এবং বিতরণের ব্যবস্থা করা হোক।

পরিশেষে আমরা তাঁর মেধা মনন ও কৃতিত্বের জন্য আনন্দে গেয়ে যেতে চাই
তোরা সব জয়ধ্বনি কর
তোরা সব জয়ধ্বনি কর
ঐ নতুনের কেতন ওড়ে কাল বৈশাখীর ঝড়।


সত্য মুক্তি স্বাধীন জীবন ল্য শুধু যাদের
খোদার রাহায় প্রাণ দিতে আজ ডাক পড়েছে তাদের।


৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×