কাউকে বিদ্রুপ করার জন্য বলছি না। পবিত্র কুরআনে সুরা তাওবার ১১২ নম্বর আয়াতে বলা আছে- মুমিনগণ সৎকাজে (নিজেরা অংশগ্রহণ করে এবং অপরকে) উৎসাহিত করে এবং মন্দ কাজে (নিজে বিরত থাকে এবং অন্যদের) নিরুৎসাহিত করে আর সব বিষয়ে আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা মেনে চলে। (হে নবী) এসব গুণে গুণান্বিতদের তুমি মহা সাফল্যের সংবাদ দাও।
কিন্তু আমাদের সমস্যা হলো আমরা সীমালঙ্ঘন করে ফেলি। কতিপয় ধর্মীয় ব্যক্তির ( হুজুর/ ওয়ায়েজীন/ পীর এমনকি সাধারণ আলেম) কথা বার্তা এমন যে শুনলে মনে হয় তারা জান্নাত/ জাহান্নামের ইজারা নিয়েছেন। কথায় কথায় কাউকে জান্নাতে পাঠিয়ে দেয়া( দান বেশি হলে উচ্চমাত্রার দোয়া করে) আবার কাউকে শেষ বিচারের আগেই জাহান্নামে পাঠিয়ে দেয়া( ফতোয়া/ ওয়াজে) তাদের নিত্যদিনের কাজ। নিজের জান্নাতের পূঁজি নিয়ে চিন্তিত না হয়ে তারা শুধু পাপীদের(বাহ্যিক দৃষ্টিতে) নিয়ে সমালোচনা এবং গীবত করে মানুষের সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে চান। আলোচনা/ লেখালেখিতে ওনারাও হিংস্রতা প্রদর্শন করেন। ভাবখানা এমন যে অন্যদের জোর করে শুদ্ধ করে দেয়ার মহান দায়িত্ব নিয়ে তারা পৃথিবীতে এসেছেন। অথচ স্বয়ং রাসূল সা. কে আল্লাহ বলেছেন- "আপনাকে দারোগা বানিয়ে পাঠাইনি"।
কাউকে কথায় কথায় কাফের বলা, জাহান্নামী, মুশরিক ঘোষণা করার অধিকার কি তাদের আছে? আল্লাহর রাসূল সা. তো আবু জাহেল, আবু লাহাবের জন্যও হেদায়েতের দোয়া করেছেন। কিন্তু এসব সহিংস লোক যদি রাসূল সা. এর সাহাবী হতেন তবে ওহুদ যুদ্ধে মুসলমানদের বিপর্যয়ের নায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ, হিন্দা বিনতে ওতবা কিংবা ওয়াহশি কেউই ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আসতে পারতেন কিনা সন্দেহ!
আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া যে তিনি এসব ব্যক্তিকে জান্নাত/ জাহান্নামের ইজারাদার বানান নি। তাহলে আমাদের মত সাধারণ মানুষের জান্নাতে যাওয়া তো দূরের কথা, জান্নাত কামনা করার অধিকারও তারা কেড়ে নিতেন!!!