আসসালামু আলাইকুম। সবাইল ভাল আছেন? অনেক দিন পর আজ ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে, সাথে একটি কৌতুহলী খবর যা আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারলাম না...
নগরীর পাঁচলাইশ থানার এক এসআই’র বিরুদ্ধে অপহৃত এক কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধারের পর তিনদিন পুলিশ হেফাজতে রাখার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রীকে আদালতে সোপর্দ না করে তিনদিন ধরে নিজের হেফাজতে রাখার অভিযোগ উঠে এসআই অরুণ কান্তি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। অথচ নিয়মানুযায়ী গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আদালতে উপস্থাপনের কথা।
সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমানের আদালতে
ওই অপহরণ মামলায় শুনানির এক পর্যায়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী এই গুরুতর অভিযোগটি তোলেন।
বিচারক তাৎক্ষণিকভাবে নথিপত্র পর্যালোচনা করে মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহম্মেদকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মামলার আগামী ধার্য তারিখে বিষয়টি আদালতকে অবহিত করারও আদেশ দেন।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজাদীকে বলেন, ‘পাঁচলাইশ থানার এসআই অরুণ কান্তি বিশ্বাস গত বছরের ১২ অক্টোবর ভিকটিমকে উদ্ধার করেন। ১৩ অক্টোবর ভিকটিমকে আদালতে হাজিরের কথা থাকলেও ১৬ অক্টোবর তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
আদালত থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার বদি আলম গলির বাসিন্দা এবং দেওয়ানহাট সিটি কর্পোরেশন কলেজের এক ছাত্রী গত ৪ অক্টোবর কলেজে যাবার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে অপহৃত হন।
এ ঘটনায় গত ১২ অক্টোবর অপহৃত কলেজ ছাত্রীর মা বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় দু’জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন, মোহাম্মদ জসীম (২৩) এবং মোহাম্মদ মুন্না (৪০)।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ ওই দিনই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেন এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করেন।
এরপর ১৩ অক্টোবর দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু পাঁচলাইশ থানার ওসির আদেশ সত্ত্বেও ভিকটিমকে আদালতে হাজির করেননি এসআই অরুণ কান্তি বিশ্বাস। পরে ১৬ অক্টোবর ভিকটিমকে আদালতে হাজির করে তার মায়ের হেফাজতে দেওয়া হয়।
এ মামলায় সোমবার আদালতে জামিনের আবেদন জানান আসামি মোহাম্মদ জসিমের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। এসময় তিনি উদ্ধারের তিনদিন পর আদালতে ভিকটিমকে হাজিরের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ‘কোন আইনে তদন্তকারী কর্মকর্তা ভিকটিমকে তিনদিন নিজের কাছে রাখলেন বিষয়টি তদন্ত করা প্রয়োজন। কোন স্থানে কিভাবে একজন নারীকে এভাবে পুলিশ রেখেছে এই বিষয়টি কল্পনা করতে যেকোন সচেতন নাগরিকের বিবেকে বাঁধে। এধরনের ঘটনায় পুলিশ পার পেয়ে গেলে সমগ্র নারী সমাজকে তথা জাতিকে কলংকিত করা হবে।
গতকাল ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য আদালতে তলব করেন বিচারক। তবে বিচারকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
সূত্র এখানে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




