somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হতাশায় বিহ্বল একখানা স্থিরচিত্র এবং আমরা!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল' আমাদের প্রজন্মের সুপার-হিরো! যিনি তাঁর সরল স্বীকারোক্তি-মূলক লেখা দিয়ে, নতুন প্রজন্মের মেধা-বিকাশ এবং আধুনিক জ্ঞান-চর্চার জন্য নানা চমৎকার-অনবদ্য সব কাজ দিয়ে আমাদের’কে জয় করেছেন। বিদেশের নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃতিত্বের সাথে শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করে, প্রভূত আরাম-আয়েস-অর্থ পেছনে রেখে দেশে ফিরে এসেছেন। দেশের জন্য, নতুন প্রজন্মের জন্য কিছু করবেন বলে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন! সেই মানুষটি কাল দুপুর থেকে হতাশায় বিহ্বল একখানা স্থিরচিত্রে আবদ্ধ হয়ে অন্তর্জালিকার পাতায়-পাতায়, সংবাদ মাধ্যম এবং গরম খবরের হাওয়ায় প্রবাহিত হচ্ছেন! কিছু লিখবো না করেও শেষমেশ কি-বোর্ড খানা'কে অত্যাচার করতে বসা!
সত্যি বলতে, এক প্রকার অভিমান নিয়েই আমি বেশ অনেকদিন ধরে উনার কোন লেখা তেমন নজরে আনিনা; কিনি না উনার কোন বই! অথচ এই আমি এক সময় তাঁর কিশোর উপন্যাস গুলো বের হবার আগে থেকেই টাকা জমানো শুরু করতাম, যেন বইটা বের হলে সাথে-সাথেই কিনে নিতে পারি! কিন্তু গত ক’বছরে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে করা মন্তব্য এবং অবস্থান নেয়ার ক্ষেত্রে উনার কাছে আমি আরও বেশি সততা আশা করেছিলাম বলেই হয়তো এতো অভিমান আমার! তবু যতোই অভিমান করি না কেন, এই দেশের প্রতি, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের প্রতি উনার যে মমতা আর অবদান সেটা যে নিখাঁদ তাতে দুর্জনেরও দ্বিমত নেই। আমি তো অভিমানী ভক্ত বিশেষ!
আজকে উনার ছবিতে যে হতাশার প্রতিফলন আমরা দেখছি সেটা কি তাঁর একলার? এই বিহ্বল হতাশা বহুদিন ধরেই এ দেশের প্রতিটা সচেতন মানুষের! যেটা আজ আবার আমরা নতুন করে আর একবার উপলব্ধি করছি! আমি দুঃখ প্রকাশ করে তাঁর মনোভার লাঘব করবো এমন যোগ্যতা আমার কই! কিন্তু উনার উদ্দেশ্যে বলবো-‘এবারও যদি চূড়ান্ত সৎ সাহসটুকু না দেখান, এবারও যদি আমাদের এই প্রজন্মকে একত্র করে এই সিস্টেম’কে বড়সড় একটা ধাক্কা না দেন; এবারও যদি হেনতেন, হরিদাস, ধইঞ্চাদের রুখে দেয়ার লড়াইয়ে রাজপথে না নামেন তবে আর কবে?’
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

=মৃত্যু কাছে, অথবা দূরেও নয়=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



©কাজী ফাতেমা ছবি
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিয়ে বলি, আমারও সময় হবে যাবার
কি করে চলে যায় মানুষ হুটহাট, না বলে কয়ে,
মৃত্যু কী খুব কাছে নয়, অথবা খুব দূরে!
দূরে তবু ধরে নেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা

লিখেছেন করুণাধারা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯



এই ধাঁধার নাম সবুজ চোখের মানুষের ধাঁধা; নিচের লিংকে এটার ভিডিও আছে।

স্বৈরশাসকের বন্দী

এই ধাঁধাটি আমার ভালো লেগেছিল, তাই অনেক আগে আমার একটা পোস্টে এই ধাঁধাটি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পোস্টে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের চার খলিফার ধারাবাহিকতা কে নির্ধারণ করেছেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৭




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব)... ...বাকিটুকু পড়ুন

×