somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিক্ষায় ভ্যাটঃ একটি বৈষম্য মূলক করুন হাস্যরসাত্মক অন্যায় প্রহসন।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই সরকার যে কি চায় সেটা এখন সম্ভবত তারাও জানেনা! শিক্ষার মতো একটা বিষয়ে উন্নত বিশ্ব যখন পারলে ফ্রি করে দেয় সেখানে আমাদের সরকার বাড়তি টাকা আয়ের ধান্দা করে ভ্যাট নামক প্রহসনে লিপ্ত হতে চায়! সেটাতেও আবার বৈষম্য! সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে মাফ প্রাইভেটে পড়লে দিতেই হবে! বলি কেন?
এই ব্যাপারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রথমেই প্রতিবাদ করলেও আর সবার জন্য ব্যাপারটা গত সপ্তাহের প্রথম দিকেও সরকারের আর দশটা অন্যায় আবদারের মতোই বিতর্কের মধ্যে আবদ্ধ ছিল। সরকারের ভাষ্যমতে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্ররা সব ধনীর-দুলাল। কিন্তু সরকারের সব ভুল ধারনা ভেঙ্গে দিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা একত্রিত হয়ে রাজ পথে নেমে এসেছে। কারন একসময় ধনীর দুলালরাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লেও বর্তমানে উচ্চ শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপ্রতুল আসনের কারনে উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজনে অনেক মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্তের সন্তানেরাও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে বাধ্য হচ্ছে এবং পড়ছে। তাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চড়া বেতনের সাথে ভ্যাট নামক অন্যায় ভার বইবার ক্ষমতা অনেকেরই নেই! কিন্তু এবারও সরকার ভুল করেছে। তারা পুলিশ দিয়ে নিরীহ ছাত্রদের উপর গুলি চালিয়েছে! তারা ভেবেছে এইসব ধনীর দুলালকে দাবড়ানি দিলেই সব আম্মুর কোলে লুকিয়ে পড়বে কিংবা এইসব ওরা নিতে পারবেনা। এবং এবারও তাদের সেই পুরানো ভুল ধারনা ভেঙ্গে দিয়ে সমগ্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা গর্জে উঠলো! অবস্থা বেগতিক দেখে সরকার পক্ষ এবার পুরান গানে নতুন সুর ধরল, যার ফলে দুই দিন ধরে সরকার পক্ষ থেকে সবার ফোনে একটা মেসেজ এসেছে, যাতে বিভিন্ন ভাবে বলা হয়েছে-‘টিউশন ফি'র মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ভ্যাট পরিশোধ করার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের, ছাত্রদের নয়।‘
বলি, দেশের আমজনতা যাও কিঞ্চিৎ শিক্ষিত হচ্ছে, কিন্তু সরকার গুলা বুঝি কখনই শিক্ষিত হবে না! সরকার যতোই ঘুম পাড়ানি মাসি-পিসি গান শুনাক, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে তাদের দায়িত্বে এই টাকা ছাত্রদের বাবা'র পকেট থেকেই আদায় করবে সেটা বোঝার ক্ষমতা দুগ্ধ-পোষ্য শিশুরও আছে!

তাই প্রত্যেক ছাত্র ভাই-বোনদের প্রতি (বিশেষ করে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের প্রতি) আহ্বান, দাবি আদায় হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে রাজপথে থাকো। প্রয়োজনে ঢাকা সহ দেশের প্রধান শহর গুলো ক'দিনের জন্য অচল করে দাও। আমি জানি অনেকেই বলবে যে, এতে দেশের ক্ষতি হবে, হেন হবে, তেন হবে। কিন্তু আমার কথা হলো-কুলাঙ্গার রাজনীতিবিদ আর ধ্বংসের রাজনীতির জন্য এম্নিতেই আমরা অনেক ক্ষতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি, যাচ্ছি আর এভাবে চলতে থাকলে আরও কতো ভয়াবহ ক্ষতি হবে সেটা এখনই অনুমেয়। তাই প্রয়োজনে আরও একটু ক্ষতি হোক কিন্তু সেই ক্ষতির বিনিময়ে একটা ভালো পরিবর্তন আসুক। আর ওরাও(শাসক শ্রেণী) বুঝুক যে মনগড়া তত্ত্ব দিয়ে জনগন'কে ঠকানোর দিন শেষ! উপরে রঙচঙয়ে বড়-সড় এতোসব পোস্টার লাগিয়ে ভেতরের ফাঁপা গহ্বর ঢেকে আর লাভ নেই।
আর একটা ব্যাপার-বর্তমান অর্থমন্ত্রী লোকটা নাকি বেশ ঝানু অর্থনীতি এবং গনিত জানা লোক! উনার তো এই ব্যাপারে আরও ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা! কিন্তু উনার প্রতিদিনকার মন্তব্য শুনে উনাকে শিক্ষিত বলতে আমার আপত্তি হচ্ছে! এছাড়া মনে হচ্ছে ব্যাপারটাকে তিনি এখন ব্যক্তিগত গোঁয়ার্তুমির মধ্যে নিয়ে যাচ্ছেন! রাজনৈতিক কারনে নিজেকে আর কতোটা মস্তিষ্ক বিকৃত প্রমান করলে উনার মন্ত্রিত্ব বজায় রাখতে পারবেন বলে মনে করেন উনি?’
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে…

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:০৭




মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত যেসব বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে…
১. প্রথমে বলেছেন মৃতদের পেটে কাটাছেড়ার ডাহা মিথ্যা। পরে স্বীকার করেছেন দাগ থাকে।
২. আশ্রমে বৃদ্ধদের চিকিৎসা দেয়া হয় না। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগটা তো ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে গেলো :(

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭



আমি আমার ব্লগিং শুরু করি প্রথম আলো ব্লগে লেখালেখির মাধ্যমে। ব্লগটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ প্রথম আলো ব্লগ আমায় লেখালেখিতে মনোযোগী হতে শিখিয়েছে । সে এক যুগ আগের কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×