মৃত্যু ,এক কঠিন সত্য। এই কয়দিন ভারচুয়াল জগত থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম, কারন সম্প্রতি আমার দাদির মা মারা গিয়েছেন। যদিও উনি বয়সে অনেক বড় কিন্তু তার সাথে আমার অনেক সৃতি জড়িয়ে আছে। যখন শুনেছি তিনি মারা গিয়েছেন তখন এত খারাপ লাগেনি। ইভেন আমি লাকসাম যাওয়ার পরও তার মুখটা দেখিনি,কারন আমি খুব ভীতু টাইপের একটা ছেলে। হয়তো স্বপ্নে দেখবো বলে আমি এই সাহসটি দেখাইনি। আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম,সারারাত ঘুমাইনি বলে। ঘুম ভেঙ্গেছিল মানুষের কান্নায়। এওত মানুষ সবাই একটি মানুষের জন্য কাঁদছে। কি অদ্ভুত ।কেউ কেউ বলছে কিছুক্ষন আগেও উনার সাথে ক্তহা বলেছি আর এখন উনি নেই, নিথর বরফে মাখা দেহ পড়ে আছে মাটিতে। আমি উঠেছিলাম কখন ঠিক নেই , রুমে গিয়ে হাত্মুখ ধুয়ে বসলাম আম্মুর পাশে। আম্মু বললেন জাও জামাটা পালটে পাঞ্জাবি পড়ে এসো। তাই করলাম।আবার এসে বসলাম আম্মুর পাশে,কেন জানি আম্মুকে ছাড়তে ইচ্ছে করছিল নাহ। উনার পাশেই থাকতে সাবলিল লাগছিল।তবে সবচেয়ে বেশি খারাপ লেগেছিল আমার দাদীর কান্না দেখে। ইশ এই মানুষটি আজ তার মায়ের জন্য কি আকুলতার সাথেই নাহ কাঁদছে। আমার আসলে আমার দাদীর জন্যই বেশি খারাপ লাগছিল। ডাক আসলো লাশ নিয়ে যাওয়া হবে। প্রস্তুত হলো সবাই, আমিও প্রস্তুত। জীবনে এই প্রথম খাটিয়া ধরেছিলাম। খুব ভারি ছিল যদিও কিন্তু কেন জানি তেমনটা অনুভব করছিলাম নাহ।জানাজা শেষ। নিয়ে যাচ্ছিলাম কবরের দিকে। নিজের কাছে কেমন জানি লাগছিল,মনে হচ্ছিল আমাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।ভয় পাচ্ছিলাম কিন্তু সরে যাচ্ছিলাম নাহ।প্রথমবার খাটিয়া ধরার সাথে প্রথম্বার লাশ কবরেও নামিয়েছি। ঠিক তখনই আমি উনার চেহারা দেখে ফেলি কাপড় সরে যাওয়ার ফলে। সাথে সাথে আমার পুরো শরীর অসাড় হয়ে যায়। কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম নাহ। একে তো কবরের এমন ভয়ংকর রুপ তার উপরে এমন সাদা চেহারা,। আমার চোখে এখনও ভাসছে। কেন জানি ভুলতেই পারছি নাহ। আদ্ভুত সব স্বপ্ন দেখছি আমি,কবরে একে একে সবার চেহারা দেখছি আমি।মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়,শরীর জুড়ে ঘাম। এত প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষন আগের খাটে শোয়া মানুষ টিকে এখন শুইয়ে দিয়ে আসলাম মাটিতে, সাথে দিয়ে আসলাম কলাপাতা, আর বাঁশের টুকরো। দোয়া করি আল্লাহ পাক উনাকে বেহেশত নসীব করুন।
তবে কি উপলব্ধি করেছি এখনও নিজের মধ্যে নিজের শব্দগুলো দিয়ে সাজাতে পারিনি। তবে মাথায় ঠিকি কাজ করছে।
অপেক্ষা শুধু সাজানোর ।
নিজের ভাবনা গুলোকে,নিজের জীবনটাকে ,নিজের আশে পাশের পরিবেশটাকে সাজানোর অপেক্ষা।