বিশ্বের ডলারের মান ও রিজার্ভ পরিস্থিতি :
বিশ্বের সব চেয়ে বেশি রিজার্ভ আছে চিনে -গত সাত মাসে চিনের রিজার্ভ ৩,২৫০ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩,০৫০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে –
জাপানের রিজার্ভ ১,৪০০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ১,৩০০ বিলিয়ন ডলার হোয়েছে –
সুইজারল্যান্ডে রিজার্ভ ৯৫০ বিলিয়ন ডলার থেকে নেমে ৮৪০ বিলিয়ন ডলার হোয়েছে –
ভারতের রিজার্ভ গত ২০ বছরের সব চেয়ে কম অ্যাখোন – গত জানুয়ারিতে ভারতের রিজার্ভ ছিলো ৬০০ বিলিয়ন ডলার- অ্যাখোন তা ৫৭২ বিলিয়ন ডলার-
পাকিস্তানের রিজার্ভ ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে – যা দিয়ে দেশটি তিন মাসের ব্যয় মেটাতে পারবেনা – এ জন্যে বলা হচ্ছে পাকিস্তান হোতে যাচ্ছে দ্বিতিয় ‘‘শ্রীলঙ্কা’’ –
পাকিস্তানের চেয়ে তিনগুন বেশি রিজার্ভ থাকা সত্বেও বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে বলে উল্লাসে ফেটে পড়ছে টেলিভিমনের টকশোতে তথাকথিত সুশীল, বুদ্ধিজিবি ও অর্থনিতিবিদগণ –
বাংলাদেশে ২৮ জুলাই ২০২২ খৃ: ডলার বিক্রি হোয়েছে ১১২ টাকায়-
সম্প্রতি জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনিতিবিদ স্টিভ হাস্কি ডলারের দর পতন নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন - স্টিভ হাস্কির মতে –
ডলারের সব চেয়ে বেশি দাম কমেছে ভেনেজুয়েলার মুদ্রা “বলিবার” এর – গত ৩০ মাসে এই মুদ্রার দাম কমেছে প্রায় ১০০% -
দ্বিতিয় দাম কমেছে ০১ ডলারের বিপরিতে জিম্বাবুয়ের ডলার অ্যাখোন ৯৫০ –
তৃতিয় দাম কমেছে লেবানন পাউন্ডের -০১ ডলার দিলে লেবাননের ১,৫১০ লেবাননি পাউন্ড পাওয়া যায় – গত ৩০ মাসে লেবাননি পাউন্ডর দাম কমেছে ৯৩% -
চতুর্থ দাম কমেছে সিরিয়াতে প্রতি ডলারের বিপরিতে ৪,০১০ সিরিয়ান পাউন্ড –
গত ৩০ মাসে উন্নত দেশ তুরস্কের মুদ্রা লিরার মান কমেছে ৬৭ % - ০১ ডলারের বিপরিতে ১৭.৮০ লিরা –
০১ ডলারের বিপরিতে পাকিস্তানে পাওয়া যায় ২২৯ রূপি –
ভারতে ০১ ডলারের বিপরিতে ৮০ রুপি – ভারতিয় অর্থনিতিবিদগণ বলছেন দর পতন অব্যাহত থাকবে –
বিশ্বে প্রথমবারের মতো ইওরোপিয় ইউনিয়নের মুদ্রা “ইওরো”র মূল্যমান ডলারের নিচে নেমেছে-
গত ৩০ মাসে বৃটিশ পাউন্ডের দাম কমেছে ১৩% -
বাংলাদেশ কি বিশ্ব পরিস্থিতির বাইরে ?
আমার দেশ আরো ভালো থাকতো - যদি বিপুল পরিমান টাকা বিদেশে পাচার না হোতো – ব্যাংকসমুহ লুটপাট না হোতো –দুর্ণিতি কম হোতো -
সরকারের অ্যখোন ভেবে দেখা দরকারর ‘‘কুইক রেন্টাল’’ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো অহেতুক বসিয়ে রেখে ‘‘ক্যপাসিটি পেমেন্ট বা কেন্দ্র ভাড়া’’ দেয়া কতোটা যৌক্তিক ? বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রনালয়ের হিসেব অনুযায়ি-
সরকারি বেসকারি ৯০ টি কেন্দ্রের অহেতুক বসিয়ে রেখে ‘‘ক্যপাসিটি পেমেন্ট বা কেন্দ্র ভাড়া’’ দেয়া হোয়েছে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা (জুলাই ২০২১ থেকে মার্চ ২০২২ পর্ন্ত) –
প্রতি মাসে ‘‘ক্যপাসিটি পেমেন্ট বা কেন্দ্র ভাড়া’’ দেয়া হয়েছে ১,৮৬৫ কোটি টাকা –
জনগণকে অন্ধকারে রেখে সরকার কতিপয় ব্যক্তিকে মাখন খাওয়াবে কি না তা ভেবে দেখার সময় এসেছে -
(সুত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন: ৩০ জুলাই, ২০২২ খৃ:, শনিবার, পৃষ্ঠা ০৪ )
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




