মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধিনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক মুর্খতা ::
মুক্তিযুদ্ধ কিংবা বাংলাদেশের স্বাধিনতা ১০০ মিটার দৌড় কিংবা ১০০০০ মিটার রিলেরেস ছিলোনা- যে কেউ বেতার কেন্দ্র থেকে বা টেলিভিশন থেকে ঘোষণা দিলো বা বাঁশি ফু দিলো অমনি মুক্তিযুদ্ধ শুরু হোলো - আর নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছে , নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে (হলো) – আর অমনি দেশ স্বাধিন হোয়ে গেলো ? মেজর জিয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২৫ মার্চ ১৯৭১ খৃ: মধ্য রাতের ঘোষণার পাঠক হিসেবে কালূরঘাট বেতার কেন্দ্রে পাঠ করেছেন মাত্র ২৭ মার্চ ১৯৭১ খৃ: - যে ঘোষণাটি আগে ও পরে আরো বহুবার বহুজনে পাঠ করেছেন ও বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হোয়েছে – তবে সাধারণ মুক্তিবাহিনির প্রতিক্রিয়া ছিলো, ‘সামরিক বাহিনির অ্যাকজন মেজরের ঘোষণায় উদ্ভুদ্ধ হোয়েছেন তারা’ - যা অস্বিকার করার উপায় নেই – কিন্তু যারা মনে করেন, মেজর জিয়ার ঘোষণা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ হোতোনা বা দেশ স্বাধিন হোতোনা তাদেরকে মুর্খ ছাড়া আর কিছুই মনে হয়না আমার – সাধারণত: পিকিংপন্থিরা ও স্বাধিনতা বিরোধিরা (যারা স্বাধিনতা বিরোধিদের মঞ্চ (বি. এন. পি.) গঠন করেছেন) তারাই জেনারেল জিয়ার মৃত্যুর পরে জাতির পিতার ‘‘সমান্তরাল’’ নেতা দাড় করাতে এই ঘৃন্য কৌশলের আশ্রয় নেন – জেনারেল জিয়া নিজেকে কখনো ‘স্বাধিনতার ঘোষক (পাঠক)’ দাবি করেননি – কারণ তিনি জাতির মহান নেতা শেখ মুজিবের নামে (পক্ষে) তিনি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে স্বাধিনতার ঘোষণাটি একাধিকবার পাঠ করেছেন-
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ খৃষ্টাব্দ ০৪ জানুয়ারি ছাত্র লিগ গঠন করেন-১৯৪৯ খৃষ্টাব্দ ২৩ জুন আওয়ামি লিগ গঠন করেন – পাকিস্থানের পূর্ব ও পশ্চিম অংশের শোষণ বৈষম্য সাধারণের সামনে তুলে ধরেন - পুর্ব বাংলার স্বায়ত্বশাসন ও বাংলা ভাষার মর্যাদা নিশ্চিত করাকে- একমাত্র লক্ষ নির্ধারণ করেন - জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র নেতা - তিনি এক চুল নড়েননি তার লক্ষ্য থেকে - বাঙালির স্বার্থ থেকে কাউকে বা কোনো প্রলোভনে এক চুল ছাড় দেননি- শত সহস্র অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন - প্রায় ১৩ বছর জেলে জিবন যৌবন বিসর্জন দিয়েছেন –– আর সকল নেতারা যখনই পদ পেয়েছেন অমনি লুফে নিয়েছেন – চাকুরি বাগিয়েও নিয়ে সন্তুষ্টু হোয়েছেন অধিকাংশ ‘মহান নেতা’ বলে পরিচিত জনেরা- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুর্ব বাংলার স্বায়ত্বশাসন নিশ্চিত করার জন্যে মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন- দলের হাল ধরেছেন – এমন বিরল ইতিহাস কেবল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের –
বগুড়ার মোহাম্মদ আলি পাকিস্তানের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারি (প্রধানমন্ত্রি) হয়েও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা ও পুর্ব বাংলার স্বায়ত্বশাসন নিশ্চিত করার জন্যে কিছুই করেননি- শের এ বাংলা এ কে ফজলুল হক ১৯৪০ খৃ: লাহোর প্রস্তাবের পরে আর তা নিয়ে পিছে তাকাননি- ঐ পর্যন্তই দায়িত্ব শেষ কোরেছেন - মওলনা আব্দুল হামিদ খান ভাসানি “আসসালামুআলাইকুম” বলে পাকিস্তানকে বিদায় জানিয়েই দায়িত্ব শেষ কোরেছেন- আয়ুব খানের দালালি করেছেন, চিনের আনুগত্যের আশায় – সে কারণেই চিন ও মাওসেতুং বোধ করি আমাদের স্বাধিনতা ও মুক্তিযুদ্ধের (জনযুদ্ধের) বিরুদ্ধে ছিলেন- আমাদের স্বাধিনতা ও মুক্তিযুদ্ধের (জনযুদ্ধের) বিরুদ্ধে ছিলেন সকল চিনপন্থি মাওবাদি কমিউনিস্টরা- কারণ স্বয়ং মাওসেতুং ছিলেন পাকিস্তানেরস পক্ষে – পাকিস্তানকে অস্ত্র দিয়েছেন বাঙালি নিধনে -
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধিনতার প্রশ্নে ভারত সরকারের সমর্থন ও সাহায্য নিশ্চিত করেছেন - ১৯৬৬ খৃষ্টাব্দে ০৬ দফা পেশ করলে - তৎকালিন আওয়ামিলীগ সভাপতি মওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগিস, সহ সভাপতি আতাউর রহমান খান, আবুল মনসুর আহমেদ, আবদুস সালাম খানসহ বড়ো বড়ো নেতারা - ০৬ দফাকে পাকিস্তান ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহি মামলার ভয়ে দল ত্যাগ করেন - জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলিগকে দিয়ে ও ছাত্রলিগকে সাথে নিয়ে ০৬ দফার প্রচার ও প্রসার ঘটিয়ে - ১৯৬৯ গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করান - ছাত্রলিগের ও আওয়ামিলিগের অধিকাংশের বিরোধিতার মুখে - ‘নির্বাচন চায় যারা ইয়াহিয়ার দালাল তারা’ – ‘ভোটের বাক্সে লাথি মারো, বাংলাদেশ স্বাধিন করো’- গরম গরম শ্লোগানের মুখেও ১৯৭০ খৃ: নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন - পাকিস্তানের একমাত্র নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে - বিশ্বের অবিশম্বাদিত নেতা বনে গেলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান -
০১ মার্চ ১৯৭১ খৃ: ইয়াহিয়া সংসদ অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের স্থগিত ঘোষণা করলে - গোটা জাতি ফুসে ওঠে - রাজপথে নেমে আসে গোটা জাতি – মিছিল ছুটে যায় জাতির পিতা শেখ মুজিবের কাছে হোটেল পূর্বানিতে- কোনো মিছিল কি সে দিন মেজর জিয়ার কাছে গিয়েছিলো ? ০২ মার্চ ১৯৭১ খৃ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলিগকে দিয়ে স্বাধিন বাংলার পতাকা ওড়ালেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান - সে দিন কেউ কি মেজর জিয়ার কাছে গিয়েছিলো অনুমতি বা সম্মতি নিতে ? ০৩ মার্চ ১৯৭১ খৃ: পল্টন ময়দানে ছাত্রলিগকে দিয়ে ‘স্বাধিন বাংলার ইশতেহার’ পাঠ করালেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান - সে দিন কেউ কি মেজর জিয়ার কাছে গিয়েছিলো অনুমতি বা সম্মতি নিতে ? ০৭ মার্চ ১৯৭১ খৃ: রেসকোর্স্ ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা দিলেন - ‘‘আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমাদের যার যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করবে - প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে – যার যা আছে তাই দিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে - মনে রাখবা, আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখোন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবেনা - রক্ত যখোন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো - এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাল্লাহ - এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম - এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধিনতার সংগ্রাম - জয়বাংলা’’- গ্রামে গ্রামে শহরে পাড়ায় মহল্লায় স্বশস্র মুক্তিবাহিনির প্রশিক্ষণ শুরু হোলো - ০৭ মার্চ ১৯৭১ খৃ: রেসকোর্সের ভাষণের পর পরই – ২৩ মার্চ ১৯৭১ খৃ: পাকিস্তান দিবসে কেন্টনমেন্ট ও গভর্ণর হাউজ ব্যতিত কোথাও পাকিস্তানের পতাকা দেখা যায়নি- সারা দেশে স্বাধিন বাংলার পতাকা উড়তে দেখা গেছে-
১৮ মার্চ ১৯৭১ খৃ: পশ্চিম বাংলার ‘সানি ভিলা’র ঠিকানা সকল নেতাকে মুখস্ত করালেন- যেখানে স্বাধিন বাংলার সকল কার্যক্রমের প্রস্তুত করা আছে - ২৩ মার্চ ১৯৭১ খৃ: পল্টন ময়দানে ছাত্রলিগকে দিয়ে স্বাধিন বাংলার পতাকা ওড়ালেন - সামরিক কায়দায় অভিবাদন গ্রহণ করালেন- গান ফায়ার করালেন - মার্চপাস্ট করালেন - ২৩ মার্চ ১৯৭১ খৃ: রাজধানির সড়কে প্রকাশ্যে ছাত্র ইউনিয়েনের ছাত্র ছাত্রীদের মুক্তিবাহিনির স্বশস্র প্রশিক্ষণ মহড়া ঢাকার রাজপথে নামলে সাধারণ নাগরিকরা ফুলে ফুলে অভিনন্দিত করে - ২৩ মার্চ ১৯৭১ খৃ: এতা সব কর্মসুচি পালনকালে কি কেউ কি সেদিন মেজর জিয়ার কাছে গিয়েছিলো অনুমতি বা সম্মতি নিতে ? ২৫ মার্চ ১৯৭১ খৃ: পরে স্বয়ং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও যদি বলতেন, ‘পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও জুলফিকার আলি ভুট্টোর সাথে সমঝোতা হোয়েছে- পাকিস্তানের সর্বসময় ক্ষমতা আওয়ামিলিগের হাতে অর্পন করা হবে, তোমরা থামো- আমার দৃঢ় বিশ্বাস স্বয়ং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও বাঙালিকে আর ঘরে ফেরাতে পারতেন না – দেশ স্বাধিন না হওয়া পর্যন্ত বা দেশ স্বাধিন না করা পর্যন্ত বাঙালি ঘরে ফিরতো না বলে আমি দৃঢ় চিত্তে বিশ্বাস করি – অতএব যারা জিয়া ২৭ মার্চ ১৯৭১ খৃ: স্বাধিনতার ‘ঘোষণা পত্র পাঠ না করলে’ মুক্তিযুদ্ধ হোতো না বা দেশ স্বাধিন হতো না বলেন, তারা বিরাট মূর্খতা নিয়ে বেঁচে আছেন বলে আমি মনেকরি-
তারপরেও যারা বলেন, মেজর জিয়ার ২৭ মার্চ ১৯৭১ খৃ: কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের জাতির পিতার ২৫ মার্চ ১৯৭১ খৃ: মধ্য রাতের দেয়া স্বাধিনতা ঘোষনাপত্রটি পাঠ না করলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না বা দেশ স্বাধিন হোতো না- তারা প্রকৃত মুর্খ - প্রকৃত স্বাধিনতা বিরোধি, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুদের ও যুদ্ধাপরাদিদের এবং স্বাধিনতার পরে পথ ভ্রষ্ট ও বিপথগামি রাজনিতির বাহক জাসদ, পিকিংপন্থি কমিউনিস্ট সকল, মুসলিম লিগ, জামাতে ইসলামি, ইসলামি ছাত্র শিবির (ছাত্র সংঘ), শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল বদর, আল শামস, দলের লোক নিঃসন্দেহে - স্বাধিনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক তোলা ও বিতর্ক শুরু করেছে ও অ্যাখোনো করছেন সচেতনভাবে – সাধারণকে বিভ্রান্ত ও বিপথগামি করার জন্যে -
পিকিংপন্থি মাওবাদি চিনা কমিউনিস্ট সকল, মুসলিমলিগ, জামাতে ইসলামি, ইসলামি ছাত্র সংঘ, নেজামে ইসলাম, কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি (পি. ডি. পি), শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল বদর, আল শামস, মুজাহিদ বাহিনি প্রভৃতি প্রকৃত স্বাধিনতা বিরোধি, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুদের ও যুদ্ধাপরাদিদের দলের সমর্থকরা - জাতির পিতার সমান্তরাল নেতা বানাতে চায় জিয়াকে – ‘জাসদ’ জাতির পিতার সমান্তরাল নেতা বানাতে ঔধ্যত্য দেখায় সিরাজুল আলম খানকে নিয়ে - সিরাজুল আলম খানকে কেউ কেউ জাতির পিতার উপরে মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে চায়- তারা বলতে চায় সিরাজুল আলম খানই প্রথম স্বাধিনতার কথা প্রস্তাব করেন -জয় বাংলা শ্লোগান দেন - সিরাজুল আলম খান প্রকৃত অ্যাকজন পথভ্রষ্ট ও বিপথগামি রাজনিতির শ্রষ্টা - কাক কিংবা কোকিল কি ময়ুর পুচ্ছ পড়লেই ময়ুর হোতে পারে ?
মুক্তিযোদ্ধাদের ভুয়া সনদ নেয়া শুরু করে স্বাধিনতা বিরোধি, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুরা ও যুদ্ধাপরাধিরা - কারণ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ খৃ: পর্যন্ত যে সকল ‘আমলা’ (সচিব, জেলা প্রশাসক (D.C), পুলিশ সুপার (S.P), মহাকুমা প্রসাশক (S.D.O), মহাকুমা পুলিশ অফিসার (S.D.P.O), থানার সার্কেল অফিসার (C.O - Development & Revenue), ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (O.C) পাকিস্তানের আজ্ঞাবাহক ছিলেন- পাকিস্তানি হানদার বাহিনির হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নি সংযোগ, জোর করে ধর্মান্তরিত করা, জোর করে দেশান্তরিত করা, আজ্ঞাবাহক ও সহায়ক শক্তি ছিলেন - সে সকল ‘আমলারা’ ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ খৃ: এক ঘোষনায়, বনে গেলেন স্বাধিন বাংলাদেশের ‘নিতি নির্ধারক’ – এরাই পিকিংপন্থি মাওবাদি চিনা কমিউনিস্ট সকল, মুসলিম লিগ, জামাতে ইসলামি, ইসলামি ছাত্র সংঘ, নেজামে ইসলাম, কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি (P.D.P), শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল বদর, আল শামস, মুজাহিদ বাহিনি জোগসাজসে মুক্তিযোদ্ধা ভুয়া সনদ নেয়া ও দেয়া শুরু করে - প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সনদের আশায় কিংবা বর্তমান সুযোগ সুবিধার (কুড়ি হাজার টাকা সম্মানি বা ভাতা, চাকুরিতে ০২ বছরের জেষ্ঠতা, সন্তান ও নাতি নাতনীদের শিক্ষা ও চাকুরির অগ্রাধিকার প্রভৃতি) আশায় মুক্তিযুদ্ধ করেননি একজনও মুক্তিযোদ্ধাও - মুক্তিযুদ্ধ শেষে অধিকাংশই অশ্র ছুড়ে ফেলে ফিরে গেছে আপন ঠিকানায় – আপন আত্মিয় স্বজনদের কাছে – মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা ও সুযোগ সুবিধার প্রদানের ক্ষেত্রে “অসহায় ও হতদরিদ্র” কথাটা লেখা যৌক্তিক ছিলো – তাহোলে ভুয়া সনদ নিতেন না, সচিবগণ ও কোটিপতি ক্ষমতাধর ব্যক্তিগণ – এই সচেতন ত্রুটিও করেছেন পাকিস্তানের আজ্ঞাবাহক ও পাকিস্তানি মানসিকতার ‘আমলাগণ’ বা স্বাধিন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পাকিস্তানি মানসিকতার নিতিনির্ধারকগণ -
দেশ স্বাধিন হোলে জাতির পিতার স্বদেশে ফিরে এসে সকল আন্ডার গ্রাউন্ড রাজনিতিকেদের – (অধিকাংই ছিলেন জাতির পিতার ঘনিষ্ট বন্ধু - মোহাম্মদ তোয়াহা, আব্দুল হক, ভাষা মতিন, আলাউদ্দিন আহমেদ, দেবেন শিকদার, আবুল বাশার, টিপু বিশ্বাস, সুখেন্দু দস্তিদার প্রমুখ) আহ্বান জানালেন সদ্য স্বাধিন, যুদ্ধ বিদ্ধস্থ দেশ পুর্ণগঠণে অংশ নিতে - তারা জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিলেন না- উপরন্ত তারা বিনা কারণে, অযৌক্তিভাবে সদ্য স্বাধিন, যুদ্ধ বিদ্ধস্থ বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে (জাতির পিতার নেতৃত্বের সরকারকে) উৎখাতে ডাক দেয় - তাদের দলের নাম তখনো ও এখনো ‘পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি’, ‘পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি’, পূর্ব বাংলা সাম্যবাদি দল প্রভৃতি- তারা বাংলাদেশের স্বাধিনতাকে মানেনি – আজো মানেনা বলেই আমি বিশ্বাস করি- কারণ সেদিন আমি মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিতে সম্মত হইনি, মিলিটারি মারিনি বলে- ২০১৪ খৃ: মেজর মহসিন তালুকদার (অবঃ) আমার মুক্তিবাহিনি (মুজিব বাহিনি) কমান্ডার- পুনরায় আবেদন করতে অনুরোধ করলে, আমি জানতে চাই ৪৩ বছরে আমি কি মিলিটারি মেরেছি না কি ? তিনি আমাকে ভর্ৎসনা করেন – গোয়ার ও গবেট বলে –
সদ্য স্বাধিন দেশে মুক্তিবাহিনির সদস্যদের নানা ভাবে অপমান করা হোয়েছে- রক্ষিবাহিনি দিয়ে তাদের বাড়িতে অস্ত্র উদ্ধারের নামে অপমান করা হোয়েছে - ১৬-১২-১৯৭১ খৃ: পর্যন্ত যে সকল ‘আমলা’ (সচিব, জেলা প্রশাসক (D.C), পুলিশ সুপার (S.P), মহাকুমা প্রসাশক (S.D.O), মহাকুমা পুলিশ অফিসার (S.D.P.O), থানার সার্কেল অফিসার (C.O-Development & Revenue), ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (O.C) পাকিস্তানের আজ্ঞাবাহক ছিলেন- পাকিস্তানি হানদার বাহিনির হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নি সংযোগ, জোর করে ধর্মান্তরিত করা, জোর করে দেশান্তরিত করা পাকিস্তান হানাদার বাহিনির আজ্ঞাবাহক ও সহায়ক শক্তি ছিলেন - সে সকল ‘আমলারা’ ১৭-১২-১৯৭১ খৃ: এক ঘোষনায়, বনে গেলেন স্বাধিন বাংলাদেশের নিতি নির্ধারক – এরাই পিকিংপন্থি মাওবাদি চিনা কমিউনিস্ট সকল, মুসলিমলিগ, জামাতে ইসলামি, ইসলামি ছাত্র সংঘ, নেজামে ইসলাম, কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি (পি. ডি. পি), শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল বদর, আল শামস, মুজাহিদ বাহিনির প্ররোচনায় - সদ্য স্বাধিন দেশে মুক্তিবাহিনির সদস্যদের নানা ভাবে অপমান করা হোয়েছে সদ্য স্বাধিন বাংলাদেশে - সদ্য স্বাধিন বাংলাদেশে জাতির পিতা জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের ও জাতির পিতার সরকারকে নানা ভাবে মিথ্যা প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে জনমনে অপ্রিয় করার চেষ্টা করেন নিতিনির্ধারকগণ – কারণ জাতির পিতা স্বাধিন বাংলাদেশে একটি স্বাধিন দেশের উপযোগি নিতিনির্ধারক বাহিনি গড়তে চেয়েছিলেন – তার ভাষণ সকল লক্ষ্য করলে সহজেই তা প্রমানিত হবে – কিন্তু নিতিনির্দারকগণ বৃটিশ ও পাকিস্তানি মানসিকতা ধারণ করে দেশ চালাতে সচেষ্ট ছিলেন – আর সে কারণেই জাতির পিতাকে হত্যায় নিতিনির্ধারকরাই নিয়ামক ভুমিকা পালন করেন – যার নেতৃত্বে ছিলেন জেনারেল জিয়াউর রহমান –খন্দকার মোস্তাক আহমেদ বেসামরিক লোক তার ক্ষমতার লোভ ছিলো - কিন্তু তার পক্ষে হত্যা করা সম্ভব ছিলোনা – হত্যার জন্যে অস্ত্র ও সশস্র মানুষ দরকার - অস্ত্র ও সশস্র মানুষ সরবরাহ করেছেন জেনারেল জিয়াউর রহমান নিজে ।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




