somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী।
স্বাধিনতার শত সহস্র, লক্ষ কোটি “সুফল" - কিন্তু একটি মাত্র “কুফল” - দেশের নিতি নির্ধারণে অযোগ্য লোকেরা সব উচ্চাশনে - রাজনিতিতে ও প্রশাসনে - ফলে দেশটি যথাযথভাবে উন্নতিতে আগাতে পারছে না।তারপরেও যেটুকু এগিয়েছে, অধিকাংশ সাধারণের ব্যক্ত

বাঙালি সন্তানদের ৪৫ (পয়তাল্লিশ) হাজারের অধিক ‘বিশ্বমানের আবিষ্কারের’ (Global Standard Invention) রাষ্ট্রিয় স্বিকৃতি ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান, অধিকতর উন্নত গবেষণার ব্যাবস্থা করার আবেদন -

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিষয় : ‘মুজিব শতবর্ষ ও ‘স্বাধিনতার ৫০ (পঞ্চাশ) বর্ষপুর্তিতে’ বাঙালি সন্তানদের ৪৫ (পয়তাল্লিশ) হাজারের অধিক ‘বিশ্বমানের আবিষ্কারের’ (Global Standard Invention) রাষ্ট্রিয় স্বিকৃতি ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান, অধিকতর উন্নত গবেষণার ব্যাবস্থা করা | ব্যাপক উতপাদন, বিপনন ও বাজারজাত করণ এবং বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ও লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের জন্যে ‘গণভবনে’ মাননিয় প্রধানমন্ত্রির একান্ত সান্নিধ্য ও নির্দেশনায় এবং নিবিড় তত্ত্বাবধানে একটি “গবেষণা কর্মসুচি” (Research Program) গ্রহণের আবেদন ।

মহাত্মন,
যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক সবিনয় নিবেদন এই যে, ‘মুজিব শতবর্ষের’ ও ‘স্বাধিনতার পঞ্চাশ বর্ষপুর্তির’ প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের সমান্তরাল (Parallel) বাংলাদেশের মেধাবি সন্তানদের ৪৫ (পয়তাল্লিশ) হাজারের অধিক বিশ্বমানের আবিষ্কার (Global Standard Invention of our Tallents & Brikiants) সমুহের রাষ্ট্রিয় স্বিকৃতি ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান, অধিকতর উন্নত গবেষণার ব্যবস্থা করা এবং ব্যপক উতপাদন, বিপনন, বাজারজাতকরণ ও বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘গণভবনে’ সরাসরি আপনার একান্ত সান্নিধ্যে, সফল ও কঠোর নির্দেশনায় এবং নিবিড় তত্বাবধানে একটি গবেষণা কর্মর্সুচি (Research Program) বাস্তবায়ন করতে ও এই গবেষণা কর্মসুচি (Research Program) গ্রহন ও বাস্তবায়ন একান্ত জরুরি বলে প্রতিয়মান ।

‘মুজিব শতবর্ষের’ ও ‘স্বাধিনতার পঞ্চাশ বর্ষপুর্তির’ প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিনয়ের সাথে বলতে চাচ্ছি যে, বাংলাদেশ এমন একটি বিশ্বশ্রেষ্ঠ উর্বর মাটির দেশ, যে দেশে কোনো রোপন ছাড়া – কোনো ‘সার’ প্রয়োগ ছাড়া - কোনো পানি ছাড়া - কোনো প্রকার যত্ন ছাড়া - সারা বাংলাদেশে “দুর্বা ঘাস” (দুলফা ঘাস) অযত্নে অবহেলায় জন্ম হয় বা হোতে পারে - সে দেশের মাটিতে যত্ন নিলে কি না ফলানো যায় ? শুধুমাত্র “দেশপ্রেম” থাকলেই সব কিছু ফলানো সম্ভব । আমার দেশের কৃষকের “নিখাদ দেশপ্রেম” আছে বলে তারা সব কিছু ফলাতে সক্ষম ।
০১. (ক) ফ্রান্সের কিংবা শিতপ্রধান দেশের ‘স্ট্রবেরি’ ফল আমাদের দেশে হবে ? আমরা কোনো দিন ভেবেছি ? স্বপ্ন দেখেছি ?
০১. (খ) ‘মালটা” আমাদের দেশে জন্মাতে পারে ?আমরা কোনো দিন ভেবেছি ?কল্পনা করেছি ? চিন্তা করেছি ? স্বপ্ন দেখেছি ?
০১. (গ) আজ বিভিন্ন জাতের ও বিভিন্ন দেশের “কমলা” আমাদের দেশের কৃষক ফলাচ্ছেন ।
০১. (ঘ) বারো মাস “আম” পাওয়া যেতে পারে ? আমরা কি কোনো দিন এমনটি ভেবেছি ? কল্পনা করেছি ? স্বপ্ন দেখেছি ? যা আজ বাস্তব ।
০১. (ঙ) বারো মাস “কাঁঠাল” বারি-১, ২, ৩, হেক্টর প্রতি ফলন ১৩৩ মেট্রিক টন : কাঁঠাল মৌসুমী ফল, কাঠাল প্রিয় মানুষরা এই ফলটির অপেক্ষায় একটি বছর অপেক্ষায় থাকেন । কিন্তু এখন আর অপেক্ষায় থাকতে হবেনা । এখন কাঁঠাল পাওয়া যাবে সারা বছর । এমনি একটি কাঁঠালের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) র একদল বিজ্ঞানি । দীর্ঘদিন ধরে বারি’র বিজ্ঞানিরা নিরলস পরিশ্রম আর গবেষণার মাধ্যমে বারো মাসি কাঁঠালের জাত উদ্ভাবন করে তা অবমুক্ত করেছেন । এই কাঁঠালের আরো বিস্তর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিজ্ঞানিরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন । ইতোমধ্যেই গাজিপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর বিজ্ঞানিরা তিনটি নতুন কাঁঠালের জাত বারি-১, বারি-২ ও বারি-৩ উদ্ভাবন করেছেন । এখন উদ্ভাবিত জাত গুলোর সম্প্রসারণে মাঠ পর্যায়ে কাজ চলছে । এই নতুন তিনটি কাঁঠালের জাতের সম্প্রসারণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফল বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান।
০১. (চ) এ ছাড়া বিভিন্নজনে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে, আবার কেউ কেউ সখের বসে আম, কাঠাল, জাম, আপেল, আতা, কলা, আমড়া, জাম্বুরা, জামরুল, কতবেল, ডাব, ডুমুর, তাল, চেরি, নারকেল, খেজুর, তেতুল, শরিফা, করমচা, চালতা, আঙ্গুর, পেয়ারা, লেবু, লিচু, তরমুজ, সফেদা, লটকন, বাদাম, আমলকি, হরিতকি, বহেরা, অড়বড়ই(নঈল), পিচ, নাশপাতি, আনারশ, বাঙ্গি, কামরাঙা, বেল, ডেউয়া, জলপাই, বড়ই, পেপে, প্রভৃতি ফলের চাষ করে থাকেন।
০১. (ছ) একই গাছে ফলবে আলু ও বেগুণ –গাছটির নাম হবে ‘ব্রিঞ্জাল’। একই গাছে আলু ও টমাটো – নাম হবে ‘টমালু’। উদ্ভাবন করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ফারিুক ।
০১. (জ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আমিনুল ইসলাম বি.ই.ইউ. খাট সিম ৮ ও বি.ই.ইউ. খাট সিম ৯ নামে সিমের দুটি খাট জাত উদ্ভাবন করেছেন। কোনো প্রকার মাচা ছাড়া মাঠে ফসলের মতো চাষ করা যাবে। ছাদ বাগানে টবে চাষ করা যাবে।
০১. (ঝ) খুলনায় তরমুজের গুড় তৈরি । তরমুজ থেকে গুড় উৎপাদন করে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছেন চাষিরা। পাতা দরমুজ থেকে রস বের করে দুই তিন ঘন্টা চুলার আগুনে জাল দিয়ে গুড় তৈরি করা হোচ্ছে। এটি বাজারে পাওয়া অন্যান্য গুড়ের মতো মিষ্টি । নতুন এই গুড়ের নামকরণ করা হয়েছে ‘তোগুড়’ । খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের ছোট বন গ্রামের চাষি মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল এই গুড় তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। পাঁচ লিটার তরমুজের রস থেকে এক লিটার গুড় পাওয়া যায়।
০১. (ঞ) সীতা লাউ – কাপ্তাই- কোন সুনির্দিষ্ট মৌসুম নয়, একবার রোপণের পর ১০ বছর পর্যন্ত একই লতা থেকে বছরের ১২ মাস পাওয়া যাবে সবুজ লাউ। নতুন উদ্ভাবিত এই সবজির নাম সীতা লাউ। কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানীরা এই নতুন জাতের সীতা লাউ উদ্ভাবন করে রীতিমত সাড়া ফেলেছেন।
০১. (ট) রিসার্কুলেটিং অ্যাকোয়াকালচার সিস্টেম (রাস) মাছ চাষের একটি অগ্রসরমান আন্তর্জাতিক প্রযুক্তির ধারণা – দেশে তৈরি প্লাস্টিক সিট দিয়ে তৈরি ড্রাম আকৃতির বেশ বড়ো একটি ট্যাংকে পানি ধরবে ১০ হাজার লিটার – প্রতি হাজার লিটার পানিতে ৮০ থেকে ১০০ কে. জি. মাছ উৎপাদন করা যায় – সে হিসেবে এমন একটি ট্যাংক থেকে ৮০০ থেকে ১০০০ কে. জি. মাছ উৎপাদন সম্ভব – রাজধানির শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ফিসারিজ, অ্যাকোয়াকালচার ও মেরিন সায়েন্স অুনষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শাহাবুদ্দিন এ প্রযুক্তিটি মানুষের দোরগোড়ায় আনার কথা ভাবছিলেন- এতে দেশেই উৎপাদিত বিভিন্ন যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি এ প্রযুক্তিটির ইতোমধ্যে সফল বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে – বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের আর্থিক ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউটের কারিগরি সহযোগিতায় একটি প্রকল্পের অধিনে রাজধানির শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত হয়েছে – প্রকল্পটির প্রধান তত্বাবধায়ক প্রফেসর ড. মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, রাস পদ্ধতিতে মাছ চাষ উদ্যোক্তাদের জন্যে অনেক লাভজনক হবে – ০১ শতক জায়গায় নিবিড় চাষ পদ্ধতিতে যেখানে সর্বোচ্চ ২০ কে. জি. মাছ উৎপাদন সম্ভব – রাস পদ্ধতিতে সেখানে কমপক্ষে ২,৫০০ কে. জি. মাছ উৎপাদন সম্ভব – ১০ হাজার লিটার একটি ট্যাংকের জন্যে সব মিলিয়ে ১৫ বর্গফুট জায়গা লাগবে – পুকুরে অ্যাতো বেশি উৎপাদনে যাবার জন্যে যে খাবার দেয়া হয় তা এক সময়ে নাইট্রোজেন বর্জ্যে পরিণত হয়ে পানিকে দুষিত করে -মাছ বাচে না – কিন্তু রাস পদ্ধতিতে ট্যংকের ভারি বর্জ্যগুলো প্রথমে ভার্টেক্স ফিল্টারে নিয়ে আসা হবে – পরবর্তিতে এ ময়লা মাইক্রোম্যাশ নেটের সাহায্যে ভারি বর্জ্য স্প্রে করে অ্যাকোয়াপনিক্স বেডে জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে – রাস পদ্ধতিতে উৎপাদিত মাছের গুণগতমান পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে থাকে বলে এ সব মাছ বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে - রাজধানির শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত মাছ চাষের ‘রাস’ প্রযুক্তিটি চাষি, উদ্যোক্তা, গবেষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থি সবার জন্যে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে –
০১. (ঠ) আবিষ্কার- “পলিনেট হাউস” চাষ পদ্ধতি - জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে কৃষি ক্ষেত্রে বাড়ছে ঝুকি - জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে কৃষি ক্ষেত্রে বাড়ছে নিত্য নতুন ঝুকি - জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ক্রমেই হুমকির মুখে পড়ছে কৃষি – জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে কৃষিকে বাচাতে নতুন নতুন গবেষণা ও আবিষ্কার করছে কৃষি গবেষকরা – এমনই একটি নতুন আবিষ্কার “পলিনেট হাউস” চাষ পদ্ধতি -“পলিনেট হাউস”র মাধ্যমে শিতকালিন সবজি গ্রিষ্মকালে ও গ্রিষ্মকালিন সবজি শিতকালে চাষ করা যাবে - “পলিনেট হাউস” প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারি বৃষ্টি, তিব্র দাবদাহ, কিটপতঙ্গ, ভাইরাসজনিত রোগ ইত্যাদি প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও নিরাপদ থাকবে শাক সবজি চাষ ও ফলমুলসহ সব ধরণের কৃষি পণ্য -“পলিনেট হাউস” পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি উদ্যোগে দেশের সব বিভাগে অন্তত: ০১ টি করে “পলিনেট হাউস” নির্মান করে দেয়া হোচ্ছে – তা দেখেই উদ্ভুদ্ধ হোয়ে উঠছে কৃষকরা – অসময়ে সবজি চাষের জন্যে “পলিনেট হাউস” আধুনক কৃষি প্রযুক্তির একটি নতুন সংযোজন – এখানে ফসলের উৎপাদন বাড়বে ২০% – পোকামাকড়ের আক্রমন কমবে ৭০% -
দেশের সবজি ভান্ডার খ্যাত রাজশাহি বিভাগে ২১ টি “পলিনেট হাউস” নির্মান করা হোচ্ছে – পবা উপজেলায় খড়খড়িতে তৈরি “পলিনেট হাউস”র সুফল পেতে শুরু কোরেছে কৃষকরা - পবা উপজেলায় খড়খড়িতে ‘কৃষক বন্ধন বিসমিল্লাহ’’ নার্সারির স্বত্বাধিকারি শামসুল আলম কাদুর ২৫ শতাংশ জমিতি কৃষি বিভাগ সম্পুর্ণ সরকারি খরচে একটি “পলিনেট হাউস” করে দেয়া হোয়েছে – এত উন্নত মানের পলি ওয়ালপেপার ব্যবহার করা হোয়েছে – লোহার অ্যাঙ্গেলের ওপর পলিপেপার দিয়ে ০৩ টি সেড “পলিনেট হাউস” নির্মান করা হোয়েছে – এতে ব্যয় হোয়েছে ১৫ লাখ টাকা – এই “পলিনেট হাউস”র স্থায়িত্ব ধরা হোয়েছে ২০ বছর -

বায়তুল মোকাররমের দক্ষিনে ফল বিক্রেতাদের কাছে বারো মাস আম সহ নানা জাতের বিদেশি ফল বারো মাস পাওয়া যায়। অথচ তাদের স্থায়ি ভাবে বিক্রির জন্যে বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাদের উচ্ছেধকারিদের ধাওয়ায় দৌড়ের উপর থাকতে হয় সর্বক্ষণ ।

# # # আমাদের দেশের সন্তানেরা নিত্য নতুন বিশ্বমানের আবিষ্কার (Global Standard Invention) করে যা পৃথিবিতে প্রথম এবং বিশ্ববাসিকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে কখনো সখনো -

০২. ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়ছিলেন মেধাবি মেহেদি হাসান খান। তিনি চান এমন একটা সফটওয়্যার, যার সাহায্যে ইংরেজি অক্ষরে টাইপ করেই বাংলা লেখা সম্ভব। বাংলা ভাষার জন্য তাঁর দেশের মানুষ প্রাণ দিতে পারেন, আর সেই বাংলাকে লেখার দিক থেকে সহজ করতে কেরিয়ার বিসর্জন দিতে পারবেন না ! ২৬ মার্চ, ২০০৩ খৃস্টাব্দ, মেহেদির জিবনে শুধু নয়, লক্ষ লক্ষ বাঙালির জিবনের একটি বিশেষ দিন । সেই দিন মেহেদি বিশ্বের সামনে আনলেন ‘“অভ্র”(AVRO) সফটওয়ার। যা আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিদের সব চেয়ে পছন্দের বাংলা রাইটিং সফটওয়ার ‘“অভ্র”(AVRO) । AVRO type বাঙালির কম্পিউটার, ল্যাপটপ খুললেই স্ক্রিনে একটি স্লোগান ভেসে ওঠে , ‘“ভাষা হোক উন্মুক্ত”। এটিই ডাক্তার মেহেদি হাসান খানের তৈরি করা স্লোগান । তাঁর স্বপ্ন ছিলো, ‘ভাষাকে উন্মুক্ত ” করতে হবে সবার জন্য, বেঁধে রাখা যাবে না জটিলতার নাগপাশে’। আজ কিন্তু তিনি ডাক্তার মেহেদি হাসান খান । হাজার তাচ্ছিল্য সত্ত্বেও তিনি ‘“অভ্র’(AVRO) আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করেছেন ডাক্তারিও। আজ ভারত ও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকারি দপ্তরেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘অভ্র কি প্যাড’ ‘“অভ্র”(AVRO) । লেখা হচ্ছে সরকারি ফাইল থেকে পরিচয়পত্র । মেহেদির এই আবিষ্কার বাঁচিয়ে দিয়েছে দুই দেশের কোটি-কোটি টাকা । যার জন্য এতো কিছু, সেই মানুষটাকে আমরা চিনিই না । চিরকাল প্রচার বিমুখ, ৩২ বছরের এই বিনয়ি তরুণ বাংলা ভাষার জন্য এতো বড় অবদান রেখে গেলেও, রয়ে গেলেন প্রচারের আলোর বাইরেই।
০৩. চট্টগ্রাম - মায়ের নামে অ্যাপ তৈরি করে বিস্ময় সৃষ্টি করল বাংলাদেশি শিশু - অ্যাপ তৈরি করে বিস্ময় সৃষ্টি করল ১০ বছরের বাংলাদেশি খুঁদে বিজ্ঞানী আয়মান আল আনাম । ফ্রি ভিডিও কল ও চ্যাটের অ্যাপ বানিয়ে বিস্ময় সৃষ্টি করল এক বাংলাদেশি শিশু। এই খুঁদে বিজ্ঞানীর নাম আয়মান আল আনাম। তার বয়স মাত্র ১০ বছর। চট্টগ্রামের সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সে। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপটি আপলোড করে আনাম। আপলোডের পর এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি মানুষ অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন। আয়মান তার মায়ের নামে এ অ্যাপটির নাম রেখেছে - লিটা। এই বয়সে অ্যাপ তৈরির বিষয়ে আরব নিউজকে আয়মান আল আনাম জানায়, সম্প্রতি বাংলাদেশে মানুষ বেশি অ্যাপ নির্ভর হয়ে পড়েছেন। কথা বলার জন্য হোয়াটসআপ, ইমো, ভাইবার ব্যবহার করছেন। এমনকি স্বাস্থ্য সচেতনার জন্যেও অ্যাপের ওপর নির্ভর করছে অনেকে। তাই আমি এই বিষয়টির দিকে বেশি নজর দিয়েছি। আয়মান বলে, বার্তা আদান-প্রদানের জন্য আমরা বিদেশি সব অ্যাপ ব্যবহার করছি। এতে আমাদের গোপনিয়তা আর থাকছে না। তাই আমার ভাবনায় এলো, যোগাযোগ রক্ষার্থে কেনো আমরা নিজেদের কোনো অ্যাপ ব্যবহার করছি না ? সেই চিন্তা থেকেই অ্যাপটি তৈরি করেছি আমি। আরব নিউজ জানিয়েছে, ১০ বছরের আয়মানের এই অ্যাপটি তৈরিতে ১০ মাস সময় লেগেছে। আর কোনো বিশেষজ্ঞের সাহায্য ছাড়াই সফল হয়েছে সে। সংবাদ মাধ্যমটিকে আয়মান জানায়, শুধু ইউটিউব টিউটোরিয়াল দেখে দেখেই অ্যাপটি নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে সে। আয়মানের দাবি, তার অ্যাপ ব্যবহারে অন্য সব যোগাযোগের অ্যাপের চাইতে ভালো মানের ভিডিও ও শব্দ পাওয়া যাবে। অন্য সব অ্যাপের তুলনায় এটি দিয়ে বড় আকারের ফাইল আদান-প্রদান সম্ভব। আয়মানের এই সফলতার বিষয়ে তার বাবা সালাম নিশাদ বলেন, জ্ঞান হবার পর থেকেই প্রযুক্তির প্রতি বেশ আগ্রহি দেখা গেছে আয়মানের। কম্পিউটার, মোবাইল ফোন নিয়েই পড়ে থাকত সে। আজ সে সফল হয়েছে । আমরা তার জন্য গর্বিত । তিনি বলেন, বড়ো হয়ে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার (Software Engineer) হয়ে গুগল (google) হেড কোয়ার্টারে চাকরি করতে স্বপ্ন দেখছে আয়মান । সে লক্ষ্যেই আমরা তাকে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি । আয়মানের এই অ্যাপ তৈরির বিষয়ে বুয়েটের প্রফেসর ড. মো. কায়কোবাদ আরব নিউজকে বলেন, প্রযুক্তি বিষয়ে ছেলেটির জ্ঞান আল্লাহ প্রদত্ত । আমাদের উচিত তার প্রতিভাবে বিকষিত করতে তাকে সমর্থন দিয়ে যাওয়া ।
০৫. এছাড়া খাঁটি দুধ চেনার খুব সহজ পদ্ধতি আবিস্কার করেছে আরাফাত । সে জানায়, খুব সহজেই জানতে পারবেন আপনার ক্রয়কৃত দুধ খাঁটি কি না ? গ্লাসের মধ্যে যে পরিমাণ কোকাকোলা দিবেন তার চার ভাগের একভাগ দুধ দেবেন । তারপর দশ মিনিট রেখে দেবেন । দেখবেন গ্লাসের নীচে (দইয়ের মতো জমবে) তলানি জমতে থাকবে । যদি তলানির পরিমাণ বেশি হয় তাহলে সেই দুধ খাঁটি।
০৬. `আলু’ থেকে `পলিথিন’ তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন এই বাংলাদেশি - এবার `আলু’ থেকে দেশেই তৈরি হলো `পলিথিন’। `পলিথিন’ ও `প্লাস্টিকের দূষণ’ কমানোর পাশাপাশি এই ব্যাগ দেশের আলু চাষি ও কোল্ড স্টোরেজ মালিকদের জন্যও সুফল বয়ে আনতে পারে। আলু থেকে পরিবেশ বান্ধব এই ব্যাগ তৈরি করেছেন মাহবুব সুমন। তিনি তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতিয় কমিটির নবায়নযোগ্য শক্তি বিশেষজ্ঞ এবং বিকল্প জ্বা'লানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা গবেষক দলের সদস্য । তিনি জানান, দ্রুতই ‘শালবৃক্ষর’ পক্ষ থেকে ‘আলু থেকে তৈরি পলিথিনের ব্যাগের’ বাণিজ্যিক উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হয়েছে । ইতিমধ্যেই ‘আলু থেকে এক্সপেরিমেন্টাল পলিথিনের শিট তৈরি করে তা থেকে ব্যাগ ব্যাগ বানিয়ে ভার বহন ক্ষমতা পরীক্ষা করেও দেখেছেন সংশ্লিষ্টরা । বাণিজ্যিক উৎপাদনে গেলে প্রতিটি ব্যাগের বিক্রয় মূল্য হবে আনুমানিক ৩ টাকা। এটি ৩০ দিনের মধ্যে মাটিতে মিশে যাবে। পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি গতানুগতিক সাইজের ব্যাগগু'লোর ওজন ধারণ ক্ষমতা ৫/৬ কেজি । আলু দিয়ে একদমই স্থানিয় যন্ত্রপাতি ও কমনসেন্সের ব্যবহার করে আমরা যে পলিথিন বানালাম তার নামই ‘পলকা’ (POLKA)। কোন ধরনের ক্ষ'তিকর রাসায়নিক এর মধ্যে নেই ।

০৭. চট্টগ্রাম - ‘আলু’ থেকে “বিদ্যুত” উৎপাদন করে বাতি জ্বালিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ক্ষুদে এই বিজ্ঞানিরা । আলু থেকে বিদ্যুত আবিষ্কারক চট্টগ্রাম জেলার মিরশরাই উপজেলার মঘাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্ষুদে বিজ্ঞানি ইমন, আসিফ বিশ্বনাথ, সাকিব ও প্রসেনজিত জানিয়েছেন, ‘আলু’র ভেতরে থাকে প্রচুর পরিমানে ‘সৌরশক্তি’ যেটি কাজে লাগিয়ে অনায়াসে ‘বিদ্যুৎ’ উৎপাদন করা সম্ভব । ‘আলু’ থেকে ‘বিদ্যুৎ’ উৎপাদনে একটি এল.ই.ডি. বাল্ব জ্বালাতে ১০টি আলু, জিংকের পাত, ১০টি তামার পাত ও সামান্য তার ও দুটি আলাদা ধাতব দণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে। ধাতব দণ্ডের মধ্যে রয়েছে একটি ‘অ্যানোড’ বা ‘নেগেটিভ’ এবং অন্যটি ‘ক্যাথোড’ বা ‘পজেটিভ’ । এরপর দণ্ড আলুর দুই প্রান্তে গেথে আর দণ্ডের অপর প্রান্তের সাথে দুইটি পরিবাহী লাগানো হয়েছে। পরবর্তীতে অ্যাসিডিক পদার্থকে সংশ্লেষণের মাধ্যমে ‘বিদ্যুৎ’ উৎপন্ন করা হয়েছে । যা এর আগে কেউ ভাবেনি, আবিষ্কারও করেনি।
(খ) প্রজেক্টের মধ্যে পাইলটবিহিন হেলিকপ্টার, হাইড্রোলিক ব্রিজ ও সৌর পাম্প, খাবার লবণ থেকে গৌন ‘বিদ্যুত’ কোষ, হোম মেড ‘সোলার এসি, সোলার গাড়ি, সলিনয়েড, ফেলনা জিনিস থেকে চার্জলাইট তৈরি অন্যতম।
(গ) সংযোগ ছাড়াই চলবে সব বাড়িতে বা বহুতল ভবনে অথবা কলকারখানাসহ সব জায়গাতেই কোন রকম ইলেকট্রিক তার সংযোগ ছাড়াই চলবে এসি, ফ্রিজ, টেলিভিশন, ফ্যান’ ‘কম্পিউটার’ সহ যাবতিয় ইলেকট্রিক এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্য। বৈদ্যুতিক তার সংযোগ ছাড়াই নির্দিষ্ট জায়গায় ফ্রিজ, এসি, ফ্যান, লাইট চালানো বিষয়টি অবাক করারই ব্যাপার।

০৮. যশোর - নতুন এক উদ্ভাবনের কথা জানালেন যশোর শার্শা বুরুজবাগান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি বিভাগের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থি উম্মে হাবিবা জামান শ্রাবনী। হাবিবা জামান শ্রাবনীর উদ্ভাবিত ‘ওয়ারলেস পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেম’প্রজেক্ট। প্রজেক্টটি কিভাবে কাজ করে জানতে চাইলে এ খুদে বিজ্ঞানি জানান, ওয়ারিং ছাড়াই ঘরের সব ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য চালানো সম্ভাব এ প্রজেক্টের মাধ্যমে। তাছাড়া এ প্রজেক্টের মাধ্যমে জানা যাবে পুরাতন ঘরে ওয়ারিং এর ত্রুটি-বিচ্যুতি । একটি বারো ভোল্টের পাওয়ার সাফলাইয়ার, একটি প্রাইমারি ও একটি সেকেন্ডারি বিদ্যুতের কয়েল, একটি পাওয়ার টেনজেজটার দিয়ে মাত্র ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকার মাধ্যমে ছোঁট আকারে এ প্রজেক্ট চালু করা হয়েছে। সরকারি সহযোগিতা পেলে মাত্র এক হাজার থেকে ২ হাজার টাকা খরচ করে ফ্লাটে বা কলকারখানায় এ প্রজেক্ট চালু করা সম্ভব বলে জানান এই খুদে বিজ্ঞানি। খুদে বিজ্ঞানি উম্মে হাবিবা জামান শ্রাবনীর কাছে ‘ওয়ারলেস পাওয়ার ট্রান্সমিশন সিস্টেম’ আবিস্কারের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি প্রায় সময় টেলিভিশনে ও সংবাদ পত্রে দেখি ওয়ারিং এর ক্যাবেল থেকে সর্টসার্কিট (Short Surcuit) হয়ে ভবনে আগুন লেগে ব্যাপক যানমালের ক্ষতি হয়। এ নিয়ে আমি ভাবতে থাকি কিভাবে এ শর্টসার্কিট (Short Surcuit) থেকে এবং যানমালের ক্ষতি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আমার এই ভাবনা থেকেই কাজ শুরু হয়। এক সময়ে আমি ডিজিটাল এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ যন্ত্রটি তৈরি করতে সক্ষম হই। কোন রকম বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ ছাড়াই আমি এক সময়ে ফ্যান, লাইটসহ যাবতিয় ছোঁট আকারের ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য চালাতে সক্ষম হই। এখনো যন্ত্রটির ব্যবহার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে সরকারি বা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এটি বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা সম্ভব বলে জানান এ খুদে বিজ্ঞানি।

০৯. কাপ্তাইয়ের বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ক্ষুদে বিজ্ঞানি মীর শাহরিয়া ইসলাম সাকিব। ক্ষুদে এই বিজ্ঞানি তাক লাগিয়ে দিয়েছে ‘বড়ো আবিষ্কার’ করে। ‘‘অ্যালকোহল ডিটেক্টর এন্ড অটোসিকিউরিটি’’ নামে একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে সাকিব। নেশা করলেই সতর্ক দেবে এই যন্ত্র ! সাকিবের তৈরি করা যন্ত্রটি এয়ারপোর্ট, হাসপাতাল, যাত্রিবাহি গাড়ি, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারখানা, অফিসসহ গুরুত্বপূর্ণ যে কোনো স্থানে স্থাপন করা যাবে। কেউ যদি নেশা জাতিয় দ্রব্য গ্রহণ করে তবে আগাম বার্তা দিয়ে সর্তক করে দেবে এ যন্ত্র। এতে সহজেই শনাক্ত করা যাবে, মাদক গ্রহণকারি, এড়ানো যাবে বড়ো ধরণের বিপদ।
১০. অটোমেটিক সিকিউরিটি এলার্ম। এটি এমন একটি যন্ত্র, যা ‘চুরি প্রতিরোধে’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অ্যালার্মটি সেট করার পর নির্দিষ্ট পরিমাণ আলোর সংস্পর্শ পেলেই অটোমেটিক বাজতে থাকবে। যার ফলে চুরির ঘটনা ঘটছে বলে নিশ্চিত হওয়া যাবে এবং সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হয়ে চোরকে ধরাও সম্ভব হতে পারে। ‘সিকিউরিটি অ্যালার্ম’ নামক একটি যন্ত্র আবিস্কার করেছেন এডুকেশন স্কুল এন্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থি যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছে। শ্রেণি শিক্ষকের সহযোগিতায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থিরা এই ‘অটোমেটিক সিকিউরিটি অ্যালার্ম’ তৈরি করেছে। অ্যালার্মটি প্রদর্শনি করা হয় একটি আলমারির মাধ্যমে। সেখানে দেখা যায়, আলমারিটির ভিতরে রয়েছে ‘সিকিউরিটি অ্যালার্ম’। যেই মুহূর্তে অ্যালার্মটির উপরে নির্দিষ্ট পরিমাণ আলো পড়বে, তখনই অ্যালার্মটি বাজতে শুরু করবে।
১১. পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ক্ষুদে বিজ্ঞানি মাহবুবুর রহমান শাওন’র জ্বালানি সাশ্রয়ি চালক বিহিন পরিবেশ বান্ধব গাড়িসহ বিভিন্ন যন্ত্র আবিষ্কার করে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। শাওন পটুয়াখালীর মৎস্য বন্দর খ্যাত মহিপুর থানার মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের মাদ্রসা শিক্ষক নাসির উদ্দিনের ছেলে। সে বাংলাদেশ প্লানেটর কলেজের রোবোটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। প্রায় ১ মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম আর মেধা খাটিয়ে জালানি সাশ্রয়ি সোলার সিস্টেম চালক বিহিন এই গাড়িটি তৈরি করেন। রবিবার বেলা ১১টায় মহিপুর সদর থানার কো-অপরেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে প্রদর্শনির মাধ্যমে পরিক্ষামুলক গাড়িটি চালিয়ে সফল এক অনাবদ্ধ সৃস্টি তুলে ধরেন এ খুদে বিজ্ঞানি শাওন ।
১২. (ক) এছাড়াও আবিষ্কার করেছেন সিকিউরিটি এ্যালার্ম, (খ) মোবাইলের ব্যাটারির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ি ফ্রিজ, (গ) সেন্সর লাইট, (ঘ) স্মার্ট সুইস, (ঙ) মোবাইল সুইস, (চ) মোবাইলের মাধ্যমে সুইস অন অফ ও ড্রোন বিমান । (ছ) গত বছর সি-প্লেন তৈরি করে পরিক্ষামুলক নদিতে চালিয়ে তাক লাগিয়ে সবার নজরে আসেন শাওন । তবে অনেকেই মনে করেন আধুনিক যন্ত্রপাতি ও আর্থিক সহযোগিতা পেলে শাওন তার আবিস্কৃত গাড়ি ও ইলেক্ট্রিকাল যন্ত্রপাতি বানিজ্যিক ভাবে বাজারজাত করে আধুনিক বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিতে পারবেন। পাশাপাশি তার প্রযুক্তি বাজারজাত করা গেলে দেশও আর্থিক ভাবে লাভবান হবে।
১২. ক্ষুদে বিজ্ঞানি জয়নাল পরিত্যক্ত বিভিন্ন ধরনের ‘কার্টন, সিগারেট প্যাকেট আর ফেলে দেওয়া নস্ট যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে ৩২ প্রকার ডিজিটাল যন্ত্র আবিস্কার করেছেন। এগুলোর মধ্যে বিশ্বের যেকোন স্থান থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সকাল প্রকার ইলেকট্রিক যন্ত্র নিয়ন্ত্রন, বাড়ি বসে মাঠের সেচ কার্যে ব্যবহৃত মোটর ইঞ্জিন চালু করে ফসলে পানি দেওয়া, চালক ছাড়া যেকোন ধরনের যানবাহন নিয়ন্ত্রন। অন্য গাড়ির চালককে সর্তক করা, বাড়ি কিংবা ব্যবসা প্রতিস্ঠানে চুরি ঠেকাতে বিশেষ ডিভাইস সহ বন্যা হবে কিনা সে বিষয়ে আগাম সর্তকবার্তা দিবে এ আবিস্কার!
১৩. ‘নকল ও ভেজাল ঔষধ চেনার সহজ কৌশল (সফটওয়্যার) আবিষ্কার করেছেন সহোদর দুই ভাই (০১) সৌভিক আসওয়াদ ও (০২) সৌমিক আসওয়াদ । তাদের “প্যনাসিয়া” নামক একটি স্টার্টআপের মাধ্যমে ঔষধের গায়ে থাকা নির্দিষ্ট কোডটি ২৭৭৭ নাম্বারে এস. এম. এস. করে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আসল নকল ঔষধ চিহ্নিত করা যাবে।

১৪. নাটোর- ‘রেল দুর্ঘটনা রোধে ডিভাইস’ আবিষ্কার করেছেন মনোয়ার হোসেন মিঠুন নামে নাটোরের সিংড়া পৌর শহরের গোডাউন পাড়া মহল্লার এক যুবক। রেলের যে কোনো ধরণের দুর্ঘটনা রোধ কার সম্ভব । (পত্রিকার কাটিং সংযুক্ত)।

১৫. চট্টগ্রাম - বিশ্বকে তাক লাগিয়ে ‘ভূমিকম্পের পূর্বাভাস যন্ত্র আবিষ্কার’ করেছেন চট্টগ্রামের রায়হান । তিনি দাবি করছেন, এমন এক যন্ত্র তিনি উদ্ভাবন করেছেন, যা লেজার রশ্মি ব্যবহার করে কয়েক মিনিট আগেই ভূমিকম্পের বার্তা দিতে সক্ষম। সম্প্রতি একটি যন্ত্র তৈরি করেছেন তিনি । তার দাবি, ভূমিকম্প সৃষ্টি কিংবা অনুভূত হবার কয়েক মিনিট আগেই তা জানান দেবে তার উদ্ভাবিত এই যন্ত্র। তরুণ এই উদ্ভাবক জানান, মাটির গভীরে থাকা যন্ত্রাংশটি লেজার রশ্মির মাধ্যমে ওপরে থাকা অংশে বার্তা পাঠাবে। যা একই সাথে সংকেত আর মোবাইল ফোনে রিংটোনের মাধ্যমে অবহিত করবে। আর তারই একটি নমুনা তৈরি করা হয়েছে সাধারণ কয়েকটি উপকরণ দিয়ে। যতো বেশি গভিরতায় যন্ত্রটি স্থাপন করা যাবে, ততো দ্রুত ভূমিকম্পের খবর জানা সম্ভব বলেও জানান এই উদ্ভাবক।

১৬. চট্টগ্রাম - এর আগে “রেল দুর্ঘটনা রোধ” আর “আঙুলের ইশারায় কম্পিউটার চালানোর” প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে ব্যাপক কৌতুহলের জন্মদেন নগরির হালিশহর এলাকার এই তরুণ (চট্টগ্রামের রায়হান )।
১৭. নরসিংদি - বন্যা, খড়া ও জলোচ্ছাসের পূর্বাবাস পাওয়া যাবে ০৬ (ছয়) মাস আগে । এমন যন্ত্র আবিষ্কার করেন নরসিংদির জলবায়ু বিজ্ঞানি ড. রাশেদ চৌধুরী। (পত্রিকার কাটিং সংযুক্ত)।

১৮. সিলেট - অত্যাধুনিক ‘ভোটিং মেশিন (ই.ভি.এম.) তৈরি করেছে সিলেটের মেট্রোপলিটান ইউনির্ভাসিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইজ্ঞিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থিরা। এ যন্ত্রটি ‘জাল ভোট’ দেয়ার চেষ্টাকে সনাক্ত করবে। এ যন্ত্রটি কেউ ছিনেয়ে নিয়ে গেলেও ভোট গণনায় কোনো ব্যঘাত ঘটবে না। চার্জ ছাড়াও দুই দিন চলবে। চুরি বা ছিনতাই হলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে তার অবস্তান জানাবে। ফলে এটি উদ্ধার করাও সহজ হবে। সৈয়দ রেজওয়ানুল হক নাবিল বলেন, মাত্র ০৫ হাজার টাকায় এই অত্যাধুনিক ভোটিং মেশিন (ই.ভি.এম.) তৈরি করা যাবে। ভোটারদের আঙ্গুলের ছাপ ও চেহারা সনাক্তকরণ, ডিজিটাল আই. ডি. কার্ড ব্যবহার সহ আরও কিছু সুবিধা সংযুক্ত করা যাবে। (পত্রিকার কাটিং সংযুক্ত)।

১৯. দিনাজপুরের পুলহাট, মাঝিপাড়া এলাকার মোঃ বাবুল হোসেনের ছেলে শহিদ হোসেন ২০০৮ খৃস্টাব্দে আবিষ্কার করেছে ‘বিনা খরচে বিনা জ্বালানিতে “বিদ্যুত” উতপাদন’ - কিন্তু সরকারের কোনো পৃষ্ঠপোষকতা পায়নি – সহানুভূতির জন্যে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে - (পত্রিকার কপি সংযুক্ত)

২০. নাটোর -দেশিয় প্রযুক্তিতে স্ব্ল্প খরচে “বিদ্যুত” উতপাদন যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন নাটোরের বড়াই গ্রামের পাচ বাড়িয়ার জালাল উদ্দিন । তিনি আবিস্কার করেন এই ‘বিদ্যুত’ উতপাদন প্রক্রিয়া । প্রতি ইউনিট বিদ্যতের খরচ পড়বে মাত্র ০.২০ পয়সা । ‘কোনো জ্বালানির প্রয়োজন হবে না’ । বাহিরের যে কোনো শক্তি দশ মিনিট ব্যবহার করলেই উতপাদিত ‘বিদ্যুত’ শক্তি রিসাইকেলিং পদ্ধতিতে বিদ্যুত তৈরি করতে থাকে । সেখান থেকে ৬০% বিদ্যুত গ্রাহকদেরকে দেয়া সম্ভব । মেকানিকাল শক্তি জ্বালানির কাজ করবে । সরকারের সহায়তা পেলে এই পদ্ধতিতে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ‘বিদ্যুত’ উতপাদন করে বর্তমানের চেয়ে অনেক কম মূল্যে ‘বিদ্যুত’ সরবরাহ করা সম্ভব ।
২১. লালমনিরহাটের নব্য বিজ্ঞানি খ্যাত শফিকুল ইসলাম ‘কার্বন ডাই অক্সাইডের’ মাধ্যমে “বিদ্যুৎ” সহ অন্যান্য জ্বালানি উৎপাদনে সরকারি অনুমোদন চান তিনি। এর অনুমোদন ও সার্বিক সহযোগিতা চেয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারের কাছে আবেদনও করেছেন তিনি। শফিকুল ইসলাম লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের হাজিগঞ্জ বাজার এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। পেশায় একজন বৈদ্যুতিক পণ্য বিক্রেতা। শফিকুল ইসলাম জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের এ যুগে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ হ্রাস করা বিশ্বের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে । নয়তো আগামি প্রজন্মের কাছে উপকূলীয় দেশগুলো পানিতে নিমজ্জিত হয়ে বসবাসের অযোগ্য হবে । পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমাতে এটির ব্যবহার বাড়ানো খুবই জরুরি। তাই কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে বিদ্যুত এবং জ্বালানি গ্যাস ও পেট্রোল উৎপাদনের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন তিনি।

২২. খুলনা - আব্দুল হামিদের যুগান্তকারি অবিষ্কার, সূর্যের আলো ও পানি থেকে তৈরি “গ্যাসে” জ্বলছে চুলা - পড়াশুনার গন্ডি দশম শ্রেণী পর্যন্ত হলেও উদধাবনি প্রতিভা আর অদম্য ইচ্ছা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি । আর তাই দীর্ঘ দশ বছরের চেষ্টায় সূর্যের আলো আর পানি থেকে তৈরি করেছেন “গ্যাস”, আর সেই “গ্যাসে” ঘন্টার পর ঘন্টা চলছ রান্নার চুলা। এখানেই শেষ নয়, বাড়তি গ্যাস মজুদ করে রাখছেন পরবর্তিতে ব্যবহারের জন্য। খুলনার কয়রা উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ, অর্থিক স্বচ্ছলতার কারনে পড়াশুনা বেশিদিন চালিয়ে যেতে পারেননি। দশম শ্রেণি পাস করে ঢাকায় এসে ‘একটি সোলার ‘বিদ্যুৎ’ প্রতিষ্ঠানে কাজ নেন তিনি। আর এরপর সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় নিজের উদ্ভাবনি প্রতিভায় তৈরি করেছেন সূর্যের আলো ও পানি থেকে “জ্বালানি গ্যস”, তার মতে বাড়ির ছাদেই তৈরি হওয়া এই “গ্যাস” বিকল্প জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার হতে পারে। যা দেশের গ্যাসের চাহিদা কমাবে। সেই চিন্তা থেকেই আব্দুল হামিদ সোলার প্যানেল, পানি ও প্লাস্টিকের বোতল, বালতি ও লোহার ব্যারেল জোড়া দিয়ে উদ্ভাবন করেছেন প্রাকৃতিক “গ্যাস”। ১০ বছরের এ গবেষণায় তার মোট খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকার মতো। এখনো দিনের বড়ো একটা সময় তিনি এটি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। এ প্রযুক্তি নিয়ে আরও বড়ো পরিসরে গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন আব্দুল হামিদ । তিনি বলেন, একটা ল্যাব দরকার যেখানে এটি নিয়ে আরও কাজ করা হবে। আর আর্থিক সহায়তাও প্রয়োজন যাতে গবেষণা এগিয়ে নেয়া যায়।
২৩. কুষ্টিয়া - সৌর “বিদ্যুত” দিয়ে সেচ পাম্প চালানো কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের কালিনাথপুর গ্রামের এ উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে “টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সেডা) । ইউ.এন.ডি.পি.র অর্থায়নে ও সোলার-ই-টেকনোলজির কারিগরি সহায়তায় পাম্প থেকে পানি নিয়ে ফসলে ব্যবহারের পরেও অতিরিক্ত বিদ্যুত অপচয় হতো। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৫ কিলো ওয়াটের ১৯ কিলোওয়াট ব্যবহৃত হতো ০৩ মাস। ০৬ কিলোওয়াট প্রতিদিন অতিরিক্ত অপচয় হতো। সারা বছর বাকি সময় ২৫ কিলোওয়াট জাতিয় গ্রিডে যুক্ত হতে পারে। (পত্রিকার কপি সংযুক্ত)
২৪. ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ৯ম শ্রেণির তিন ক্ষুদে শিক্ষার্থি ময়লা আবর্জনা থেকে “বিদ্যুৎ” উৎপাদন কেন্দ্র বানিয়েছেন, কিভাবে ময়লা আবর্জনাকে রিফাইন করে “বিদ্যুৎ” উৎপাদন করা যাবে। মুনতাসির মুবিন, সামির চৌধুরী আর লেহান হায়দারের এ প্রজেক্টটির নাম‘‘মডার্ন ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট’’। তাদের প্রজেক্টে প্রথম ময়লা আবর্জনা ফেলার একটি চেম্বার করা হয়েছে । সেখান থেকে কম্বারশন চেম্বারে গিয়ে ময়লা পুড়ে “বটম অ্যাশ” নিচে পড়বে। সেখানে ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটের মাধ্যমে মেটাল জাতীয় পদার্থ আলাদা করা হবে। আর ফ্লাই অ্যাশগুলো স্প্রে ড্রাইয়ারে যাবে। সেখানে আরো ড্রাই হবে। তারপর ফ্লাই অ্যাশ কার্বন থেকে আলাদা করে অন্যত্র নিয়ে কাজে লাগানো হবে। অন্য দিকে কার্বন ফিল্টার করে জলিয় বাষ্প বেড় করে দেবে। এই জলিয় বাষ্প একটি ড্রামে যাবে সেখানে কমপ্রেস হয়ে টার্বাইন ঘুরাবে, টার্বাইন ঘুরলে “বিদ্যুৎ” তৈরি হবে। জলিয় বাষ্প পুনরায় কুলারে গিয়ে ঠাণ্ডা হয়ে আবার কম্পারশন চেম্বারে যাবে বাষ্প হওয়ার জন্য। এভাবে একই জলিয় বাষ্প কয়েকবার ব্যবহার করা যাবে।
২৫. বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (বি.এ.এফ) শাহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ক্ষুদে বিজ্ঞানী ৭ম শ্রেণির ছাত্র আরাফাত নিলয় । আরাফাতের উদ্ভাবনের নাম ‘ফ্রি এনার্জি প্রজেক্ট’। বাংলাদেশের অনেক গ্রামে এখনো ‘বিদ্যুত’ পৌঁছেনি । এ প্রজেক্টের মাধ্যমে গ্রামের গরিব মানুষদের বিনা খরচে ‘বিদ্যুত’ পৌঁছে দিবে।
২৬ . জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ফুলকুচা ইউনিয়নের রেখিরপাড়া গ্রামের মৃত আফসার আলির ছেলে জাফর ইকবাল দীর্ঘ ৮ বছর গবেষনা করে ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে আবিষ্কার করেছেন গ্যাস, তেল, জ্বালানি বিহিন ‘বিদ্যুত’ উতপাদন । জাফর ইকবাল আবিষ্কৃত ‘বিদ্যুতে’ লাইট, ফ্যান, টেলিভিশন চালানো সম্ভব।
২৭ . ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার খয়ের তোলা গ্রামের বিল্লাল হোসেন মাত্র ১২ ভোল্পের একটি ব্যটারি দিয়ে ৭,৫০০ ওয়াট ‘বিদ্যুত’ উতপাদনে সক্ষম হয়েছেন । বাসা বাড়ির লাইট, ফ্যান, টেলিভিশন চালানো সম্ভব। হ্যামকো ব্যাটারি দিয়ে চলবে। মোট ব্যয় হয়েছে ০১ লাখ ৬০ - ৭০ হাজার টাকা ।
২৮ . কুমিল্লার রানার আবিষ্কার! সাইকেলের চাকা ঘুরিয়ে বিদ্যুত উৎপাদন বাইসাইকেলের চাকা ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হওয়ার কথা নতুন নয়। তবে স্বল্প খরচে বাইসাইকেলের চাকা ঘুরিয়ে উৎপন্ন বিদ্যুৎ থেকে বৈদ্যুতিক লাইট, ফ্যান, টিভি এমনকি পানি তোলার পাম্প বলবে বলে দাবি করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রানা মজুমদার।
সাইকেলের চাকার গতিশক্তির মাধ্যমে চুম্বকক্ষেত্র থেকে এমনি বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার দাবি করেছেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রানা। করোনা ভাইরাসের কারণে চার মাসের অধিক সময় বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। বন্ধের সময়টা বসে না থেকে সাইকেলের এক চাকা ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার কাজে নেমে পড়েন এই শিক্ষার্থী।
রানা জানান, সাইকেলের চাকা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করার যন্ত্র অনেক আগে আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে সেগুলো থেকে আমার যন্ত্রটি ভিন্ন। এখানে কম খরচে অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। আবিষ্কৃত সাইকেল ডায়নামো থেকে শতভাগ আউটপুট পাওয়া যাবে, যা ব্যবহার করে লাইট, ফ্যান, টিভি এমনকি পানি উত্তোলনের পাম্প মেশিন চালানো সম্ভব।
তবে এ যন্ত্রের সক্ষমতা নির্ভর করবে ব্যাটারির শক্তির ওপর। আমরা যদি বেশি ভোল্টের ব্যাটারি ব্যবহার করি তা হলে বেশি সময় শক্তি যোগান দিবে। বর্তমানে বাংলাদেশে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। লোডশেডিং হলে সাইকেল থেকে উৎপন্ন বিদ্যুতের মাধ্যমে একটি পরিবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে দাবি এই তরুণ বিজ্ঞানীর।
এছাড়া যেসব এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি সেখানে এই সাইকেল ডায়নামো ব্যবহার করা যাবে বলেও জানান তিনি। ছোটবেলা থেকেই তড়িৎ বা বৈদ্যুতিক বিষয়গুলোর প্রতি দুর্বল ছিলেন রানা মজুমদার। তিনি জানান, ছোটবেলায় যখন মোটর দিয়ে পাখা বানাতাম তখন একটা ভাবনা মাথায় আসতো।
‘কারেন্ট দিলে মোটর ঘোরে, কিন্তু আমরা যদি মোটর ঘোরাই তা হলে কি কারেন্ট তৈরি হবে ?’ সেই চিন্তা ভাবনাকে বাস্তবে পরিণত করতে পারলাম সাইকেল ডায়নামো আবিষ্কার করে।
কুমিল্লা জে’লার সদর দক্ষিণ উপজে’লার সাওড়াতলির ছেলে রানা মজুমদার। বাবা সেলিম মজুমদার ও মা জফুরা বেগমের আট ছেলেমেয়ের মধ্যে ষষ্ঠ। তবে রানা মজুমদারের পারিবারিক আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আপাতত বড় পরিসরে এ যন্ত্র তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বড় পরিসরে সাইকেল ডায়নামো উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন বলে জানান তিনি।
২৮ . মহাজাগতিক শক্তি থেকে “বিদ্যুত” উতপাদনের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন আমাদের দেশের সন্তান প্রফেসর ইজ্ঞিনিয়ার আহমেদ এফ. কামাল ()
২৯ . বরগুনার - স্বল্প মূল্যে আই. পি. এস. আবিষ্কার করেছে বরগুনার রহিম - রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ব্যাপক উতপাদন ও বাজারজাত করতে পারে নি ()
৩০ . কলাপাড়া - মোটর সাইকেল চুরি রোধে ‘মোটর গার্ড’ আবিষ্কার করেছে পটুয়াখালি জেলার কলাপাড়া উপজেলার ইলিয়াস হোসেন ।
()
৩১ . সিরাজগঞ্জ - চুরি রোধে ‘ইলেকট্রিক সিকিউরিটি গার্ড’ আবিষ্কার করেছেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়া বেড়া ইউনিয়নের চাদ মেটুয়ানি গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে তরুণ উদ্ভাবক মোর্শেদুল ইসলাম সনেট । সরকার ও রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা কামনা করে - ()
৩২ . ব্রাহ্মণবাড়িয়া - দীন ইসলাম আবিস্কার করেছেন ‘“চোর” ধরার অভিনব একটি মেশিন’”। মেশিনের নামও দিয়েছেন নিজে নিজেই। ‘“টি.সি.এস.- চোর ধরার মেশিন”’ নামেই তিনি এটিকে পরিচিত করতে চান বলে জানিয়েছেন । দীন ইসলাম, পিতার নাম নজরূল ইসলাম, বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে । তিনি তার আবিস্কৃত মেশিন সম্পর্কে বলেন, ২০১৪ খৃস্টাব্দ থেকে আমি এটি নিয়ে গবেষণা করতে থাকি শেষ পর্যন্ত নিজে নিজেই আমি এই মেশিনটি আবিস্কার করতে সক্ষম হই । আমার আবিস্কৃত এই মেশিনটি ‘চোর ধরতে সহায়তা করবে’ । যেখানেই মেশিনটি স্থাপন করা হবে সেখানে কোন চোরের আগমন হলে ‘মেশিনটি সিগনাল দেবে’ । এমনকি মেশিনের মধ্যে স্থাপন করা থাকবে একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট । সেখানে সেট করা নম্বারে অটোমেটিক কল যাবে । এ ছাড়াও মেশিনটিতে রয়েছে আরও বেশ কিছু সুবিধা । দীন ইসলামের এই আবিস্কারের বিষয়ে তার বাবা নজরূল ইসলাম বলেন, ছেলের এই আবিস্কারে আমি খুশি হয়েছি । আমার ছেলে অনেক মেধাবি । আমি মনে করি আমার ছেলে রাষ্ট্রিয় পৃষ্টপোষকতা পেলে আরও বড়ো কিছু করে দেখাতে পারবে । স্থানিয় হেদায়েত উল্লাহ নামে একজন জানালেন, তিনি তার কাছ থেকে চোর ধরার মেশিনটি ছয় হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন। নিয়ে গোয়াল ঘরে স্থাপন করেছেন। এটা কেনার পর তার ঘরে চুরির বিষয়ে তিনি নিশ্চয়তা পাচ্ছেন। এখন মেশিন স্থাপনের জায়গায় অনাকাঙ্খিত কেউ এলে মেশিনটি সিগন্যাল দিতে থাকে এমনকি মোবাইলেও কল আসে । এলাকাবাসিদের বেশ কয়েকজনই বলেছেন, দীন ইসলাম ঠিকমত পৃষ্টপোষকতা পেলে আরও বড়ো কিছু করে দেখাতে পারবে।

৩৩ . নারায়নগঞ্জ - ‘ল্যাম্বোরগিনির’ আদলে অত্যাধুনিক এই “গাড়ি” তৈরি করেছেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বাসিন্দা আকাশ আহমেদ । গাড়িটি ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে প্রায় ১০ ঘণ্টা চলতে সক্ষম । সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করা পরিবেশ বান্ধব ল্যাম্বোরগিনির আদলে আকাশের তৈরিকৃত সেই “গাড়িতে” । "আকাশ" এর তৈরি “গাড়ির” ব্যপক উতপাদন ও বাজারজাত করনের সুযোগ করে দেবার জন্য, মাননিয় অর্থ মন্ত্রি, শিল্প মন্ত্রি, বানিজ্য মন্ত্রি, যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রিকে বিনত আবেদন জানাচ্ছে । আকাশের তৈরি‘ ‘ল্যাম্বোরগিনির’ গাড়িতে নারায়নগঞ্জের জেলা প্রশাসক মহোদয় চড়ে দেখেছেন।

৩৪. জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয় - বাংলাদেশি বিজ্ঞানি আবিষ্কার করেছে ‘সৌর শক্তি চালিত ‘“অটো রিকসা”’- আমরা দেখতে পাবো ‘সৌর বিদ্যুৎ চালিত‘ রিকশা’। এমন এক "পরিবেশ-বান্ধব" রিকশা আবিষ্কার করলেন আমাদের দেশের দু'জন বিজ্ঞানি। তাঁরা হলেন- জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের সহকারি অধ্যাপক ডঃ এম শামীম কায়ছার ও মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির প্রভাষক আবু রায়হান মোঃ সিদ্দিক। তাঁরা দু'জন মিলে তৈরি করেছেন এই ‘সৌর বিদ্যুৎ চালিত রিকশা’। এই রিকশার প্রয়োজনিয় চার্জ সৌর প্যানেল থেকে সংগৃহিত হবে খুব সহজে । অনেক হাল্কা করেই তৈরি করা হয়েছে এই রিকশা ।

৩৫ . বরিশাল - ‘জ্বালানি সাশ্রয়ি “গাড়ি” আবিষ্কারক’ বরিশালের জিসান হাওলাদার ঈসা । নিজের স্বপ্ন সফল করার জন্য অনেকের সাহায্য কামনা করেছেন। দেবো, দিই, দিচ্ছি বলে বলে কেউ আর পাশে এসে দাঁড়ায়নি। তাতে কি ? কথায় আছে না, ‘যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, দেখা হবে বিজয়ে’ ? হ্যাঁ ঠিক তাই হয়েছে, নিজের ইচ্ছেতে অনড় ছিলো বরিশালের তরুণ উদ্ভাবক জিসান হাওলাদার ঈসা । আর তাই তো সে নিজ লক্ষ্যে পৌছার জন্য রিকশাও চালিয়েছেন। তারপর দিনরাত পরিশ্রম করে তৈরি করেন নিজের প্রযুক্তিতে “তিনটি” জ্বালানি সাশ্রয়ি গাড়ি । তরুণ উদ্ভাবক জিসানের বানানো ওই “তিনটি” জ্বালানি সাশ্রয়ি গাড়ি হয়েছে “দেশ সেরা”। নিজের ঝুলিতে ভরেছেন “জাতিয় পুরস্কার”। শুধু জাতিয় পুরস্কারই নয়। সে তার এই প্রযুক্তির জন্য পেয়েছে “আন্তর্জাতিক পুরুস্কারও”। সম্প্রতি জিসান হাওলাদার ঈসা তার সফলতার কথা জানিয়ে এবং বিজ্ঞান গবেষণায় “সহায়তা না থাকার” আক্ষেপ প্রকাশ করে লিখেছেন, জেলা প্রশাসকের বরাবরে ।

৩৬ . যশোর- “সোলার “কার” উদ্ভাবন করলেন যবিপ্রবি (যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষক - এক থেকে দেড় লাখ টাকা ব্যয়ে “সৌরচালিত গাড়ি” উদ্ভাবন করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির। এই গাড়িটির মানোন্নয়ন করে বাণিজ্যিকভাবেও এর ব্যবহার সম্ভব। এই গাড়ির সোলার প্যানেল ছাড়া সবকিছুই দেশিয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং স্থানিয় একটি মোটর ওয়ার্কশপে এটি তৈরি করা হয়েছে । ড. মো. হুমায়ুন কবির জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা তহবিল থেকে ২০১৭ - ১৮ অর্থ বছরের বাজেট থেকে গবেষণা প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করা হয়। এই প্রেক্ষিতে তিনি “সৌরশক্তি চালিত “গাড়ি” তৈরি করার জন্য প্রকল্প প্রস্তাব জমা দেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব গ্রহণ করে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অর্থের যোগান দেন। এরপর হুমায়ুন কবির “গাড়ি” তৈরি করার জন্য প্রয়োজনিয় যাবতিয় জিনিসপত্র স্থানিয় বাজার থেকে সংগ্রহ করেন এবং স্থানিয় একটি ওয়ার্কশপে গাড়িটি তৈরি করেন। তিনি উল্লেখ করেন, এই গাড়ির সব যন্ত্রাংশ দেশে তৈরি, শুধু সোলার প্যানেল ছাড়া । ড. মো. হুমায়ুন কবির আরও জানান, সারা পৃথিবিতেই ব্যাটারিচালিত গাড়ি তৈরি এবং ব্যবহারের আগ্রহ বেড়ে চলেছে। টেসলা নামক কোম্পানি এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে। সৌরশক্তি দিয়ে গাড়ি চালানোও নতুন নয়। তবে, বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়নি। গবেষণা চলছে উন্নত করার। ড. হুমায়ুন কবিরের মতে, আমাদের দেশে সৌরশক্তি চালিত গাড়ির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, আমাদের দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। আর যে ফসিল ফুয়েল দিয়ে গাড়ি চলে তার পুরোটাই আমদানি নির্ভর এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক। এই বিষয়গুলো চিন্তা করে আমরা “সৌরশক্তি চালিত গাড়ি” তৈরি করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করি। এই গাড়ির মূলনিতি হল: সৌরশক্তি ব্যাটারিতে জমা হবে, জমা হওয়া বৈদ্যুতিক চার্জ দিয়ে মোটর চলবে যা গাড়ির চাকা ঘোরাবে। দুইজন যাত্রী এবং একজন চালকসহ ৩৩০ কেজি ওজনের এই গাড়ি একদিনের চার্জে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলবে। তবে, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরকোষ ব্যবহার করে তা দ্বিগুণ বা তিনগুণ বাড়ানো সম্ভব। প্রাথমিকভাবে এই গাড়ি তৈরিতে খরচ পড়ছে এক থেকে দেড় লাখ টাকা। একটু মানসম্পন্নভাবে গাড়িটি তৈরি করা গেলে এটি দশ বছর পর্যন্ত চলতে পারবে। সে ক্ষেত্রে ব্যাটারি পরিবর্তন ও সোলার প্যানেলটি রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।এক থেকে দেড় লাখ টাকা ব্যয়ে সৌরচালিত গাড়ি উদ্ভাবন করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির।তিনি উল্লেখ করেন, যশোরকে ইজিবাইকের শহর বলা হয়। এই ইজিবাইক আমদানি করতে যেমন প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়, তেমনি এটি চালাতে প্রচুর বিদ্যুতের খরচ হয়। এ কারণে এই সোলার কারটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা গেলে যেমন ডলার সাশ্রয় হবে, তেমনি বিদ্যুতের উপরেও চাপ কমবে।

৩৭ . যশোর - এখানে নানা ধরনের গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এখানে মুরগির প্রোবায়োটিক, মাছের ন্যানো ফিশ ফিড উদ্ভাবন করা হয়েছে। সোলার কারটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন।
৩৮ . বরগুনা - জ্বালনি বিহিন “হেলিকপ্টার” আবিষ্কার করেছে বরিশাল বিভাগের বরগুনার সন্তান, সোহেল হাওলাদার (৩২)। পেশায় একজন মোটর মেকানিক। বরগুনার পুরাকাটা ফেরিঘাটে মোটরসাইকেল মেকানিকের কাজ করেন। এবার তিনি নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করছেন “হেলিকপ্টার”। সোহেল রানার সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ইতোমধ্যে ১৫ হাজার টাকা খরচ করেছেন “হেলিকপ্টারের” বডি ও পাখা তৈরির কাজে। আর মেশিন কেনার টাকা না থাকায় তার আবিষ্কৃত “স্পিডবোডের” মেশিন খুলে“ হেলিকপ্টারে” লাগিয়ে পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের চেষ্টায় ভালোভাবে সফল হতে পারেননি তিনি।
(খ) বরগুনা -এর আগে সোহেলের তৈরি “স্পিডবোড” সোহেল রানা জানান, তার এই প্রযুক্তিতে “হেলিকপ্টার” আকাশে উড়াতে হলে উন্নত পাখা ও মেশিনসহ আরো কিছু যন্ত্রাংশ দরকার। কিন্তু টাকার অভাবে সেসব যন্ত্রাংশ কিনতে পারছেন না। এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক ড. মোহা. বশিরুল আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে লিখিত ভাবে সাহায্য চাইলে বরগুনা জেলা প্রশাসন অবশ্যই সোহেলের পাশে থাকবে।

৩৯ . বরগুনা - সোহেল হাওলাদার এই ঘটনার মাস ছয়েক আগে মোটর সাইকেলের পুরনো বডি ব্যবহার করে দ্রুত গতিসম্পন্ন “স্পিডবোট” তৈরি করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন।
৪০ . ফরিদপুর - ‘জলে স্থলে সমান গতিতে চলে’ ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের পাচু মাতুব্বরের ছেলে জমির হোসেন আবিস্কৃত “মোটর চালিত সাইকেল”।

৪১. বাংলাদেশি বিজ্ঞানি আতাউল করিম ‘ভাসমান ট্রেন আবিষ্কার করেন । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারি বাংলাদেশি পদার্থ বিজ্ঞানি প্রফেসর ড. আতাউল করিম। তিনি দ্রুতগামি ভাসমান “ট্রেন” আবিষ্কার করেছেন। ১৯৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমালেও আত্মিয়-স্বজনের সাথে দেখা করতে প্রায়ই বাংলাদেশে আসেন।

৪২ . দিনাজপুর- বিদ্যুত বিহিন প্রাকৃতিক “হিমাগার” আবিষ্কার করেছেন দিনাজপুর বিরগঞ্জ/কাহারোল উপজেলার কৃষিবিদ তৌহিদুল ইসলাম বকুল- কাহারোল উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামের মৃতঃ আলহাজ্ব ডাঃ শমসের আলী শাহ এর পুত্র মীম সীড-এর স্বত্ত্বাধিকারি কৃষিবিদ মোঃ তোহিদুল ইসলাম বকুল বীরগঞ্জ পৌর শহরের দিনাজপুর পঞ্চগড় মহাসড়কের জগদল মৌজায় ১১০ টন ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি বিদ্যুত বিহিন প্রাকৃতিক “হিমাগার” নির্মান করেন। “হিমাগারটি” নির্মানে সর্বসাকুর্ল্যে ব্যায় হয়েছে মাত্র ৫ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা । বেসরকারী সংস্থা ক্যাটালিষ্ট ও জিমার্ক-এর আর্থিক সহযোগিতায় এবং কমপিটিবল টেকনোলজি ইনোষ্টোলেশন (সি.টি.আই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে হিমাগারটি নির্মাণ করা হয়েছে। হিমাগারটি পরীক্ষা মূলক চালুর পর কাচা সবজি ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সফলতা লাভ করেছে। বিদ্যুৎ ছাড়াই প্রাকৃতিক ভাবে আলু সহ সকল প্রকার কাঁচামাল হিমায়িত করে রাখার ক্ষেত্রে সফলতা লাভ করায় গ্রামীণ জনপদে সাধারণ কৃষকদের উন্নয়নে এটি বেশ ভূমিকা রাখবে। এই পদ্ধতিকে অনুসরণ এবং ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরণের হিমাগার নির্মিত হয়েছে। সেগুলিও এখনও সচল রয়েছে বলে জানান কৃষিবিদ মোঃ তোহিদুল ইসলাম বকুল।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এবং জিমার্ক এর সহযোগিতায় পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় ১টি এবং বান্দরবন জেলার সদর উপজেলা ১টি ও আলীকদম উপজেলায় ১টি, জাপানের অর্থায়নে এবং জিমার্ক এর সহযোগীতায় বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় ৭টি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে রাজশাহীতে ০১ টি প্রাকৃতিক হিমাগার নির্মাণ করা হয়েছে।

৪৩ . আশীষ পাল, ‘“ইকো কুলারের” উদ্ভাবক- প্লাস্টিকের বোতল দিয়েই তৈরি করা সম্ভব শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ (এ.সি) যন্ত্র – প্লাস্টিকের বোতল দিয়েই তৈরি করা সম্ভব শিতাতপ নিয়ন্ত্রণ (এ.সি.) যন্ত্র – কোমলপানিয় ও বোতলজাত পানির ব্যাপক ব্যবহারের ফলে প্লাস্টিকের বোতল এখন সহজলভ্য । অনেকেই প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে ফুলদানি কিংবা টব বানাচ্ছেন। কিন্তু কখনও ভেবেছেন এই প্লাস্টিকের বোতল দিয়েই তৈরি করা সম্ভব শিতাতপ নিয়ন্ত্রণ (এ.সি.) যন্ত্র ? শুধু তাই নয়, এই এসিতে কোনও ‘বিদ্যুত’ লাগবে না । আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- খুব সহজেই এটা তৈরি করে ঘর শিতল রাখা যাবে। অসম্ভব মনে হলেও অভিনব ‘বিদ্যুতবিহিন’ ও পরিবেশবান্ধব এমনই এ.সি. উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশি উদ্ভাবক আশীষ পাল । সেই এসি এখন ছড়িয়ে যাচ্ছে গ্রাম থেকে গ্রামে।

৪৪ . টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শরিফুল ইসলাম নামে এক কলেজ ছাত্র সাশ্রয়ি এবং সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব পরিবেশে “ঠাণ্ডাকরণ” প্রক্রিয়া (এ.সি.) উদ্ভাবন করেছেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শরিফুল ইসলাম নামে এক কলেজ ছাত্র “পৃথিবীর সবচেয়ে সাশ্রয়ি” এবং “সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব” পরিবেশে ঠান্ডা করণ প্রক্রিয়া (এ.সি.) উদ্ভাবনের দাবি করেছেন। ২০১৭ সাল থেকে তিনি তার এই উদ্ভাবনি নিয়ে কাজ শুরু করে ২০১৮ খৃস্টাব্দে সফল হয়েছেন বলে দাবি করেন। তিনি তার উদ্ভাবনি প্রযুক্তি মেধা স্বত্ব (Intellect/Copy wright)চুরি হয়ে যেতে পারে জানিয়ে তা প্রধানমন্ত্রির হাতে তুলে দেয়ার কথা বলেন । তার বাড়ি উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের চান্দুলিয়া গ্রামে। তিনি এ বছর টাঙ্গাইলের সরকারি সা’দত কলেজ থেকে গণিত বিভাগে চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছেন। এ উপলক্ষে শরিফুল ইসলাম মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে স্থানিয় সাংসদ মো. একাব্বর হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রলিগ কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সম্পাদক তাহরিম সিমান্ত, উপজেলা ছাত্রলিগের সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন ও মির্জাপুর পৌর ছাত্রলিগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিল আহমেদ ও শরীফুলের সহপাঠীরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠকালে শরিফুল ইসলাম জানান, তাঁর উদ্ভাবিত যন্ত্রটি পৃথিবীর সবচেয়ে সাশ্রয়ি এবং সম্পুর্ন পরিবেশ দূষণমুক্ত। যা সি.এফ.সি. গ্যাস ছাড়াই ঠান্ডা করণ প্রক্রিয়ায় কাজ করবে। তিনি এর নাম দিয়েছেন শরিফ পিউর কুলিং টেকনোলজি বা এসপিসিটি। এ প্রক্রিয়াটি বিদ্যুত বা জ্বালানি সাশ্রয়ি। তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সি.এফ.সি. গ্যাস ব্যবহার করে শীতাতপ যন্ত্রসহ বিভিন্ন ঠান্ডা করণ যন্ত্র তৈরি করা হয়। যা বায়ুন্ডলের ওজোন স্তরের ক্ষতি করছে । এতে সূর্যের বেগুনি রশ্মি পৃথিবিতে চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে । এতে ক্যান্সারসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাবে এবং চোখে অসময়ে ছানি পড়বে না। এসব থেকে বাঁচতে তিনি যন্ত্রটি আবিস্কার করেছেন। এছাড়া বর্তমানে ১ টন এ.সি.তে যেখানে প্রায় ২ হাজার ওয়াটের বিদ্যুত প্রয়োজন সেখানে তাঁর উদ্ভাবিত যন্ত্রে প্রায় ৯০ ভাগ জ্বালানি সাশ্রয় করবে। মাত্র ১৫০ ওয়ার্ট বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে চলবে এবং যন্ত্রটিতে কোন সি.এফ.সি. ব্যবহার প্রয়োজন হবেনা। সাংসদ মো. একাব্বর হোসেন শরিফুলের দেখানো যন্ত্রের বিষয়ে বলেন, তার উদ্ভাবিত যন্ত্রের কথা তিনিও সরকারের উচ্চ পর্যায়ে তুলে ধরবেন। এজন্য তিনি প্রয়োজনিয় সকল সহযোগিতা করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।

৪৫. আল-মামুন দীর্ঘ গবেষণায় গবাদিপশু (গরু ও ভেড়া) মোটাতাজাকরণের ক্ষতিকর “গ্রোথ হরমোনের” বিকল্প হিসেবে “প্লানটেইন ঘাস” ব্যবহারে - প্লানটেইন ব্যবহারের ফলে উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রয়লার মাংসের পুষ্টিগুণও বৃদ্ধি পেয়েছে । সাধারণ মাংসের চেয়ে এতে মানবদেহের উপকারী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে ওমেগা -৩-এর পরিমাণ বেশি পাওয়া গেছে । ওমেগা -৩ একটি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা মানবদেহে ক্ষতিকর চর্বির পরিমাণ কমিয়ে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার, চোখের ছানি, স্মৃতিভ্রম এবং অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। আল-মামুন বলেন, প্লানটেইন (Plantago lanceolata L) একটি বহুবর্ষজিবি ঘাসজাতিয় বিরুৎ উদ্ভিদ ।

৪৬ . “কৃত্রিম কিডনি” তৈরি করে ফেলেছেন বাঙালি বিজ্ঞানি শুভ রায় । খুব শিগগিরই বাজারে আসছে এই কৃত্রিম কিডনি। কম খরচে কিডনির সমস্যার চটজলদি সমাধান। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়াতে বায়োইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড থেরাপিউটিক সায়েন্স-এর শিক্ষক বায়ো-ইঞ্জিনিয়ার ডঃ শুভ রায়। তার আবিস্কৃত কৃত্রিম কিডনি আকারে মানুষের হাতের মুঠোর সমান। আসল কিডনি প্রতিস্থাপনের তুলনায় কৃত্রিম কিডনি বসানোর খরচও কম। ডঃ শুভ রায় প্রায় ১০ বছর আগে ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির ৪০ জন অধ্যাপক ও গবেষককে নিয়ে শুরু করেছিলেন কৃত্রিম কিডনি তৈরির কাজ । (পত্রিকার কপি সংযুক্ত)

৪৭ “ সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের যন্ত্র” আবিষ্কার করে দশম শ্রেনির আকাশ মনোজ ৷ এই যন্ত্রটির মাধ্যমে খুব সহজেই বোঝা যাবে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষনগুলি প্রাথমিকভাবে ৷ আর তাতেই প্রাণে হয়তো বেঁচে যাবেন বহু মানুষ ৷

৪৮ . সিলেট - বাংলাদেশি সাড়া জাগানো উদ্ভাবন, ‘“নিউমোনিয়ার” চিকিতসা শ্যাম্পুর বোতলে”’। সিলেট শাহজালাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেল শিশু বিভাগের চিকিতসাক ডা: মোহাম্মদ জোবায়ের চিশতি নিউমোনিয়া থেকে শিশুদের বাচাতে আবিস্খার করেন ‘শ্যাম্পুর বোতলে থেরাপি’। শ্যাম্পুর বুদ বুদ থেকে সৃষ্ট চাপ ফুসফুসের ছোট বায়ু থলিগুলোকে খুলে রাখতে সাহায্য করে। এভাবেই শিশু বাচানোর পথ আবিষ্কার করেন ডা: মোহাম্মদ জোবায়ের চিশতি। লাখ লাখ টাকা দামের ভেন্টোলিনের পরিবর্তে মাত্র কয়েক টাকা দামের অতি সাধারণ যন্ত্রের সাহায়্যে কৃত্রিমভাবে শ্বাস নেয়ার পদ্ধতি আবিষ্কার ‘নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জিবন বাচাতে’ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে । (পত্রিকার কাটিং সংযুক্ত)।

৪৯ . ড. প্রদিপ সরকার ০৬ (ছয়) জনের গবেষণা দল “‘আ্যকটিভ পলিমার হাইড্রোজেল” আবিষ্কার করেন । যা চিকিতসা বিজ্ঞানের জন্যে একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে । এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে সঠিক “এন্টিবায়োটিক” দেয়া আরো সহজ হবে। ()।

৫০ . “ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের” উপায় আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানিরা পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের খাদ্য ও বিকিরণ জিববিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের কিট জিব প্রযুক্তি বিভাগের বিজ্ঞানিরা “ডেঙ্গু বিস্তারকারি এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে” এস.আই.টি. নামে একটি কার্যকরি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন । “ডেঙ্গু” নিরসনে স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিকটির (এস.আই.টি) প্রায়োগিক বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে । এই পদ্ধতিতে পুরুষ জাতিয় এডিস মশাকে গামা রশ্মি প্রয়োগের মাধ্যমে বন্ধ্যাকরণ করা হয়। উক্ত মশা, ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন এলাকায় অবমুক্ত করা হলে তা প্রকৃতিতে বিদ্যমান স্ত্রী এডিস মশার সাথে মিলিত হয় এবং এতে ওই স্ত্রী জাতীয় এডিস মশার ডিম/লার্ভা নিষিক্ত না হওয়ায় মশার পরিমাণ দিন দিন হ্রাস পেতে থাকে। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এটি একটি অত্যন্ত কার্যকর এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বিকৃত পদ্ধতি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রির এই পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক, সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. সানোয়ার হোসেন, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. এম. আজিজুল হক, এন.আই.বি.র মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ, এ.ই.আর.ই. এর বিভিন্ন ইন্সটিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভিন্ন স্তরের বিজ্ঞানি, প্রকৌশলি, কর্মকর্তা ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
৫১ . “প্যানক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার” খুব সহজে ধরা পড়ে না। কিন্তু যখন ধরা পড়ে, তখন দেখা যায়-অনেক দেরি হয়ে গেছে। চিকিৎসার আর বিশেষ সময়ই থাকে না। এবার জটিল এই রোগ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ আবিষ্কার করে বিশ্বকে চমকে দিলেন এক বাঙালি বিজ্ঞানি। ওই বিজ্ঞানির নাম “অনিমেষ ধর”। ১৫ বছর ধরে গবেষণা করে তিনি এ ওষুধ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন।
৫২ . কুষ্টিয়ায় ড. শেখ শাহিনুর রহমান কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলছেন, কচি তালের শাঁস, পাকা তালের রস, অঙ্কুরিত তালের আঁটির ভেতরের সাদা শাঁস এবং ওলকচু “ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে” গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তার গবেষণায় উঠে এসেছে, পাকা তালের রস, কাঁচা তালের শাঁস, অঙ্কুরিত তালের আঁটির ভেতরের সাদা অংশ অথবা ওলকচুতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে। এর কোনোটিই ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়ায় না; বরং উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনে। স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি এসব খাদ্যোপাদান পরিমিত মাত্রায় প্রয়োগ করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসে।
৫৩ . সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু আলি ইবনে সিনা’র এই কাজ “ক্যানসার” পরীক্ষার ক্ষেত্রে অভাবনিয় সাফল্য এনেছে৷ নতুন এই পদ্ধতিতে কেবল রক্ত ও টিস্যু পরীক্ষার প্রয়োজন হয়৷ এই পরীক্ষাটি একটি বিশেষ ধরনের ডি.এন.এ. পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে তৈরি করেছেন তাঁরা ৷ তাঁরা বলছেন, ভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ডি.এন.এন.’র বৈশিষ্ট্য ভিন্ন ঐ রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জিনগত বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে যার মাধ্যমে কি ধরনের ক্যানসার তা নির্ণয় করা যায়৷ ফলে খুব সহজে ক্যানসার চিহ্নিত করা যাবে৷ এর অর্থ হলো, যত দ্রুত ক্যানসার নির্ণয় করা যাবে, তত দ্রুত চিকিত্সা শুরু করা সম্ভব হবে ৷ বর্তমানে আবু আলি ইবনে সিনা কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করছেন ৷ এই গবেষণা দলে তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও দু’জন বিজ্ঞানি ৷ গত বৃহস্পতিবার ভি.ডি.ও.টি তাঁদের ফেসবুক পাতায় পোস্ট করে ‘টগবগ’৷ এখন পর্যন্ত এটি দেখা হয়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার বার ৷ শেয়ার হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বার৷৷

৫৪ . চট্টগ্রামের বাংলাদেশি বিজ্ঞানি হামিদ যে যন্ত্র (HEC mosquito killer) আবিষ্কার করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলো !! প্রাণঘাতি “জিকা ভাইরাস” নিয়ে সারা বিশ্ব যখন উদ্বেগ-উত্কণ্ঠায়, ঠিক তখন এই ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার সহজ পন্থা উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশি এক বিজ্ঞানি হামিদ । প্রাণঘাতী জিবাণুবাহী মশাকে সহজেই নিধন করার যন্ত্র (HEC mosquito killer) । চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া গ্রামের আবদুল হাকিম মেম্বারের বাড়ির সাবেক সরকারি কর্মকর্তা শামসুল হক ও মাহমুদা খাতুনের সন্তান এম. এ. হামিদ। হামিদের উদ্ভাবিত নতুন মশকনিধন যন্ত্রটি গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃতি পায়। ২০১৭ খৃস্টাব্দের ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ গেজেটে এটি প্রকাশ করা হয়। নিজের নামের সঙ্গে মিল রেখে নতুন এই যন্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘এইচ.ই.সি. মসকিটো কিলার’ (HEC mosquito killer) - শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্যাটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, হামিদের ইলেকট্রো-কেমিক্যাল মশকনিধন যন্ত্রটি উদ্ভাবনের কথা। ইতিমধ্যে মালয়েশিয়া ও ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশ এইচ.ই.সি. মসকিটো কিলার সম্পর্কে জেনেছে।
৫৫ . সিদ্ধার্থ শংকরের ‘গ্যাস্ট্রোমিটারটি’ সরকারি স্বিকৃতি পেয়েছে। সরকারের ‘ডিপার্টমেন্ট অব প্যাটেন্টস, ডিজাইন-এর ট্রেডমার্ক’ দপ্তর থেকে তার আবিষ্কৃত ডিভাইসটির স্বিকৃতি দেওয়া হলো। সিদ্ধার্থের আবিষ্কৃত ডিভাইস বা যন্ত্রটি দিয়ে গ্যাস্ট্রিকে ভোগা রোগিদের পাকস্থলিতে কি পরিমাণ এসিডিটি আছে তা সহজেই পরিমাপ করা যায়। মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের রমেন বিশ্বাসের ছেলে সিদ্ধার্থ শংকর বিশ্বাস। ২০০৮ সালে তিনি গ্যাস্ট্রোমিটার নামের ডিভাইসটি আবিষ্কার করেন। সরকারের মিনিস্ট্রি অব ইন্ড্রাস্ট্রিজ এর ‘ডিপার্টমেন্ট অব প্যাটেন্টস, ডিজাইন এর ট্রেডমার্ক’ দপ্তর তার আবিষ্কৃত ডিভাইসটি ১০০৫৪২২ নম্বর যুক্ত প্যাটেন্ট-(পিডাব্লিউ)/এপ্লিকেশন (ইস্যু)/৪২১৮, তারিখ-০২/১২/২০১৪ হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে।

৫৬ . দিনাজপুরের আনোয়ার হেসেনের ‘ডিজিটাল ধান কাটা ও মারাইয়ের মেশিন’ উদ্ভাবন করেছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার দক্ষিণ বাসুদেবপুরের পল্লিচিকিসক ডা: আনোয়ার হোসেন । (পত্রিকার কাটিং সংযুক্ত)।

৫৭ . সারা বছরই পুকুরে পানি ধরে রাখার কৌশল আবিষ্কার করেছেন রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসতিয়াক হোসেন ।
(পত্রিকার কাটিং সংযুক্ত)।

৫৮ . মাগুড়া - ‘জিঙ্ক সমৃদ্ধ ধানের আবাদ ’ বাড়ছে মাগুড়ায়। মানব দেহে যে পরিমান জিঙ্ক আবশ্যক তার ৭০ ভাগ পুরণ হয়ে যায় যদি প্রত্যেকে প্রতি দিন জিঙ্ক সমৃদ্ধ চালের বাত কায় । (পত্রিকার কাটিং সংযুক্ত)।

৫৯ . মেহেরপুর - ‘আর্সেনিক মুক্ত ফিল্টার’ আবিস্কার করেন মেহেরপুর জেলার ‘মোমিনুল ইসলাম’। এতে বিদ্যুত ও কেমিক্যাল কোনো কিছুই ব্যবহার করা হয়নি। (পত্রিকার কাটিং সংযুক্ত)।

৬০ . সিলেটের মেট্রোপলিটান ইউনির্ভাসিটির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইজ্ঞিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ রেজওয়ানুল হক নাবিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়র ছাত্র থাকা কালিন ‘ড্রোন’ আবিষ্কার করেছিলেন।

৬১ . যশোরের চৌগাছায় এক মাদ্রসার ছাত্র আব্দুল্লাহ আল ফাহিম খেলতে খেলতে ‘ড্রোন’ আবিষ্কার করে সকলকে তাক লাগিয়ে দি্যেছেন।

৬২ . ‘প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে জ্বালানি তেল’ উতপাদন করতে চান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসি বাংলাদেশি দম্পতি বিজ্ঞানি ড. মইন উদ্দিন সরকার ও ড. আনজুমার শেলী। প্রতি লিটার তেল উতপাদন খরচ হবে মাত্র ২০.০০ টাকা। (পত্রিকার কাটিং সংযুক্ত)।

৬৩ . খুলনা - ‘পলিথিন ও প্লাস্টিক” থেকে খুলনার টুটপাগা জোড়াকল বাজার এলাকার ইজিবাইক চালক সোহাগ হাওলাদার আবিষ্কার করেছেন “জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিটুমিন, ও ফটোকপি মেশিনের কালি”।

৬৪ . বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শিবপুর গ্রামের কয়েক যুবক পরিত্যাক্ত “পলিথিন ও প্লাস্টিক বোতল” দিয়ে “জ্বালানি তেল” উতপাদন ও বিক্রি করে স্বাবলম্বি হবার চেষ্টা করছে । বেলাল হোসেনের ছেলে নাজমুল হক নাজু জানান প্রতি কে.জি. পরিত্যাক্ত “প্লাস্টিক বোতল ও পলিথিন” দিয়ে ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম জ্বালানি তেল উতপাদন সম্ভব । প্রতি লিটার ডিজেল উতপাদনে ২০.০০ টাকা খরচ হয় । বিক্র্রি করেন ৬০.০০ টাকা।
৬৫ . যশোর পৌরসভা “বাসা বাড়ির আবর্জনা বা বর্জ্য” দিয়ে “জৈব সার ও বয়োগ্যাস” উতপাদন করছে - দেশের সকল পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন এই প্রকল্প গ্রহণ করলে বদলে যাবে দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি –

৬৬ . ‘ভোলার’ এক ক্ষুদে বিজ্ঞানি ‘রাজু’ আবিস্কার করেছেন ‘জ্বালানিবিহিন মোটর সাইকেল’ । শতভাগ পরিবেশ বান্ধব এ ‘মোটর সাইকেল’ চালাতে কোনো প্রকার ‘জ্বালানি’ লাগবে না। মাত্র ১২.০০ টাকা খরচেই পাড়ি দেবে ১৫০.০০ কিলোমিটার।

৬৭ . ‘বগুড়ার’ যন্ত্রকৌশলি ‘আমির হোসেন’ আবিস্কার করেছেন জ্বালানি বিহিন “গাড়ি”। মাত্র ২৫.০০ টাকার কার্বন খরচ করেই আমির হোসেনের গাড়ি টানা ০৮ (আট) ঘন্টা চলতে পারে। বহন করতে পারে যাত্রি ও মালামাল । পরিবেশ বান্ধব এই গাড়ির কয়েকটি মডেল চলছে বগুড়া ও সিলেটে । নাম দিয়েছেন ‘রফ রফ তাহিয়া’ অর্থ হলো ‘সুন্দর ও দ্রুততম যানবাহন’ । ০৫ আসনের ২৫০ কি.জি. ওজনের এই গাড়ি চালাতে তেল, মবিল, ডিজেল, সি. এন. জি. কিছুই লাগে না। ০৮ ঘন্টা পর পর ২৫ টাকা দামের একটি কার্বন বদলাতে হবে। এ গাড়ি তৈরিতে খরচ লাগে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। ।

৬৮ . ফরিদপুরের হাবিবুর রহমান ইমরান এমন একটি ‘গাড়ি আবিষ্কার’ করেছেন, যে “গাড়ি জলে স্থলে সমান গতিতে চলতে পারে”। ১৮ হাজার টাকা ব্যয়ে এ গাড়িটি বানিয়েছেন হাবিবুর রহমান ইমরান। গাড়ির নাম দিয়েছেন ‘“বোট এন্ড কার’”। ১৫ জন যাত্রি বসতে পারেন। গাড়িতে রয়েছে টি. ভি, সি.ডি । গাড়িতে রয়েছে মাছ ধরার ব্যবস্থা । পানিতে চলার সময় স্বয়ংক্রিয় ভাবে মাছ ধরতে পারবে।

৬৯ . ফরিদপুরের হাবিবুর রহমান ইমরান আরো তৈরি করেছেন “‘বিদ্যুত ছাড়া ‘হস্ত চালিত পাম্প”’ ।
৭০ . ফরিদপুরের হাবিবুর রহমান ইমরান আরো আবিস্কার করেছেন “‘ডিম ফোটানো মেশিন”’।
৭১ . ফরিদপুরের হাবিবুর রহমান ইমরান আরো আবিষ্কার করেন ‘“রিমোট কন্ট্রোল বেবি কার”’। তার প্রখম আবিস্কৃত ‘“বেবি কার’” আমেরিকার একটি কোম্পানি ৩০ টির অর্ডার দিয়েছিলেন। কিন্তু টাকার অভাবে বানাতে পারেনি ।
৭২ . রাজশাহী - মাত্র দুই বছরের প্রচেষ্টায় একইসঙ্গে তিনটি সুবিধাসম্পন্ন দেশের প্রথম ‘“হাইব্রিড গাড়ি”’ উদ্ভাবন করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল। গবেষক দলের প্রধান রুয়েট যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উদ্ভাবিত হাইব্রিড গাড়ির সুবিধাগুলো হলো- একইসঙ্গে “ইলেকট্রিক্যাল প্লাগ ইন, ইঞ্জিনসেবা ও সোলার চার্জিং সিস্টেম”। এর ফলে জ্বালানি শেষ হলেও চলবে গাড়ি। সোলার সিস্টেম থাকায় যানজটে আটকে থাকলেও ব্যাটারি চার্জ হবে। তাই শক্তি বা জ্বালানির অপচয় হওয়ার সুযোগ নেই। এছাড়া আছে “প্লাগ চার্জিং সিস্টেমও”। বিদ্যুতের সাহায্য নিয়ে চার্জ দেয়া যাবে। একটি পরিত্যক্ত গাড়ি থেকে হাইব্রিড গাড়ি রূপান্তর করে ব্যবহার উপযোগী করতে খরচ পড়বে মাত্র ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা।
৭৩ . দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তিন ছাত্র ‘আবিস্কার করেছেন, ‘“সোলার সাইকেল”’ । দিনের বেলা সূর্যের আলোতে চার্জ হয় । রাতের বেলা অন্যান্য গাড়ির হেড লাইটের আলোতে চার্জ হয়। ঘন্টায় ২৫ কিলোমিটার চলতে পারে। আবিস্কারকরা হলেন (০১) বাসুনিয়াপট্টির মাধব মল্লিকের ছেলে বিজয় মল্লিক (০২) মাসিমপুরের আব্দুস সামাদের ছেলে সাব্বির হোসেন ও (০৩) নীলফামারি জেলার বেড়াকুটির হেমন্ত কুমারের ছেলে শান্ত কুমার রায়। এ সাইকেল তৈরি করতে খরচ হয় মাত্র ১৩ হাজার টাকা।

৭৪ . হবিগঞ্জ - সিলিন্ডারে শুধু বাতাস ভরে চালানোর মতো ‘“মোটর সাইকেল উদ্ভাবন’” করেছেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি গ্রামের তরুণ হাফেজ মো: নুরুজ্জামান। ‘“জ্বালানি তেল ছাড়াই”’ শুধু হাইড্রোলিক পদ্ধতির গিয়ার বক্স প্রযুক্তিতে একটি সিলিন্ডারের বাতাসেই চলবে “এয়ার বাইকটি” । একবার বাতাস ভরলে ৮০ কিলো মিটার বেগে ৪০ কিলোমিটার চলবে। ।

৭৫ . কাপ্তাই - চলবে ‘“বিদ্যুত ছাড়াই বিনা খরচে বাতি জ্বালানোর’” প্রযুক্তি উদ্বাবনের পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে সেনা বাহিনির কাপ্তাই জোনের ০৭ প্রকৌশলি মাত্র ৩০ টাকা খরচ করে বিশেষ এক ধরনের “সোলার বাল্ব” তৈরি করেছেন। বিদ্যুত ছাড়াই ৫৫ ওয়াটের সম পরিমান আলো দেয় একটি বোতল বালবের কার্যকারিতা ০৫ বছর।

৭৬ . মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারি বাংলাদেশি পদার্থ বিজ্ঞানি প্রফেসর ড. আতাউল করিম। তিনি দ্রুতগামী ভাসমান ট্রেন আবিষ্কার করেছেন । ১৯৫৩ সালের ৪ মে সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় জন্ম ড. আতাউল করিমের। বাবা ছিলেন ডাক্তার। ড. করিমের পূর্বপুরুষরা ভারতের আসাম ও মেঘালয় থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এসেছিলেন।

৭৭ . মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৮ম শ্রেণির ক্ষুদে বিজ্ঞানি বাইয়ান বিন আমিন, ঈসাত ইসলাম ও সাদিব দেওয়ান আফিক ৪ হাজার টাকায় বাজেট কম্পিউটার উদ্ভাবন করেছে। দলনেতা বাইয়ান বিন আমিন বাংলানিউজকে জানান, অনেকে কম্পিউটার শিখতে বা চালাতে চায়। কিন্তু বাজেটের কারণে সবাই কিনতে পারে না। আবার কম্পিউটার শিখতে গেলেও ৩/৪ হাজার টাকা লেগে যায়। আমাদের উদ্ভাবনি কম্পিউটারটি মাত্র ৪ হাজার টাকায় কেনা যাবে। এই কম্পিউটারের কনফিগারেশন বুঝিয়ে আমিন বলেন, অরেঞ্জ পাই যন্ত্রের মাধ্যমে তৈরি এই মিনি কম্পিউটারে ১ জিবি র‌্যাম, ১.৬ গিগা বাইট প্রসেসর, ৪ কে ভিডিও সাপোর্ট ও ৪ জিবি রম আছে। ইন্টারনেট ব্রাউজসহ এমএস অফিস ও পাওয়ার পয়েন্টসহ সব কাজই এটা দিয়ে করা সম্ভব। উদ্ভাবন করে ক্ষুদে বিজ্ঞানিরা দেখিয়ে দিয়েছেন কাজে তারা কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই বড়দের তুলনায়।

৭৮ . কুমিল্লা - মাত্র ৩৭ হাজার টাকায় ‘“রোবট’” তৈরি করলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। তিন শিক্ষার্থী ‘রোবটটি’ তৈরি করেন। তাদের দলনেতা (০১) সনজিত মন্ডল।তিনি পদার্থবিজ্ঞান শেষ বর্ষের ছাত্র। তার সহযোগী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র (০২) সাঈয়েদুর রহমান ও আইসিটি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র (০৩) জুয়েল নাথ। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স ক্লাবের সহযোগিতা এবং কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) অর্থায়নে “রোবট”টি তৈরি করা হয়। “রোবট”টি বর্তমানে কুমিল্লা বার্ডের লাইব্রেরিতে প্রদর্শন করা হচ্ছে। এটি দেখতে প্রতিদিনই স্থানীয় শিক্ষার্থী ও লোকজন ভিড় করছেন। দলনেতা সনজিত মন্ডল জানান, স্কুলজীবন থেকেই “‘রোবট”’ বানানোর স্বপ্ন ছিল। কিন্তু সামর্থ্য ছিল না।

৭৯ . বরিশালের এক ছাত্রের অবিশ্বাস্য আবিষ্কার বাংলা ও ইংরেজীতে কথাবলা ‘রোবট’ আবিষ্কার করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্র। বাড়িতে, বহুতল ভবনে অথবা কলকারখানা সহ যেকোন স্থানে আগুন লাগলে সয়ংক্রিয়ভাবে নিকটস্থ ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ পাঠানোর কাজে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে এ ‘“রোবট’”।

৮০ . সিলেট - দেশের প্রথম পায়ে হাঁটা ‘“রোবট ‘লি’” আবিষ্কার করলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ তরুণ গবেষক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন “রোবটটি বাংলায় কথা বলার পাশাপাশি মানুষের মতো চলাচল করতে পারে”। এছাড়া হাত ও পা নাড়ানো এবং অঙ্গভঙ্গি করতে পারে “রোবটটি”। গত ২০ এপ্রিল, ২০১৯ খৃঃ রোবটটির উদ্বোধন করা হয়।
৮১ . দেশের প্রথম মেডিকেল রোবোট আবিস্খার করেন, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিটের পাচ শিক্ষার্থি। রোবোটটির নাম মিস্টার ইলেকট্রোমেডিকেল। এটি মানুষের শরিরের তাপমাত্রা, হার্টবিট, অক্সিজেনের পরিমান, ও রক্তচাপ পরিমাপ সহ রোগ নির্নয়ে পটরীক্ষা নিরিক্ষা করতে সক্ষম। (পত্রিকার অংশ সঙযুক্ত)।

৮২ . যশোর - ‘“মোটর সাইকেল ও বাই সাইকেলের পার্টস” উতপাদন করেন “যশোরের ব্যবসায়ি মোঃ ফারুক হোসেন” । তিনি যশোর বি.সি.ক. শিল্প নগরিতে গড়ে তোলেন ‘“মদিনা মেটাল ইন্ডস্ট্রি ”’ ।

৮৩ . চীন জাপানের অনুরূপ খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি করছে বগুড়া, যশোর, ধোলাইপাড়, জিঞ্জিরায় আমাদের দেশের দক্ষ জনশক্তি - তারা রাষ্ট্র ও সরকারের স্বিকৃতি পৃষ্ঠপোষকতা পায় নি, বলে ব্যাপক উৎপাদন ও বাজারজাত করতে পারছেনা । কিংবা বিদেশে রপ্তানি করে কাঙ্খিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনতে পারছে না।

৮৪ . ‘“ধোলাই খালে শিল্প বিপ্লব”’ – এই এলাকার উদ্যোক্তারা “৩৮ হাজার রকমের” যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ তৈরি করছেন”। এখানে উতপাদিত যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ গৃহস্থলি, কৃষি, বৈদ্যুতিক, যানবাহন, খেলনা, চিকিতসা, সিমেন্ট ও কাগজ কারখানার যন্ত্রাংশ, বাইসাইকেল, ফেন্সি লাইট ফিটিংস, নির্মান যন্ত্র, ভোল্টেজ স্টবলাইজার, আযরণ চেইন, কার্বন রড, দেশি বিদেশি বিভিন্ন মডেলের গাড়ির পার্টস, লাইনার, বেয়ারিং, বেকডাম ইঞ্জিন, কার্টিজ সকেট, জগ, জাম্পার, স্প্রিং, হ্যামার, ম্যাকেল জয়েন্ট, বল জয়েন্ট, ট্রাক, লরি, অটোরিকসা, মেডিকেল বেড, ডায়নামো, এ.সি, ফ্রিজ, নিনিয়াম, প্যাড ড্রাম, বেক সিলিন্ডার, বাম্পার ব্রাকেট, পিস্টন, পাম্প সহ নানান যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাবহৃত হোচ্ছে ও বিদেশেও রপ্তানি হোচ্ছে।
পাশাপশি আস্ত গাড়ি, গাড়ির ইঞ্জিন, লঞ্চের ইঞ্জিনও তৈরি হোচ্ছে । মোটর গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, স্যালো পাম্পের ইঞ্জিন ব্যবহার করে টেম্পো, ট্রাক্টর, ইট ভাঙ্গার যন্ত্রসহ পাওয়ার লুমের যন্ত্রও তৈরি হোচ্ছে। শুধু গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরি ও মেরামতই নয়, জাহাজ, পাওয়ার প্লান্ট, জেনারেটরসহ, রেলের ইঞ্জিন ও বগির যন্ত্রাংশও তৈরি করা হয় “‘ধোলাই খালে”’ । “পুরনো গাড়ি বা ইঞ্জিন মেরামত করে একদম নতুন ঝক ঝকে করে দিতে পারে ‘ধোলাই খাল ‘।‘ধোলাই খালের আদলে দেশে “প্রায় ৪০ হাজারের বেশি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা” । এগুলো বছরে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ কোটি টাকার পন্য উতপাদন করে থাকে।
এর মধ্যে বিদেশে রপ্তানি হয় প্রায় শত কোটি টাকার পন্য । দেশে বাজারজাত হওয়া পন্য বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করে । ফলে আমদানির বিকল্প এখন ধোলাই খাল । দেশি বিদেশি যে কোনো মডেলের যে কোনো যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ বা গড়ি দেখালে হুবহু মডেল তৈরি করে দেবে ‘ধোলাই খালের ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানা । যে সব যন্ত্রাংশ মূল কোম্পানি উতপাদন বন্ধ করে দিয়েছে (যেমন: ভক্সওয়াগন গাড়ি) সে সকল পার্টস পাওয়া যাবে ‘ধোলাই খালের ইঞ্জিনিয়ারিং কারখানায়’ ।

৮৫. ক্ষুদ্র হালকা শিল্পে বিপ্লব ঘটছে“ জিনজিরা” শিল্পের : সারা দেশেই নিরবে নিভৃতে ঘটে চলেছে এক অভাবনিয় শিল্প বিপ্লব । ব্যক্তি পর্যায়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের নিজ প্রচেষ্টায় অভাবনিয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সাহায্য পেলে হালকা ও মাঝারি শিল্পের সফলতায় নজিরবিহিন দৃষ্টান্ত গড়ে ওঠার সমুহ সম্ভাবনা আছে “জিনজিরা” । এখানে ক্ষুদ্র ঝুপড়ির বস্তি ঘরে অজস্র কারখানায় ক্ষুদে ইঞ্জিনিয়ারদের হাজারো পন্যের কদর দেশ বিদেশে সর্বত্র । Made in Jinjira হিসেবে দেশ বিদেশে ব্যাপক পরিচিতিও রয়েছে । রাজধানির বুড়িগঙ্গা নদীর তির ঘেসে “জিনজিরা” শুভাড্যা থেকে কেরানিগঞ্জের বিস্তির্ণ এলাকা জুড়ে “জিনজিরা শিল্পের বিস্তার” । “জিনজিরা” শিল্পের বিস্তার ঘটেছে এখন রাজধানির আনাচে কানাচে দেশজুড়ে । রাজধানির মিরহাজারিবাগ, মাতুয়াইল, ডেমরা, চকবাজার, লালবাগ, ইসলামবাগ, ও মিরপুরে অসংখ্য কারখানা গড়ে উঠেছে “জিনজিরা শিল্পের আদলে” । শুধু ঢাকায় নয়, নারায়নগঞবজ, বগুড়া, চট্টগ্রাম, যশোরের নওয়াপাড়া, টঙ্গি গাজিপুর, পাবনা, নাটোর, রাজশাহি অঞ্চলে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি ইউনিট জিনজিরা শিল্পের ।
৮৬. “বগুড়ায়” কৃষি যন্ত্রাংশের নিরব বিপ্লব : উত্তরাঞ্চলের প্রাণ কেন্দ্র “বগুড়ায়” কৃষি যন্ত্রাংশের উতপাদনের ক্ষেত্রে বি.সি.ক. শিল্প নগরি সহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে সাত শতাধিক কারখানা। “বগুড়ার” কৃষি যন্ত্রাংশ বদলে দেবে দেশের অর্থনিতি : ভিনদেশি পন্যের প্রবেশ, সঠিক তদারকি না হওয়া, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকা, সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ না পাওয়ায় কৃষি শিল্প মালিকদের মধ্যে অনিহার সৃষ্টি হয়েছে । “বগুড়ার” বি.সি.ক. সহ জেলা জুড়ে আনাচে কানাচে গড়ে ওঠা সম্ভাবনাময় শিল্পটি সঠিক তদারকি হলে কয়েক হাজার কোটি টাকার লেনদেনের পাশাপাশি সৃষ্টি হবে লক্ষাধিক বেকারের মানুষের কর্মসংস্থান । “বগুড়ায়” উতপাদিত হাজার হাজার কৃষি পন্য ব্যবহৃত হচ্ছে দেশের কৃষি কাজে । এ ছাড়াও বাসাবাড়ি, বাস-মিনিবাস, ছোটো বড়ো ইন্ডাস্ট্রি ও বিভিন্ন উতপাদনমুলক কলকারখানায় ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রাংশ তৈরি হয় “বগুড়ায়”। স্যালো ইঞ্জিনের সেচ পাম্প, লায়নার, পিস্টন, হস্ত চালিত টিউবওয়েল, পাওয়ার টিলারের যন্ত্রাংশ, লেদ মেশিন, গাড়ির ব্রেক ড্রাম, করাতকল, ফ্লাওয়ার মিল, টেক্সটাইল মিল, অয়েল মিল, ধান কাটার মেশিনসহ নানান মেশিনের যন্ত্রাংশ । এ সব যন্ত্রাংশের উপর দেশের মানুষের নির্ভরতা বাড়ছে । এ শিলে্পর বড়ো সমস্যা ভিন দেশি পন্য আমদানি ও কাচা মালের বাজারের অস্থিরতা। এ দুটি সমস্যার সমাধান হলে এ জেলার উতপাদন দ্বিগুন হোতো। ১৯৮০ খৃস্টাব্দে বি.সি.ক. এর প্লট শেষ হয়ে গেলে ফুলবাড়ি, গোহাইল রোড, রেলওয়ে মার্কেট, শাপলা মার্কেট, কাটনারপাড়া, চারমাথা, এ জাতিয় কারখানা গড়ে ওঠে। দেশের কৃষি যন্ত্রাংশের মোট চাহিদার ৮০% শতাংশ মিটিয়ে থাকে বগুড়ার ফাউন্ড্রি শিল্প। সঠিক তদারকি হলে কমপক্ষে এক লাখ বেকারের কর্মসংস্থান হবে।
৮৭. ফরিদপুরের সাইফুলের নতুন আবিষ্কার! সাইকেল চালিয়ে পদ্মা পাড়ি। এই অবিস্কার হার মানিয়েছে বিজ্ঞানীদের।

৮৮. কুমিল্লা - করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে বাংলাদেশে প্রথম ভেন্টিলেটর (কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস মেশিন) তৈরি করেছেন কুমিল্লার সন্তান ডা. কাজী সিফায়েত ইনাম স্বাক্ষর ও ইঞ্জিনিয়ার বায়েজীদ শুভ । দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ভেন্টিলেটরের নাম দেয়া হয়েছে ‘স্পন্দন’। তাদের এই আবিষ্কার ক’রোনাভাইরাসে আ’ক্রান্ত রোগীদের জী’বন বাঁ’চাতে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী চিকিৎসকরা।

৮৯ . করোনা ভাইরাসের এই দুঃসময়ে বাংলাদেশে ভেন্টিলেটর তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে ওয়ালটন । তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে আমেরিকান কোম্পানি মেডট্রনিক। কিন্তু কেন আমেরিকান কোম্পানি এই গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি দিয়ে ওয়ালটনকে সহযোগিতা করবে ? সেখানে উঠে এসেছে এক বাঙালির অবদানের কথা। তিনি হলে বিশ্বের এক নম্বর মেডিকেল ইকুইপমেন্ট নির্মাতা কোম্পানি Medtronic এর CEO ওমর ইসরাক। এরকম একটি কোম্পানির CEO ওমর ইসরাক ঢাকায় জন্মগ্রহন করা এবং সেন্ট জোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পড়া একজন গর্বিত বাঙ্গালী। তার আরেকটি পরিচয় আছে। Intel-কে চেনেনা এমন কোন মানুষ নেই। ওমর ইসরাক এই Intel কোম্পানির চেয়ারম্যান। কোভিট-১৯ এর এই দুর্যোগে ইসরাক Medtronic কোম্পানির তৈরি করা PB-560 ভেন্টিলেটর এর স্বত্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। যে কেউ চাইলে এখন থেকে ডিজাইন এবং স্পেসিফিকেশন নিয়ে এটি তৈরি করতে পারবে। ওয়ালটনের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে Medtronic।

৯০ . করোনা ভাইরাস (কভিক-১৯) পরীক্ষার কিট আবিষ্কার করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা: বিজন কুমার শিল। ২০০৩ খৃস্টাব্দে সার্স ভাইরাস ডায়াগোনসিস কিটউতপাদনের কাজ করেছেন ডা: বিজন কুমার শিল।

৯১ . চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া। মাত্র তিন ঘণ্টায় ৯৬ জন করোনা রোগী পরীক্ষা করা যাবে । রিয়েল-টাইম পলিমারেজ চেইন অ্যাকশন (আর.টি-পি.সি. আর) মেশিনে এ পরীক্ষার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমনই এক স্ট্যাটাস দিয়ে আলোচনায় এখন তিনি।

৯২ . করোনা চিকিৎসায় সাশ্রয়ি মূল্যের ভেন্টিলেটর তৈরি ঢাকা কলেজ ছাত্রের । করোনা রোগীর চিকিৎসায় ভেন্টিলেটর খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। একটি ভেন্টিলেটর মাত্র ৳ ৭,০০০.০০ (সাত হাজার) টাকা খরচে তৈরি করা সম্ভব বলে জানালেন ঢাকা কলেজের এই শিক্ষার্থী। সাশ্রয়ী মূল্যের ভেন্টিলেটর তৈরি করলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ঢাকা কলেজ বিজ্ঞান ক্লাবের সদস্য সানি জুবায়ের।
৯৩ . দেশের বস্ত্র খাতের একটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক কাপড় তৈরি করেছে। এই কাপড় তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ । ফলে ওই কাপড়ে করোনা ভাইরাস সহ অন্য কোনো ভাইরাস টিকতে পারবে না । যদি কোনো ভাবে কোনো ভাইরাস ওই কাপড়ে লাগে, মাত্র ১২০ সেকেন্ডে ওই কাপড় ৯৯.৯ শতাংশ ভাইরাস মুক্ত হবে । গতকাল মঙ্গলবার (১২-০৫-২০২০ খৃঃ) প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য জানায়। তারা আরো জানায়, বস্ত্র খাতে প্রতিযোগি দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম এই কাপড় উদ্ভাবিত হয়েছে । অদূর ভবিষ্যতে অন্য দেশগুলোও এই কাপড় তৈরিতে এগিয়ে আসবে বলে তারা আশাবাদি । এই কাপড় আন্তর্জাতিকভাবে মান সনদের স্বীকৃতি পেয়েছে। আইএসও ১৮১৮৪-এর অধীনে এটি পরীক্ষা করা হয়েছে। কাপড় তৈরির মূল উপাদানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিষাক্ত পদার্থ নিয়ন্ত্রণ আইন ও পরিবেশগত সুরক্ষা সংস্থায় নিবন্ধিত। ভাইরাস রোধে এ কাপড় প্রায় শতভাগ নিরাপত্তা দিলেও ২০ বার ধোয়ার পর এর কার্যকারিতা কতখানি থাকবে, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। তার পরও এই কাপড় নেওয়ার ব্যাপারে ইউরোপ-আমেরিকার ক্রেতাদের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে ।
৯৪ . বাংলাদেশের কৃতি সন্তান প্রখ্যাত অণুজিব বিজ্ঞানি ড. সমীর কুমার সাহা ও তার মেয়ে ড. সেজুঁতি সাহাকে নিয়ে । করোনা ভাইরাস কি ভাবে “জিন পরিবর্তন” করে তা তারা আবিষ্কার করেছেন। আমরা সবাই জানি- করোনা ভাইরাস তার “জিন পাল্টায়” এবং এ পর্যন্ত ৯ বার “জিন পাল্টেছে” এমনটা দাবি বিজ্ঞানিদের । এই “জিন পরিবর্তনের” ফলে গবেষকরা হিমশিম খাচ্ছে ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করতে । করোনা কিভাবে “জিন পাল্টায়” ?, কি ধরণ ?, বাংলাদেশের করোনা ভাইরাসের “জিনোম সিকোয়েন্স” (জিন রহস্য) আবিষ্কার করেছে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান । বিজ্ঞানি ড. সমীর কুমার সাহা ও তার মেয়ে ড. সেজুঁতি এই “জিন রহস্য” আবিষ্কারের গবেষণায় নেতৃত্ব দেন।
৯৫ . টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার কালিহাতি কলেজের দ্বাদশ শ্রেনির ছাত্র কিশোর আল-আমিন একটি অ্যপস তৈরি করেছেন – যাতে ১০ টাকা কেজি ও.এম.এস. চাল বিক্রিতে ‘করোনা স্বাস্থ্য বিধি’ মেনে চাল বিক্রেতা ও ক্রেতা নিরাপদ থাকে - সে বিষয় নিশ্চিত করে চাল দেয়া ও নেয়া সম্ভব -
৯৬ . খুলনা - ফিঙারপ্রিন্ট : এই যে আঙুলের ছাপ দিয়েই খুলে যাচ্ছে মোবাইলের লক, গেটের তালা, অফিসের উপস্থিতি, ফিঙারপ্রিন্ট নিয়েই যাচাই করা যাচ্ছে কে অপরাধি, এই ফিঙারপ্রিন্ট ডিটেকশান সিস্টেম প্রথম কে আবিষ্কার করেছিল জানেন ? তিনি ছিলেন একজন বাঙালি, নাম খান বাহাদুর কাজি আজিজুল হক । বাড়ি খুলনা জেলার কসবার পায়গ্রামে।কাজ করতেন তৎকালিন বেঙল পুলিশে । ফিঙারপ্রিন্ট নিয়ে অনেকেই আগে কাজ করেছেন - কিন্তু এর প্র‍্যাকটিক্যাল ইউজ কি ? কি ভাবে যাচাই করা যায় ? কি ভাবে ফিঙারপ্রিন্ট দিয়ে আলাদা করা যায় মানুষকে ? সেটা প্রথম আবিষ্কার করেন আমাদের দেশের কাজি আজিজুল হক । ব্রিটিশ আমলে বেঙল পুলিশের আইজি ছিলেন এডওয়ার্ড রিচার্ড হেনরি। তিনি ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে গবেষণার জন্য নিয়োগ করেন দুই বাঙালি প্রতিভাকে, একজন গণিতবিদ কাজি আজিজুল হক, আরেকজন হেম চন্দ্র বোস। কাজি আজিজুল হক ও হেমচন্দ্র বোস ৭০০০ ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর এক বিশাল সংগ্রহ গড়ে তোলেন । অনেক পরিশ্রম করে একটা গাণিতিক সূত্র দাড়া করলেন, যেটা দিয়ে ফিঙারপ্রিন্ট যাচাই এর মাধ্যমে মানুষ সনাক্ত করা যায়। আধুনিক বিজ্ঞানের এক বিশাল বড় আবিষ্কার । এই পদ্ধতির নাম হওয়া উচিত ছিল "বোস-হক আইডেন্টিফিকেশান সিস্টেম"। কিন্তু ওখান থেকেই ইংরেজদের বেঈমানি শুরু । পুলিশের আইজি হেনরি সাহেব এবার সবার কাছে প্রচার করা শুরু করলেন যে এই ফিঙারপ্রিন্ট ডিটেকশন সিস্টেম আবিষ্কার করেছেন উনি নিজেই । এমন কি কাজি আজিজুল হক-কে কোন রকম স্বিকৃতি দিতেই অস্বিকার করলেন। তিনি চুপি চুপি একটা পেপার পাবলিশ করেও ফেললেন নিজের নামে ।ব্যাস, বাংলাদেশের কাজি আজিজুল হক আবিষ্কৃত সিস্টেম এর নাম হয়ে গেল "হেনরী ক্লাসিফিকেশন সিস্টেম" - "হেনরি ক্লাসিফিকেশন সিস্টেম " এখন জগৎ বিখ্যাত, মোবাইলের টাচে, অফিসে, অপরাধি সনাক্তকরণে বলতে গেলে যত্ত জায়গায় ফিঙারপ্রিন্ট ব্যবহৃত হচ্ছে, ততো জায়গায় এই হেনরি ক্লাসিফিকেশন সিস্টেম-ই ব্যবহার করা হচ্ছে । কাজ করে গেলো আমার দেশের সূর্য্য সন্তান, কিন্তু নাম হচ্ছে এক বেঈমান ব্রিটিশ এর। যদিও কিছুদিন আগে ব্রিটেনের "দ্যা ফিঙারপ্রিন্ট সোসাইটি" চালু করেছে "The Fingerprint society Azizul Huque & Hemchandra Bose prize"। ওদিকে যে সিস্টেমের নাম হতে পারত "হোক-বোস সিস্টেম " তা আজ-ও "হেনরি ক্লাসিফিকেশন সিস্টেম"-ই রয়ে গেছে।আর অজানায় থেকে গেছেন আমাদের কাজি আজিজুল হক।
৯৭. বিশ্ববিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনে ৩০ বছরের কম বয়সি ৩০ সেরা বিজ্ঞানির তালিকায় নাম রয়েছে বাংলাদেশি যুবক জি. এম. মাহমুদ আরিফ পাভেলের নাম। তিনি মানব শরিরের আয়োন চ্যানেল নিয়ে গবেষণা করছেন। এই চ্যানেলকে ফান্ডমেন্টাল সেন্সর্স অব লাইফ অভিহিত করে তা অ্যানেসথেশিয়াসহ অটোসমাল পলিসিসটিক কিডনি রোগের চিকিতসায় নব দিগন্ত সুচনা ঘটাতে পারে বলে মনে করেন। জি. এম. মাহমুদ আরিফ পাভেল ।
৯৮. দেশের সকল সরকারি অফিসের, সকল অকেজো গাড়ি, সচল করে বিক্রি করা হবে – কিংবা উবার, পাঠাও, সহজ কে ভাড়ায় দেয়া হবে- সাপ্তাহিক ও মাসিক আয় হবে – বি. আর. টি. সি’র সকল অকেজো গাড়ি সচল করে সড়কে চালানো হবে -প্রয়োজনে সাপ্তাহিক বা মাসিক ভাড়ায় ব্যক্তিদের কাছে ভাড়া দেয়া হবে –

৯৯. রংপুরের সেলিমের ০২ (দুই) সিটের ফ্যামিলি ‘কার’ তৈরি করেছেন। রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুষ্করিনি ইউনিয়নের যুবক সেলিম মিয়ার ব্যটারি চালিত শব্দ ও ধোয়া বিহিন পরিবেশ বান্ধব ফেমিলি কারে চাকার সঙ্গে একটি পেনিয়াম লাগিয়ে চালালে অটো চার্জ হবে। কিংবা বিদ্যুত দিয়ে চার্জ দেয়া যাবে। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তার উদ্ভাবিত ০২ (দুই) সিটের ফ্যামিলি ‘কার’ একটি জনপ্রিয় বাহন হতে পারে। ঘন্টায় ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। এটি তৈরি করতে মাত্র দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
১০০. গৃহস্থালি বর্জ্য থেকে জ্বলানি তেল, গ্যাস, জাবালানি তেল, পেট্রোলিয়াম গ্যাস, অ্যাক্টিভেটেড কার্বন, বায়োফুয়েল, ড্রাই আইচ, দানাদার ও তরল জৈব সার সহ নানান রাসায়নিক পন্য উৎপাদন করেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই তরুণ গবেষক এইচ এম রঞ্জু ও পিযুষ দত্ত । এরা নিজস্ব ও একটি বেসরকারি পতিষ্ঠানের অর্থায়নে রাজধানির মাতুয়াইলের তুষারধারায় পরিক্ষামুলক প্লান্ট স্থাপন করেছেন। এক কে জি জৈব বর্য্যর পচনশিল অংশ থেকে ৮ ভাগ বায়োফুয়েল, ৭ ভাগ ড্রাই আইচ, ২৪ ভাগ জৈব সার উৎপাদন সম্ভব। এক কেজি প্লাস্টিক থেকে ৭০০ গ্রাম জ্বালানি তেল, ১০০ গ্রাম পেট্রোলিয়াম গ্যাস ও ২০০ গ্রাম অ্যাক্টিভেটেড কার্বন, উতপাদন করা হয়।
১০১ . ‘অক্সিজেট’ নামে একটি ‘সিপ্যাপ ভেন্টিলেটর’ তৈরি করেছে বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এটি বিদ্যুৎ ছাড়াই অক্সিজেন সিলিন্ডার বা মেডিকেল অক্সিজেন লাইনের সঙ্গে যুক্ত করে ‘করোনা’ আক্রান্ত রোগিকে উচ্চ গতির অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে।
১০২. পানি বা কোমল পানির প্লাস্টিকের খালি বোতল দ্বারা থৈরি হোচ্ছে সুতা, ক্পড়, কম্বলসহ নানা গৃহস্থলি পন্য। দেশে প্রতি বছর প্রায় ০২ (দুই) লাখ মেট্রিক টন পেট বোতল (স্ক্রাপ) চাহিদা তৈরি হয়েছে। পরিবেশ দুষণ কমাতে বিশ্বের অনেক দেশ বর্জ্য ব্যবহার করে রিসাইকেলিং শিল্পে নতুন নতুন পন্য তৈরি করছে ।সম্প্রতি বাংলাদেশের এ ধরনের কিছু শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। চিন দেশের সহায়তায় সাভারের ধামরাইয়ে এমন একটি কারখানা গড়ে উঠেছে যারা পেট বোতল স্ত্রাপ থেকে তুলা উৎপাদন করে রপ্তানি করছে। আরো কিছু কারখানা প্লাস্টিকের স্ক্রাপ ব্যবহার করে পলিয়েস্টার সুতা, সিনথেটিক কাপড়, কম্বল তৈরি করছে। এ সব শিল্পে কাচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হোচেআছ পেট বোতল স্ত্রাপ ।
১০৩. করোনারোধি স্প্রে আবিষ্কার করেছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত বৃটিশ বিজ্ঞানি সাদিয়া– করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারে এমন একটি জিবানুনাশক স্প্রে আবিষ্কার করেছেন তরুণ বৃটিশ বিজ্ঞানি ২৬ বছর বয়সি সাদিয়া খানম। এই জিবানুনাশক কোনো বস্তুর উপর স্প্রে করলে দুই সপ্তাহের জন্যে জিবানুমুক্ত থাকবে। বৃটেনের স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা এন এইচ এসসহ নবিভিন্ন কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এটিকে অনুমোদন দিয়েছে।
১০৪. কৃষকের সময় ও খরচ বাঁচাতে ধান কাটা ও ধান মাড়াইয়ের পরে বস্তা ভরার জন্যে অত্যাধুনিক হারভেস্টার মেশিন আবিষ্কার করেছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের পল্লি চিকিৎসক জনাব আনোয়ার হোসেন। তিনি নিজের প্রচেষ্টায় দেশিয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে একের পর এক সাশ্রয়ি বিভিন্ন কৃষি যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন। এক একর জমির ধান কাটা ও মাড়াই করে বস্তা ভরে নির্দিষ্ট স্থানে নিতে খরচ হয় ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা। সরকার এ মেশিনটির পৃষ্ঠপোষকতা করলে বিদেশ থেকে আমদানি করে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় রোধ পাবে বলে মনে করেন।
১০৫. রাজশাহি সিটি কর্পোরেশন তার নাগরিকদের অনলাইন সেবা দিতে চালু করেছেন ‘অ্যাপস’। স্মার্ট রাজশাহি’ নামে এই অ্যাপস’থেকে পাওয়া যাবে ২৪ ধরনের সেবা।
১০৬. বাংলাদেশের প্রযুক্তি উদ্যোগ প্রতিষ্ঠান ক্রাক্স (CRUX) এর গবেষকরা দেশেপ্রথমবারের মতো তৈরি করেন একটি উন্নত প্রযুক্তির মেডিকেল ভেন্টিলেটর। যা স্বল্প খরচে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ি ও সহজে বহনযোগ্য। সৈয়দ রাজওয়ানুল হক নাবিল, এ কে এম মারুফ হোসেন রাহাত, শোভন সুদান সাহা, মো. হাসানুর রহমান সোহাগ, ফজলে রাব্বি শফি, ও সত্য রঞ্জন সরকার এই আবিষ্কার দলের সদস্য । ক্রাক্স (CRUX) এর প্রতিষ্ঠাতা নাবিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য উদ্ভাবনি উদ্যোগ ও দেশের প্রথম ‘ড্রোন’ প্রকল্পের টিম লিডার হিসেবে পরিচিত।
১০৭. বগুড়ারর সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের পদ্মপাড়া গ্রামের কলেজ ছাত্র আব্দুর রহমান রিশান তৈরি করেছেন প্রাইভেট কার । আব্দুর রহমান রিশানের বাবার নাম ইউনুস আলি ও মা’র নাম ফরিদা বেগম। সৈয়দ আহম্মদ কলেজের বি.এম. শাখার দ্বিতিয় বর্ষের ছাত্র সে । দীর্ঘ ১৮ মাস চেষ্টা চালিয়ে তৈরি করেছেন এই গাড়িটি। এতে তার খরচ হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
১০৮. চট্টগ্রামের হাটহাজারি উপজেলার জোবরা গ্রামের তরুণ জয় বড়ুয়া লাভলু আবিষ্কার করেন জন্ম প্রতিবন্ধি মানুষের জন্যে প্লাস্টিক ও সিলিকনের তৈরি কৃত্রিম হাত । কৃত্রিম হাতটি বিভিন্ন নার্ভের সাথে যুক্ত করে দিলেই কাজ করে সাভাবিক হাতের মতো । ভয়েস কন্ট্রোলিং, লেগ কন্ট্রোলিং, অটো টাচ কন্ট্রোলিং, ই এম জি কন্ট্রোলিং, পদ্ধতিতে কাজ করে এই কৃত্রিম হাত । এই কৃত্রিম হাত তৈরিতে খরচ হয় ৩০ হাজার থেকে ০১ লাখ টাকা । তরুণ জয় বড়ুয়া লাভলু বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলেই কৃত্রিম হাতে বিশ্ব জয় করবে বাংলাদেশ । প্রতিবন্ধি জিবন থেকে মুক্ত হবে লাখো মানুষ ।
১০৯. চট্টগ্রামের অমিত দাস আবিষ্কার করেন পরিবেশ বান্ধব ইলেকট্রিক বাইক বা ই-বাইক । যার নাম দিয়েছেন ‘আলট্রন ওয়ান’ । একবার চার্জ দিতে খরচ মাত্র ৮ – ১০ টাকা ।যা দিয়ে চলবে ৬০ কিলোমিটার । এটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৪০ – ৪৫ হাজার টাকা । সরকারি কিংবা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে ই-বাইক ‘আলট্রন ওয়ান’। বাগেরহাট শহরের দাসপাড়া এলাকার মৃত অমল দাসের একমাত্র ছেলে অমিত দাস । গত কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর শ্যামলী আবাসিক এলাকায় থাকেন । বেসরকারি একটি জাহাজ কোম্পানিতে কাজ করেন ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ।
১১০. লালমনিরহাটে কালিগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের মানিক বাজার এলাকার নজু মিয়ার ছেলে আহসান হাবিব আবিষ্কার করেছেন রোবোট । যেটি কাজ করবে রেস্টুরেন্টে । ভারি যিনিষ বহণ করতে পারবে । মাননিয় প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা ও অনেক এম. পি. মন্ত্রির নাম বরতে পারে । টাকার অভাবে আহসান হাবিব রোবোটের কাজ সম্পন্ন করে উন্মুক্ত করতে পারছেনা । মাননিয় প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা ও স্থানিয় সাংসদসহ দেশবাসির কাছে সাহায্য চেয়েছেন। সরকারি কিংবা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে এই রোবোট ।
১১১. বরিশালের ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজ (ইউ জি ভি) সি.এস.ই ও ই.ই.সি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থিরা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে স্মরণিয় করে রাখতে আবিষ্কার করেছেন ‘‘রোবোট পদ্মা” ।
১১২. বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার মোসলে উদ্দিন সাহান – নবায়ণযোগ্য স্মার্ট সোলার হাইওয়ে ও পাওয়ার প্লান্ট পদ্ধতিতে সূর্যের আলোর মাধ্যমে দুই কিলোমিটার হাইওয়ে থেকে তিনটি উপায়ে সোলার বিদ্যৎ উৎপাদন সম্ভব – সূর্যের আলোর মাধ্যমে ০২ (দুই) কিলোমিটার হাইওয়ে থেকে ৬,৭০০ (ছয় হাজার সাত শত) মেগাওয়াট ও ১,৫০০ (এক হাজার পাচ শত) মেগাওয়য়াট সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব – কয়লা পিচ ও বিটুমিন দিয়ে ০১ (অ্যাক) কিলোমিটার সড়ক তৈরিতে খরচ হয় ০৬ (ছয়) কোটি টাকা – মোসলে উদ্দিন সাহান আবিস্কৃত পদ্ধতিতে খরচ হবে ০৪ (চার) কোটি টাকা- স্থায়িত্ব মিলবে ৪০ (চল্লিশ) থেকে ৫০ (পঞ্চাশ) বছর –
এমনি নিত্য নতুন ৪৫ (পয়তাল্লিশ) হাজারের অধিক আবিষ্কারে বাংলাদেশের সন্তানেরা বিশ্বে ও দেশে নন্দিত - কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা, অধিকতর উন্নত গবেষণার ব্যবস্থা করা ও আন্তরিকতার অভাবে (দয়ার অভাবে) তা অংকুরেই মরে যাচ্ছে অনেক । কিংবা বিদেশ কিনে নিচ্ছে বলে দেশে ব্যাপক উতপাদন, বিপনন, বাজারজাতকরণ ও বিদেশে রপ্তানি করতে পারেনি ।

আমার দেশের মেধাবি সন্তানদের ৪৫ (পয়তাল্লিশ) হাজারের অধিক বিশ্বমানের আবিষ্কার সমুহ ব্যাপক উতপাদন, বিপনন, বাজারজাতকরণ ও বিদেশে রপ্তানির জন্যে রাষ্ট্রিয় স্বিকৃতি ও পৃষ্ঠপোষকতা একান্ত জরুরি । অধিকতর উন্নত গবেষণার ব্যবস্থা করাও আবশ্যক । প্রয়োজনে, বিনা সুদে ব্যাংক ঋণ বা সামান্য সুদে (নাম মাত্র সুদে) ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করলেও এসব আবিষ্কারকদের উতসাহ বা প্রেরণা বা প্রনোদনা দেয়া যেতে পারে । ব্যাপক উতপাদনের, বিপনণের ও বাজারজাতকরণের এবং বিদেশে রপ্তানির জন্যে গণভবণে মাননিয় প্রধানমন্ত্রির একান্ত সান্নিধ্যে, কঠোর নির্দেশনায় ও নিবিড় তত্ত্বাবধানে একটি “গবেষণা কর্মসুচি” (Research Program) গ্রহণ একান্ত জরুরি বলে প্রতিয়মান । যে খাত থেকে মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আসবে দেশে । লাখ লাখ বেকার মানুষের কর্মসংস্থান হবে দেশের । ‘মুজিব শতবর্ষ’ ও ‘স্বাধিনতার পঞ্চাশ বর্ষ’ সামনে রেখে এ বিষয়ে একটি “গবেষণা কর্মসুচি” (Research Program) গ্রহণের মাননিয় প্রধানমন্ত্রির বরাবরে বিনত আবেদন জানাচ্ছি ।
বিশ্বমানের আবিষ্কার : গবেষণা কর্মসুচি (বিআগক) । Global Standard Invention : Research Program (GSIRP). এই গবেষণা কর্মসুচির অভিষ্ট লক্ষ্য (Ultimate Goal) হবে দেশের মেধাবি সন্তানদের ৪৫ (পয়তাল্লিশ) হাজারের অধিক বিশ্বমানের আবিষ্কারসমুহকে নিয়ে পানগাও বন্দর (Pangaon Port) সংলগ্ন কোনো স্থানে একটি শিল্প পল্লি/শিল্প নগরি/শিল্পাঞ্চল (Industrial Village/Industrial Town/Industrial Area) কিংবা EPZ (Export Prpmotion Zone) গড়ে তোলা । এ কাজে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করছি -
বিষয় : ‘মুজিব শতবর্ষ ও ‘স্বাধিনতার ৫০ (পঞ্চাশ) বর্ষপুর্তিতে’ বাঙালি সন্তানদের ৪৫ (পয়তাল্লিশ) হাজারের অধিক ‘বিশ্বমানের আবিষ্কারের’ (Global Standard Invention) রাষ্ট্রিয় স্বিকৃতি ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান, অধিকতর উন্নত গবেষণার ব্যাবস্থা করা | ব্যাপক উতপাদন, বিপনন ও বাজারজাত করণ এবং বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ও লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের জন্যে ‘গণভবনে’ মাননিয় প্রধানমন্ত্রির একান্ত সান্নিধ্য ও নির্দেশনায় এবং নিবিড় তত্ত্বাবধানে একটি “গবেষণা কর্মসুচি” (Research Program) গ্রহণের আবেদন ।







সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৪
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×