ইন্দ্রিয়গণ দেহাদি অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ, কারণ শব বা মৃত দেহে ইন্দ্রিয়হীন অবস্থায় দেহের কোন ক্ষমতাই থাকে না। এ কারণে দেহ অপেক্ষা ইন্দ্রিয় শ্রেষ্ঠ। ইন্দ্রিয় সকল অপেক্ষা মন শ্রেষ্ঠ, কারণ ইন্দ্রিয় সকলের কার্য সমূহ মনের দ্বারা অনুভূত হয়ে থাকে। অর্থাৎ মনঃ সংযোগের সাথে ইন্দ্রিয় সমূহের কার্য সকল সম্পাদন হয়ে থাকে।
আবার মন অপেক্ষা বুদ্ধি শ্রেষ্ঠ, কারণ মনের দ্বারা অনুভব হলেও বুদ্ধি দ্বারা ভাল-মন্দ বিচার হয়ে থাকে। মন ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য কোন বিষয় অনুভব করলে তার ভাল মন্দ বিচার করার কোন শক্তি তার নেই; বিচার করার কাজটি বুদ্ধি দ্বারা সম্পাদন হয়ে থাকে। এই কারণে মন অপেক্ষা বুদ্ধি শ্রেষ্ঠ।
আর এই বুদ্ধি অপেক্ষা যিনি শ্রেষ্ঠ তিনি সেই প্রাণ বা আত্মা। কারণ সেই প্রানরুপী আত্মা যতক্ষণ দেহে আছেন, ততক্ষণই মন, বুদ্ধি ও ইন্দ্রিয় সমূহ সকল কার্য সম্পাদন করতে পারছে। সেই প্রাণ বা আত্মা দেহ ত্যাগ করে অন্তর্হিত হলে দেহ তখন শবে বা মরায় পরিণত হয়। তখন মন, বুদ্ধি, ইন্দ্রিয় সকলেই অকর্ম্মণ্য হয়ে পড়ে।
প্রাণরুপী আত্মা হতে মন ও প্রভূতির উৎপত্তি। স্থির প্রাণ রুপ আত্মা স্থান ভ্রষ্ঠ হয়ে মন উপাধি ধারণ করেছে। স্থির প্রাণের চঞ্চল গতিরুপ চঞ্চল প্রাণ হতে মন উপাধির উৎপত্তি। (চলবে)