নিজেকে বুঝতে হলে জানতে হবে-
এটি একটি লালন শাহ্ এর গানের লাইন---
“আট কুঠুরী, নয় দরজা আটা, মধ্যে মধ্যে ঝরকা কাঁটা।
তার উপরে সদর কোঠা আয়না মহল তায়ে।”
তাৎপর্য--মানবদেহে আটটি কুঠুরী আছে- কুঠুরী গুলো হচ্ছে- চোখ হতে নাক পর্যন্ত 02 টি কুঠুরী, + কান হতে মুখ পর্যন্ত 02 কুঠুরী, + কন্ঠ হতে নাভি মূল পর্যন্ত 02 কুঠুরী, + লিঙ্গমূল 01 কুঠুরী, + গুহ্যমূল 01 কুঠুরী= এই হচ্ছে আট কুঠুরী।
এবার বলি 09 দরজার কথা- 02 টি চোখ 02 দরজা+ 02টি নাক 02 দরজা+ 02টি কান 02 দরজা+মুখ 01 দরজা+লিঙ্গ মূল 01 দরজা+ গুহ্য দ্বার 01 দরজা= 09 দরজা।
এই আট কুঠুরী ও নয় দরজায় 49 বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত ।
নিজেকে বুঝতে হলে জানতে হবে-
এটি একটি লালন শাহ্ এর গানের লাইন---
“ খাঁচার ভিতর অচিন পাখি, পাখি কেমনে আসে যায়।
তারে ধরতে পারলে মন বেড়ি দিতাম পাখির পায়ে।
তাৎপর্য -- দেহ একটি খাচা স্বরুপ। সেই খাচার ভিতর প্রাণ টা হচ্ছে পাখি। সেই প্রাণ পাখি দিনে রাতে 21600 বার খাচার ভিতর শ্বাস-প্রশ্বাস রুপে যাতায়াত করছে। মন অন্ধ, সেই অন্ধ মনকে বলা হচ্ছে- পাখি যে যাতায়াত করছে তোমার মনের সকল প্রবৃত্তি ত্যাগ করে সেই প্রাণ পাখিকে মন দিয়ে বাধো।
লালন শাহ তার গানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আধ্যাত্মিকতার বলার চেষ্টা করেছেন। নিজের আত্ম-উপলব্ধিতে ভরা তার প্রতিটির গানের বানী।
পাদটীকা--কসমিক সেক্সের সাথে আধ্যাত্মিকতার কোন সর্ম্পক নেই।