আধ্যাত্মিকা কি
আধ্যাত্মিকা হচ্ছে আত্মাকে জানা বা নিজেকে জানা। নিজের ভিতর নিজেকে খুজে দেখা। এই বিশ্ব জগতে যা কিছু আছে তার সমস্তই আছে মানব শরীরে। তার সমস্ত কিছু জানা ও উপলব্ধি করাই আধ্যাত্মিকা। মানুষের জন্ম, মৃত্যু,কর্ম, অদৃষ্ট, সবকিছুই এর আওতাভুক্ত। জন্ম মৃত্যুর পরিক্রমা অতিক্রম করার যে জ্ঞান সেটাও আধ্যাত্মিকা।এক কথায় নিজের ভিতর অপার্থিব যে অসীম সত্ত্বা তাকে জানাই আধ্যাত্মিকা।
কসমিক সেক্স এ আধ্যাত্মিকতার যে বক্তব্য চিত্রিত করা হয়েছে, সেই বক্তব্যগুলো সঠিক কিন্তু কর্ম পন্থা সর্ম্পুন ভিন্ন।
সনাতন ধর্মের আধ্যাত্মিক ধর্ম গ্রন্থ শ্রীমদভগবদ গীতা অনুযায়ী আধ্যাত্মিক উপাসনার যে বর্ণনা প্রদান করা হয়েছে তার নাম যোগ। যোগযুক্ত হওয়ার যে কৌশল ও নিজেকে জানার সে সমস্ত উপায় বলা হয়েছে তার সাথে কসমিক সেক্সে বর্ণিত কর্ম পন্থার বিন্দুমাত্র মিল নেই। গীতায় যে কামের কথা বলা হয়েছে তা হচ্ছে বিষয় ভোগের জন্য মানব মনের যে ইচ্ছা তাকেই কাম বলা হয়েছে। কিন্তু কসমিক সেক্সে যে কামের কথা বর্ণনা করা হয়েছে তা ঘৃণ্য।
গীতা অনুযায়ী আধ্যাত্মিকতায় কোন নারী সঙ্গীর কোন আবশ্যকতা নেই। যা কিছু সব বায়ু কেন্দ্রিক, গীতা অনুযায়ী গুহ্যমুলেই আছে কুলকুন্ডলিনী রুপে নারী শক্তি। যা মেরুদন্ড সোজা করে বসে ঈড়া-পিঙ্গলার বায়ুর কাজ করতে করতে জাগ্রত হয়। সে জাগ্রত হলে শরীরে অব্যক্ত শান্তির অনুভব হয়। সাধকের মনে কোন ইচ্ছাভাব থাকে না।
গীতা অনুযায়ী আধ্যাত্মিক সাধনায় মোক্ষ লাভের জন্য কোন কিছুর প্রয়োজন নেই, শুধু মনটা শ্বাসের প্রতি দিতে হয়। সেটা যে কোন অবস্থায় দেওয়া যেতে পারে। আধ্যাত্মিকতার বিশ্বাস হচ্ছে প্রাণই ঈশ্বর। আমি জীবাত্মা, সে পরমাত্মা। জীবাত্মার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে পরমাত্মার সাথে মিলিত হওয়া।সেটা শ্বাস-প্রশ্বাসের গতির দিকে লক্ষ্য করে দীর্ঘদিন প্রাণায়াম করতে করতে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি এত স্থির হয়ে যায় যে, শ্বাস আর বাহিরেই আসবে না।
কসমিক সেক্সে যে কথা গুলো বলা হয়েছে তা ভুল নয়। প্রকৃত উপাসনা করতে গিয়ে যদি নারী সঙ্গের প্রয়োজন পড়ত তবে শরীর যখন অর্থব হবে তখন কিভাবে আধ্যাত্মিক সাধনা করা যেতো? আধ্যাত্মিক সাধনার বিকৃত রুপটি কসমিক সেক্সে চিত্রিত করা হয়েছে।
কাপালিক যারা তন্ত্র সাধনা করে..অর্থাৎ ভুত প্রেত ও অপশক্তির উপাসনা করে তারা এই পদ্ধতি কাম আসক্ত ব্যক্তিদের মাঝে ধর্মের নামে এটা প্রচার করে।এটা করতে গিয়ে তারা এতটাই কামুক হয়ে পড়ে যে, তাদের ধ্যান জ্ঞান কামে নিবিষ্ট হয়ে যায়। ফলে তারা প্রকৃত সত্য হতে বিচ্যুত হয়ে যায়।
ধর্মের বানী ও কর্ম পন্থায় কোন গোপনীয়তা নেই। থাকতে নেই, থাকতে পারে না। কসমিক সেক্সে যা দেখানো হয়েছে তা সার্বজনীন হতে পারে কখনও? কখনও হতে পারে না। যারা এই সাধনা করে তারা মল মুত্র রজঃ বীর্য ও রেতঃ পান করে ও খায়। কি ঘৃণ্য একটি বিষয় ভাবলেই গা ঘিনঘিন করে।আজন্ম মানুষের সেক্সের প্রতি চরম দুর্বলতা সে দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে এরকম একটি ঘৃণ্য বিষয় মুক্তির উপায় হিসাবে অজ্ঞ মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।