somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নীরবতার শক্তি

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গতকাল (মঙ্গলবার) বিকাল চারটা থেকে তিন মিনিটের জন্য নীরবতা কর্মসূচীর খবর পেয়েছিলাম আগর রাতেই। ফোনে এ নিয়ে কলিগদের সাথে অনেক আলোচনা ও হলো। সকালে অফিসে এসে রীতিমত কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম, মাঝে মধ্যে কলিগদের সাথে টুক টাক আলোচনা যেখানে শাহবাগ এর পরিস্থিতিই ছিল মূল আলোচ্য, এরই মধ্যে এক কলিগ কারওয়ান বাজার থেকে শিবিরের তান্ডবের খবর দিলো, সেই সাথে জানালো পুলিশেল একশানের কথা, অন্য এক কলিগ মতিঝিল থেকে প্রায় একই রকম খবর দিল।

তখন আমাদের একটাই মন্তব্য "শাহবাগের ছোয়া লেগেছে পুলিশ প্রশাসনেও" তাইত তারা এবার আর মার খাচ্ছে না বরং প্রতিরোধ করছে।

বিকাল ৩:১৫ মিনিট, বস সবাইকে কনফারেন্স রুমে ডাকলেন, সংক্ষিপ্তভাবে বিকাল ৪ টার নীরবতা কর্মসূচীর পটভূমি সম্পর্কে বললেন এবং সবাইকে অনুরোধ করলেন কর্মসূচী সফল করার জন্য।

আমাদের তো তখন পোয়াবারো, অফিসে কর্মসূচী পালনে স্বতস্ফূর্ততা পেয়েছি।

৩:৪৫ মিনিটে সবাই ৭ তলা থেকে নেমে এলাম রাস্তায়, আমরা ৩০/৩৫ জন, আমাদের দেখা দেখি আশপাশের অন্য অফিসের অনেকেই চলে এলো রাস্তায়, কিছুক্ষনের মধ্যে অনেকেই থেকে সবাই হতে সময় লাগল না।

চারটা বাজতেই সবাই নীরব হয়ে গেলো, রাস্তায় চলমান রিক্সাগুলির প্যাডেল থেমে গেল, ইঞ্জিন বন্ধ হলো যান্ত্রিক জানের। যেন থমকে গেলো জনজীবন।

মাত্র তিন মিনিটের জন্য নীরবতা, কিন্তু বাঙ্গালী এই তিন মিনিটেই বিশ্বকে জানিয়ে দিল নীরবতা ও হতে পারে প্রতিবাদের ভাষা এবং শুধু ভাষা নয় তীব্র প্রতিবাদের ভাষা।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড্রাকুলা

লিখেছেন সুদীপ কুমার, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

কোন একদিন তাদের মুখোশ খুলে যায়
বেরিয়ে আসে দানবীয় কপোট মুখায়ব।

অতীতে তারা ছিল আমাদের স্বপ্ন পুরুষ
তাদের দেশ ছিল স্বপ্নের দেশ।
তাদেরকে দেখলেই আমরা ভক্তিতে নুয়ে পড়তাম
ঠিক যেন তাদের চাকর,
অবশ্য আমাদের মেরুদন্ড তখনও... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×