অন্ধকার
১.
মোমটা খুঁজে পাচ্ছিনা, আলোটা-
অথচ অন্ধকার একদম স্পষ্ট সহায়কহীন
আলো তো নকল, মেকী- চতুর্ভূজের ভীড়
আর প্রকৃত কথার মতো অন্ধকারই মৌলিক
অন্ধকারে আমাকে দেখে না কেউ।
অন্ধকারে কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না
এককাঠি চুরুট, একবাক্স দিয়াশলাই
শিশ্নের অগ্রভাগ, প্রিয় নাম, মুখ!
অন্ধকার ভালোবেসে সাধু বসে আছি
হাতড়ালে আমি ছুঁতে পারি পৃথিবীর মুখ।
বিরূপাক্ষ
ডানাওয়ালা পরীদের গল্প রূপকথার আঙিনা ছেড়ে মধ্যাহ্নভোজের টেবিলে পরকীয়ায় রত। শাদা ধবধবে, ফর্সা বুক দেখে যাদের নুনুতে জল আসতো তারা আজ হুইল চেয়ারে বসে আমাদের ঔজ্জ্বল্যের খবর শোনায়। কৃষ্ণগহ্বর কি খুব দূরের জন? আতশবাজীতে মজে গেলে মন আর কী কী বাকী থাকে শাদা চুলের রবীন্দ্রনাথ?
চুল দু’একটা আমারও পাকছে বটে। আর পৃথিবী! ক্রমশ তোমার জৌলুস হারাতে বসেছো বলে চোখে মাখছি অয়েন্টমেন্ট।
বাংলাদেশ
১.
আমরা হাঁটছিলাম নদীকে বামে রেখে
দুপুরের রোদে, চরের বালিতে; আমরা চারজন
সারিবদ্ধভাবে।
অগ্রগামী লোকটির কাঁধে ছিলো জাল
পানি ঝরছিলো;
তারপর উদোম গায়ে লেংটি পরা লোকটা ছিলো ধবধবে ফর্সা
দশাসই শরীর;
যাত্রাপালার ভাঁড়ের মতো আমি হাঁটছিলাম
দুই শার্ট গায়ে;
পেছনের লোকটির হাতে ছিলো মাছ, চোখে
শিকারী দৃষ্টি।
নদীকে বামে রেখে আমরা হাঁটছিলাম গ্রন্থসন্দর্ভহীন
গভীর রোদে, গহীন চরায় সারিবদ্ধভাবে