somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কানাডার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাশান টিভিকে বললেনঃ এলিয়েনরা বাস করছে আমাদের মাঝেই!!! :-* :-*

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা দুইটা না, প্রায় ৮০টি ভিন্ন প্রজাতির এলিয়েন বাস করছে আমাদের মাঝে। এর মধ্যে ভিন গ্রহ থেকে আসা অন্তত ৪ টি প্রজাতি পৃথিবীতে মানুষের সভ্যতা শুরুর সময় থেকে পর্যবেক্ষন করে যাচ্ছে আমাদেরকে। রাশিয়ান টিভিতে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এমনটাই দাবী করেছেন কানাডার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী পল হেলেয়ার। এছাড়া এক গোপন সামরিক ঘাটিতে মার্কিন বিমান বাহিনীর সাথে একত্রে কাজ করছে এলিয়েনদের একটি প্রজাতি এমন অভিযোগও করেছেন ৯০ বছর বয়সী এই প্রবীন রাজনীতিবিদ। তার এই অদ্ভূত সাক্ষাৎকার বেশ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে প্রায় সব পশ্চিমা মিডিয়া।



অবশ্য পল হেলেয়ারের জন্যে বিষয়টা নতুন কিছু না। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ইউএফও আর এলিয়েনদের নিয়ে একের পর এক থিওরি শুনিয়ে যাচ্ছেন মিডিয়াতে। তার বেশিরভাগই স্টার ট্রেক আর অন্যান্য হলিউডি মুভির ছাপ দুষ্ট হওয়া সত্ত্বেও ;) শুনতে কিন্তু বেশ মজাই লাগে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি এলিয়েনদের ব্যাপারে নতুন কিছু তথ্য দিয়েছেন। এই যেমন, খুব কমন একটা প্রশ্ন, এলিয়েনরা দেখতে কেমন? তার মতে, এলিয়েন বেশ কিছু প্রজাতি নাকি দেখতে মানুষের মতোই। আবার কিছু কিছু আছে একেবারে বিদঘুটে, তবে তাদের সাথেও আমরা পরিচিত। বিভিন্ন পৌরানিক চরিত্র নাকি গড়ে উঠেছে সেইসব এলিয়েনদের আদলেই। (কে জানে হয়তো প্রাচীন মিশর বা সুমের সভ্যতার সেইসব দেবতাগুলোই একেকটা এলিয়েন!) তারা বাস করে বিভিন্ন গ্রহ, বিভিন্ন গ্যালাক্সিতে। এমনকি শনি বা মঙ্গলের চাদগুলোতেও নাকি ভালো করে খুজলে পাওয়া যাবে তাদের অস্তিত্বের প্রমাণ।

এছাড়া হেলেয়ারের ভাষ্য অনুযায়ী, এলিয়েনদের নাকি একটা ফেডারেশনও আছে। :-* অনেকটা আমাদের জাতিসংঘের মতো ( ওউ! তার মানে এইসব এলিয়েনরা শান্তিদূত হিসেবে এসেছে পৃথিবীতে!) সেখানে একদম কড়া নিয়ম করা আছে, কারো সভ্যতায় কেউ বিঘ্ন ঘটাতে পারবে না। এভাবে বেশ ভালোই চলছিলো সবকিছু। কিন্তু সেই ফেডারেশনের টনক নড়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আনবিক বোমার আবিষ্কার ও হিরোশিমাতে বিষ্ফোরণের পর। :| তখন থেকেই তারা গণহারে আসতে শুরু করে পৃথিবীকে। (যাক! বুশ-ব্লেয়াররা না পারুক, অন্তত এলিয়েনরা আমাদের দুঃখটা বুঝতে পেরেছে।)

তবে এইসব এলিয়েনরা মোটেই মানুষের ক্ষতি চায় না, অন্তত এখানে আসা বেশিরভাগ এলিয়েনই নাকি মানুষের উপকার করার নেক নিয়তেই আসে আমাদের কাছে, :) দুই একটা বদ এলিয়েন যে নেই তা অবশ্য নয়। X( ২০১০ সালে বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিন্স বলেছিলেন, এলিয়েনের অস্তিত্ব থাকলেও আমাদের উচিত হবে না তাদের কাছে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেয়া অথবা যোগাযোগের চেষ্টা চালানো, কারণ তারা যদি আমাদের থেকে শক্তিশালী হয় তাহলে এই পৃথিবীর সম্পদ, খনিজ, জীবজগৎ এর দখল চেয়ে বসতে পারে। এই কথা শুনে বেজায় চটেছিলেন পল হেলেয়ার। প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, হকিন্স জেনেশুনে এলিয়েন সম্পর্কে মিথ্যাচার করছেন।

মানছি সব খবরই বেশ উদ্ভট। তবে তার মধ্যে আরও উদ্ভট খবরটা এই এলিয়েন গবেষক দিয়েছেন এভাবে। মার্কিন গোপন সামরিক ঘাটি, হলিউডের কল্যানে আমরা যাকে এক নামে চিনি, সেই AREA 51 এ ‘টল হোয়াইট’ নামের এক প্রজাতির এলিয়েন যুগপৎ গবেষনায় লিপ্ত আছে মার্কিন বিমান বাহিনীর সাথে। এই ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ করলে নাকি রীতিমতো তথ্য প্রমাণ হাজির করে দেখাতে পারবেন তিনি!

দেখা যাক! শেষপর্যন্ত এই হলিউডি কায়দার এলিয়েন থিওরি মানুষকে বিশ্বাস করাতে কি তথ্য প্রমান হাজির করেন এই গবেষক।



(শেষকথা: এর মধ্যেই এই খবরের বেশ মজার মজার প্রতিক্রিয়া পাওয়া শুরু হয়েগেছে। ইরানের ফারস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ওবামা প্রশাসনের পেছনে আমেরিকার সরকার নাকি চালাচ্ছে এলিয়েনরা! :-/ উইকিলিকস ও এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করে দেয়া মার্কিন নথিপত্র ঘেটে নাকি এই ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা। ঠিক একই এলিয়েনরা নাকি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সামরিক সহায়তা দিয়েছিলো জার্মানীতে হিটলার এর নাৎসী পার্টিকে ।)

--

মৃত্যুর পর: এক অচেনা জগতের হাতছানি
১৫টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×