যখন থেকে ক্রিকেট খেলা একটু ভালোভাবে বুঝতে শুরু করলাম তখন পাকিস্তান টীমে সব বড় বড় তারকার ছড়াছড়ি। একদিকে বিখ্যাত সুইং মাষ্টার ওয়াসিম আকরাম যে নাকি ব্যাট আর প্যাডের মাঝখান দিয়ে অনায়সে বোল্ড করতে সিদ্ধহস্ত, ওয়াকার ইউনুসের বিধ্বংসী স্ট্যাম্প উপড়ানো ইয়র্কার,অসাধারন হেয়ার স্টাইলের আকিব জাভেদ, সাকলাইন মুস্তাকের মত তৎকালীন বিশ্বসেরা অফস্পিনার আর তারপরে এই বোলিং লাইনে যোগ হয় ভয়ংকর গতিদানব 'রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস'। ওপেনিং স্পেলে যার প্রতিটা বলই ছিলো একেকটা সাক্ষাৎ মৃত্যুদুত, আর লম্বা রান-আপ শুরু করলেই ঢেউ তুলত গ্যালারীতে।
আর ব্যাটিং সাইডে ছিলো ক্লাসিক ব্যাটসমান জেন্টেলম্যান সাঈদ আনোয়ার, পিচ্চি শহীদ আফ্রিদি, মিষ্টার ডিপেন্ডবল ইনজামাম যে নাকি ২০-২৫ রানে দলের ৩-৪ টা উইকেট পড়ে গেলেও অসাধারন অলস ব্যাটিংয়ের সৌন্দর্য দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত একটা অনায়েসেই চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুড়ে দিত প্রতিপক্ষের দিকে। আর মঈন খান যে নাকি ইনংসের শেষ দশ ওভারে অসাধারন স্লগিং করত টেল এন্ডার দের সাথে নিয়ে।
তাই তখন আমাদের জেনারেশনের অনেকের মতই পাকিস্তান ক্রিকেট দল আমাকেও আকর্ষন করত। যদিও এখনকার জেনারেশন হয়ত পাকিস্তান দলের বর্তমান ভাঙ্গাচোরা অবস্থা কখনোই বুঝতে পারবেনা সেই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের মাহাত্ন্য। তবে যত যাই হোক পতাকা নিয়ে উচ্ছাস দেখানো'টা বাড়াবাড়ি যেখানে নাকি পাকিস্তানের সাথে আমাদের যুদ্ধই হয়েছিলো পতাকা নিয়ে।