তাজ্উদ্দীন আহমেদের মেয়ে হঠাৎ করে কিছু তথ্য ফাসঁ করে দিয়েছেন যেই তথ্যগুলো খুব গোপন ধরনের না হলেও তাজউদ্দীন আহমেদের মেয়ের মুখ থেকে যখন বের হয় তখন আলীগ এর জন্য ঢোক গেলা অনেকটাই কষ্টকর হয়ে যায়। তথ্যগুলো অনেকটাই সত্য হলেও ব্যাক্তিগত ভাবে আমি শেখ মুজিব-এর তৎকালীন অবস্থান গুলোকেই মনপ্রান দিয়ে সাপোর্ট করি।
কারন তাজউদ্দীন আহমেদ ছিলেন অনেক বেশি প্রো-ইন্ডিয়ান ব্যাক্তিত্ব। তাই হ্য়তো শেখ মুজিব তাজউদ্দীন এর কথার দ্বারা সম্পূর্নভাবে চালিত হতে চাননি। শেখ মুজিব ভালো করেই জানতেন যে ভারত কি ধরনের একটা আগ্রাসী কালো গোখরা সাপ, তাই তিনি ভারত থেকে সুবিধা নিলেও ভারতের কাছে নিজের সত্ত্বা পুরোটা বিকিয়ে দিতে চান নি। এরই ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধের পরেও অনেক ডিসিশান দিয়েছেন যেগুলো নাকি ভারত'কে অনেকটাই ব্যাথিত এবং ক্ষুব্ধ করেছে। শুধু তাই না একবার ইন্দিরা গান্ধীর সাথে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের আলোচনা চলাকালে ভারতের আচরনে টেবিলে থাবা দিয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেছিলেন, আমাকে 'সাব-অর্ডিনেট' আর 'কো-অর্ডিনেটের' মাঝে পার্থক্য বোঝাতে আসবেননা।
হুমম তারপরেও অনেকে বলবেন তাহলে স্বাধীনতার পরে তৎকালীন সময়ে ভারত অনেক বেশী সুবিধা পেতো কেনো? এর অনেক ধরনের উত্তর আছে। তার একটা হলো স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়েই ভারত বিভিন্নভাবে তার এজেন্ট (বাংলাদেশী নাগরিক কিন্তু কাজ করবে ইন্ডিয়ার হয়ে) তৈরী করতে থাকে যাতে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের উপর খুব সহজেই নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করা যায়। এই এজেন্ট'রা নামে আলীগ এবং বাংলাদেশী হলেও তাদের প্রধানতম আনুগত্য ছিলো ভারতের প্রতি। এবং এরকম একটি ভয়াবহ বাহিনী হলো মুজিব বাহিনী। এদের'কে খুব সম্ভবত দেরাদুনে খুব'ই উন্নতমানের ট্রেনিং দেয়া হয় এবং এই বাহিনীর লোকেরা যতটা না মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিলো তার চেয়ে বেশী সক্রিয় ছিলো ভারতের দাবার গুটি হিসবে। এবং এই মুজিব বাহিনী'র সদস্যরা স্বাধীন বাংলাদেশে অনেক প্রভাব খাটিয়েই চলতো। আরো কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে যারা ইতিহাস নিয়ে গবেষনা করেন তারা এই মুজিব বাহিনী'র ব্যাপারে খুব ভালোভাবেই অবগত আছেন। কিন্তু সত্য সবসময় বলা যায় না কারন স্রোতের বিপরীতে সাতাঁর কাটা খুব কঠিন এবং কাল বিশেষে অসম্ভব।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩০