আজকে সেই ভয়াল ৫'ই মে রাত সমাগত । যা কখনো কল্পনাতেও ছিলো না ঘটতে পারে আমাদের এই বাংলাদেশে তাই করে দেখিয়েছেন তৎকালীন দেশ প্রেমিক সরকার। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যেমন ২৫'শে মার্চের কালো রাত্রে সমস্ত দেশী-বিদেশী মিডিয়া সাংবাদিক'দের ধরে বেধেঁ সরিয়ে দিয়ে তারপর বাঙ্গালী'দের উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য গনহত্যায় নেমেছিলো এই বাহিনীও উচিত শিক্ষা দিতেই নেমেছিলো হেফাজতের কর্মীদের।
কিছু ফ্যাক্ট:
**সরকার থেকে বলা হয়েছিলো বেশ কিছু লোক নাকি মৃত মানুষের ভান করে শুয়েছিলো যাদের-কে পরে জাগানো হয়েছে। তাদের কাছে আমার পাল্টা প্রশ্ন হলো একটা জায়গায় কি পরিমান মানুষ মৃত হয়ে পড়ে থাকলে জীবিত মানুষেরা-ও মৃত মানুষের ভাণ করে পড়ে থাকে?
** সারাদিন যাদের'কে আশি হাজার রাউন্ড রাবার বুলেট, বুলেট আর সাউন্ড গ্রেনেড দিয়েও সরানো গেলো না রাত্রে কোন মন্ত্রবলে দশ মিনিটে সব ক্লিয়ার হয়ে গেলো?
**যেহেতু হাতেনাতে প্রমান নেই তাই অনেক যারা বিশ্বাস করতে চান না যে ঐদিন কোন গনহত্যা ঘটেছিলো। তাদের প্রতি আমার প্রশ্ন আপনারা তাহলে কি আশা করেন যে সরকার এরকম গনহত্যা ঘটাবে এবং তার প্রমান আপনার হাতে তুলে দিবে?
**ঐদিন কোরআন যে স্থানে পুড়লো তা হলো আলীগ এর অফিসে'র কাছে যা নাকি হেফাজতে ইসলামের অবস্থান স্থল থেকে অনেক দুরে। আর হাউস বিল্ডীং এর ভিতরে গাড়ী ভাংচুর করার যেইসব দৃশ্য ভিডিও'তে এসছে তাতে স্পষ্ট দেখা গেছে যে হেলমেট পরিহিত কয়েকজন লোক গাড়ী ভাংচুর করছে। আর ঐদিন কারা হেলমেট পরে গুলাগুলি করেছিলো আর লাঠি দিয়ে দিন দুপুরে হেফাযতের কর্মী পিটিয়ে মেরেছিলো সেটাও নিশ্চয়ই অনকের'ই মনে আছে।
**আসলে ঐদিনের পরেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিলো আলীগ সরকার কোনভাবেই বিদায় নিবে না। কারন এরকম একটা গনহত্যার পরে আলীগ সরকারের কাছে শুধুমাত্র দুটি অপশন ছিলো, হয় ক্ষমতায় থাকা আর না হয় মৃত্যু আলিঙ্গন করা। কোন ধরনের সুষ্ঠ নির্বাচনের প্রশ্নই উঠে না।
বিস্তারিত দেখুন। সময় নিয়ে পড়তে হবে তিনটি পর্ব