ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় আসাতে আলীগ অসুবিধায় পড়লেও দর কষা-কষিতে শেষ পর্যন্ত আলীগ'এরই জয়ের সম্ভাবনা বেশী।
# আলীগের আজকে যেই অবস্থা সেই অবস্থা থেকে ক্ষমতা হারানো দলটি'র জন্য সাংঘাতিক বিপদজনক অবস্থা হতে পারে। এর জন্য বাড়তি কোন কিছুই করতে হবে না বরং তাদের বিরুদ্ধে যৌক্তিক মামলা দিলেই তা থেকে উদ্ধার পেতে দলটি'র জন্য জীবন মরন সমস্যা হতে পারে এবং অধিকাংশ নেতা-কর্মী দেশ ছাড়তে হতে পারে। এবং এই কারনে দলটি মোদির সাথে দর কষা-কষি করতে সবরকম ছাড় দিতে সর্বতোভাবে প্রস্তুত থাকবে।
# বিজেপি একটি জিনিষ খুব ভালোমতই বুঝবে যে এখানে অনির্বাচিত আলীগ সরকার থাকলে তা প্রতি মুহুর্তে দিল্লীর সরনাপন্ন থাকবে এবং দিল্লীর পলিসি বাস্তবায়নে যেকোন ঝুকিঁ নিতে দ্বিধা করবে না। এরকম অনুগত সরকার থাকা বিজেপি সরকারের জন্য যথেষ্ট লাভজনক তাতে সন্দেহ নেই। বিশেষ করে যেখানে নাকি বর্তমান আলীগ সরকারের স্বদেশপ্রেম নিয়ে সন্দেহ থাকলেও ভারতপ্রেম নিয়ে শত্রু-মিত্র কারোর'ই কোন সন্দেহ নেই
# আর যেহেতু আলীগ সরকার একটি প্রচন্ড রকম শক্তিশালী সরকার হিসেবে গত পাচঁ ধরেই প্রমানিত হয়েছে সেই সূত্র ধরেই বলা যেতে পারে সরকার তার বিভিন্ন দাবার চাল চেলে দিল্লীর কাছে তার যৌক্তিক অবস্থা প্রমানিত করতে পারে। তার মধ্যে দুটি প্রসঙ্গ না আনলেই নয়। একটি হতে পারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ভয়াবহ নগ্নরুপ আর আরেকটি হলো জাওয়াহিরীর মত কল্পিত জঙ্গী আবিস্কারের কাহিনী। বিশেষভাবে বলতে হয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা। বিজেপি যেহেতু হিন্দুত্ববাদী দল সেইক্ষেত্রে এইখানের হিন্দুরা যেকোন ধরনের ঝামেলায় পড়লে সেটা দিল্লী তার কনসার্নে নিতে বাধ্য থাকবে।
# খালেদা জিয়া যতই শেখ হাসিনার সাথে পাল্লা দিয়ে মোদীর সাথে অন্তরঙ্গ রিলেশন বিল্ড করার চেষ্টা করুক না কে সাউথ ব্লক ভালোমতই জানে ভারতের প্রতি খালেদা জিয়া'র লয়্যালটি হচ্ছে সাধারন মানুষের আরসি কোলার প্রতি যেই লয়্যালটি সেই মানের লয়্যালটি (মানে হলো সাধানর মানুষ কোক খেতে পছন্দ করলেও আরসি সস্তা দেখে আপাতত আরসি কোলাই বেশী খায়)।
# আরেকটি জিনিষ না উল্লেখ করলেই নয় সেটি হলো মোদি এইবার সম্ভবত কর্পরেট নির্ভর। সো সেই কর্পরেট হাউজগুলো যেই পরিমান সুবিধা চাইতে পারে তা বিএনপি দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে একটা সন্দেহ থেকেই যাবে।
আজকের জন্য শেষ একটি কথা, ভারতে গনত্ন্ত্রের কারনেই আজকে মোদীর মত ভয়াবহ একজন জঙ্গী এবং কসাই লোক ভারতের মত বৃহত গনতান্ত্রিক দেশের ভাবী প্রধানমন্ত্রী। এটি নিয়ে আপনি ভারতের জনগনকে কিছু বলতেও পারেন না যেহেতু তাদের কাছে খুব বেশী অপশন ছিলো না বলেই মনে হয়।এখানে যারা জিয়াউর রহমান নামে একজন লোকের নাম শুনলেই ঘৃনায় ইয়াক করে উঠেন তারা কি একবারের জন্যও একেবার খুবই ছোট্ট করে হলেও তাকে একটি ধন্যবাদ দিবেন যে তিনি অন্তত আমাদের জন্য একটি অপশন দিয়ে গেছেন যার বদৌলতে আমাদের এখানে কোন সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এখনো নিজের পায়ে দাড়িয়ে একটি সরকার গঠনের স্বপ্ন কল্পনাও করতে পারে না।