বুধবার যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড রিভিউয়ের আবেদন খারিজের দুই ঘণ্টা পর দুপুরে বাংলাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয় ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের অ্যাপসগুলোও।
এব্যাপারে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, ‘দেশ ও জাতির নিরাপত্তার স্বার্থেই অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ফেসবুক মেসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করা হয়েছে (http://goo.gl/9ZAQmr)।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যকর করার সময় একটা অচলাবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা চলতে পারে। নানা ধরনের কথাবার্তা আসছে এবং চলছিল। সে জন্যই দেশকে শান্ত রাখার জন্য, স্থিতিশীল রাখার জন্য, নিরাপত্তার খাতিরে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা আশঙ্কা করছি, কিছু হতে পারে। সে জন্যই এই ব্যবস্থা। আমরা মনে করছি না বা আমি বলছি না যে, আমাদের দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়ে গিয়েছে। আমরা এটা যে অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায় রাখার জন্য কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। বিশেষ কারণেই এটা স্থগিত করা হয়েছে, স্বল্প সময়ের জন্য (http://goo.gl/TK6uv9)।’
দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সতেচন প্রতিটা জনগনের উচিত সরকারি এই আদেশ মান্য করা। দেশ ও জাতির নিরাপত্তার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে সহযোগিতা করা।
এমতাবস্থায় দেশের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে খোদ সরকারি দলেরই ভেরিফাইড ফেইসবুক পেজ Bangladesh Awami League , পেইজ লিংক(https://goo.gl/tpmAhO) ফেইসবুক বন্ধের সরকারি ঘোষনার পরেও ঘন্টায় ঘন্টায় পোষ্ট দিয়ে যাচ্ছে।
সচেতন দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন, এটি কি তাহলে দেশ ও জাতির জন্য হুমকিস্বরুপ নয় ?